মায়াবী প্রকৃতি
মায়াবী প্রকৃতি
যখন সূর্য মেঘের চাদরের আড়ালে
পড়ে যায় ঢাকা,
বিদ্যুৎ ঘন ঘন চারিদিকে ছড়ায় তার
হুঙ্কার আর তীক্ষ্ম আলো,
গুড়ি গুড়ি করে বৃষ্টি নেমে আসে
পৃথিবীর বুকে,
পিপাষিত গাছেরা নেয় সেই জলবিন্দুকে নিজেদের মধ্যে শুষে,
পাখিরা জলের ফোটা পেয়ে
আনন্দে ডানা ঝাপটায়,
বাতাস চারিদিকে মাটির সুন্দর
সোঁদা গন্ধ ছড়ায়,
মুহুর্তের মধ্যেই আবার সবকিছুর
হয়ে যায় পরিবর্তন,
শুরু হয়ে যায় মুষলধারে বর্ষন,
সমস্ত কান্না, মান, অভিমানের শেষে,
আকাশ আবার ওঠে আগের মত হেসে,
সাতরঙা রামধনু রঙে নিজেকে
নেয় রাঙিয়ে,
সূর্য ঝলমলে হাসি মুখে বেড়িয়ে
আসে মেঘের আড়াল হতে।
প্রকৃতি হল সত্যি কারের বহুরূপী,
যার রূপের নেই কোন শেষ,
কখনও আকাশ থাকে রৌদ্যেজ্বল
ঝলমলে সাদা,
আবার হঠাৎ করে সে হয়ে যায় মেঘে
ঢেকে কালো,
কখনও গ্রীষ্মের দাবদাহে সবকিছু
হয়ে যায় রুক্ষ,
আবার বর্ষার আগমনে সবকিছু হয়ে
যায় সতেজ ও সিক্ত,
শরৎ এর প্রকৃতি যেন সবচেয়ে সুন্দরী,
দিক দিক থেকে বার্তা আসে
মায়ের আগমনী,
শীতের হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতি
হয়ে যায় শুস্ক,
আবার চারদিক রঙে রঙে রঙিন
করে তোলে বসন্ত।
প্রকৃতির রূপের হয় না কোনো তুলনা,
প্রকৃতি হলো এক অপরূপা মায়াবী কন্যা।
