নারী
নারী
কোলাজে নারী
-(১)
লম্ফোর ধোঁয়া ওঠা আলোতে
ঘাম চুঁইয়ে পরা কাত্যায়নীর শুকনো স্তন চুষে চলেছে
জ্বরে ছ'মাসের লালী
পর পর তিনবার কন্যা সন্তানের জন্মের দায় ভার এখন XY ক্রোমোজোমের জ্ঞানহীন কাতুর,
পালিয়েছে তার মুশাফির
কাল সকালে অপর্ণা বৌদিকে কি বলবে
সাজিয়ে নিল মনে মনে সে৷
তোমাদের ঘর দোর আজ দু দিন নোংরা ছিল জানি বৌদি আমি তোমাদের চোখে বিশ্বাসঘাতক বেইমান তাও জানি,
দাদা বাবুর কাছে বকা আর ফুলি দিদিমণির বাইনাতে তোমার পেরাণ ওষ্ঠাগত তাও জানি,
তবু একটা সুযোগ দিও আমারে কথা বলার
আজ দু দিন আমার লালীর জ্বর
তাই তো মা ঠাকুরের কাছে মনে মনে বলেছি
এই পোড়ার সংসারে রোগব্যাধি কেন ঢোকালে?
তুমি তো জানো ঠাকুর আমাদের কোন পুজো নেই,
কোন পার্বণ নেই,আছে শুধু লোকের মন যুগিয়ে চলা
ক্ষমা করো বৌদি তুমি , আমি ভুলে যেতে চাই আমিও মা৷
-(২)
দশটা পাঁচটার চাকরির থেকে ঘেমো ব্যাগটাকে রেখে দিয়ে কোমরে আঁচল গুঁজে মেয়ের আবদার মেটাচ্ছে অপর্ণা
ভুলে গেছে পুরানো প্রেম,পুরানো সুখ,পুরানো বন্ধু আজ সব পুরানোকে দিয়েছে সে বিসর্জন
সুখ কিনেছে সে,অনেক সুখ অনেক বিলাসিতা,তবু জোনাকির আলাপনে হারিয়ে যায় ঐ নীলাকাশে যেখানে তার প্রিয় থাকতো৷
-(৩)
হ্যালোজেনের নীচে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷
গাঢ় রঙ চড়িয়েছে ঠোঁটে মুখে কোনো অনামিকা ,
আজ অষ্টমীতে বাবুরা সব ঘর মুখো৷
ভুলে যেতে চায় সে একদিন তার ও পূজোর জামা ছিল
বাবার দেওয়া ,বেলুন হাতে ছিল দাদার দেওয়া,কিন্তু ভালোবাসা তাকে নিয়ে এসেছে এ কোথায় !
বহমানতাই জীবনের ধর্ম
পোড়া পেট মানে না পূজা অথবা স্বাধীনতা স্বতন্ত্র৷