মুঠোভরা নিঃশ্বাস!!
মুঠোভরা নিঃশ্বাস!!
জনারন্যে ভরা রাজপথ দিয়ে ছুটে চলেছে সদ্য বিবাহিতা এক মেয়ে!
কপালে জ্বলজ্বল করছে
লাল টকটকে সিঁদুর,
গলায় রজনীগন্ধার মালা,
কপালে চন্দনের ফোঁটা,
গায়ে ছেটানো সুগন্ধী আতর তার
মিষ্টি গন্ধ এখনও ছড়িয়ে চলেছে,
মেয়েটা প্রানপনে দৌড়াচ্ছে আর
চিৎকার করে বলছে বাঁচাও....
বাঁচাও........বাঁচাও.......,
কিন্তু কেউ আসেনি
সাহায্যের হাত নিয়ে!!
সবাই শুধু তামাশা দেখে গেছে!
মেয়েটির পিছনে ছুটে চলেছে
কয়েকটা কালো ছায়া মূর্তি,
মুখে তাদের কি অকথ্য ভাষা!
তারাও চিৎকার করে বলে চলেছে দাঁড়া... শালি !
দাঁড়া.....তোকে অনেক
টাকা দিয়ে কিনেছি! একবার
হাতে পাই সব তেজ ভুলিয়ে দেব!
ওদের কথা শুনেও
কেউ প্রতিবাদ করেনি!
সবাই নির্বিক দর্শক।
বিভিষিকাময় একটি অন্ধকার
রাত নেমে এসেছিল মেয়েটির জীবনে আলোর পথ সে দেখতে পায়নি!
আসলে কেউ এগিয়ে আসেনি
আলোর পথে নিয়ে যেতে!!
আচ্ছা এটাই কি আমাদের সমাজ?
আর সমাজের লোকজন?
যাদের নিয়ে আমরা সবসময় ভাবি,,
এই কি আমাদের শিক্ষার গুন?
ভাবলেও হাসি পায়!!
রাজপথের ধারে এক পাগলি
যখন প্রসব যন্ত্রনায় ছটফট করে!
রক্তের স্রোতে রাস্তার কালো রঙ
লাল হয়ে যায়!!
সদ্যজাত শিশু কেঁদে মরে!
কেউ তখন সাহায্যের জন্য
হাত বাড়ায় না!
বরং হাজার হাজার প্রশ্ন
নিয়ে কানাঘুষো করে?
আচ্ছা কেউ একবারও জানতে
চায়না এই বদ্ধ উন্মাদ পাগলি মা.
হল কি করে??
এর উত্তর কি কারোর জানা আছে?
কার লোভ ও লালসার স্বীকার হয়ে
আজ এই পাগলি এবং তার সদ্যজাত
সন্তানের এই করুন অবস্থা?
এটাই হলো আমাদের
সমাজের আর এক রূপ!!
যা... পুরোপুরি কুৎসিত,
আর নগ্নতায় ভরা,
যেখানে সামনের পথ উজ্জ্বল
আলোয় ভরা থাকলেও!
ভীতরে বর্বরতার অন্ধকার
কুঁড়ে কুঁড়ে খায়!!
আজ বড্ড ভয় করে বাড়ি
থেকে বের হতে!
চারিপাশে মানুষ রূপি হায়নার
নজরে দম বন্ধ হয়ে আসে!
নিরুপায় হয়ে সাহায্যের হাত
বাড়ালেও কেউ এগিয়ে আসেনা
সাহায্য করতে!
কিন্তু যখন তোমার সবকিছু
শেষ হয়ে যাবে!
তুমি পুরোপুরি রিক্ত হয়ে যাবে!
তখন সবাই আসবে ভেক ধরে
তোমাকে শান্তনা দিতে!
আমরা চাইনা এই রকম বর্বরতার
স্ফুলিঙ্গে ভরা সমাজ!
আমরা চাইনা মুখের ওপর মুখোশ!
আমরা চাইনা শান্তনা!
আমরা চাই মুক্তির বাতাস,,,
একলা চলার সাহস,,,
আর ভালোবাসায় ভরা
এক সুন্দর সমাজ।
যেখানে থাকবেনা কোন বর্বরতা!
থাকবেনা কোন হিংসা!
থাকবেনা কোন ভেদাভেদ!
থাকবে সবার জন্য এক
মুঠো মুক্ত বাতাস!
যেখানে সবাই প্রানভরে নিতে
পারবে বেঁচে থাকার জন্য নিঃশ্বাস।
