কথোপকথন: রাষ্ট্র ও দেশ
কথোপকথন: রাষ্ট্র ও দেশ
:আচ্ছা তবে স্বপ্নের কথা বলো একটুখানি মেঘ আর বলো বৃষ্টির কথা তবে
-আমার কাছে কোনো স্বপ্নের কথা নেই, নেই মেঘ।আমি জানি শুধু ঝড়ের পুর্বাভাসে কীভাবে ঘরপোড়া মানুষেরা খুঁজে ফেরে পায়ের তলায় এক টুকরো কাঁচা মাটি
:একটু বেঁচে থাকবার কথা মৃদুমন্দ প্রেম আর ভালবাসার কথা বললে কী এমন ক্ষতি!
-তোমরা তো দিব্যি বেঁচেই আছো।যাপন করছো পহেলা ফাল্গুন ভ্যালেন্টাইন্স। হলদে আর রক্তিম শাড়ি প'রে হাওয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছো সত্য আর ভণিতার মিশেলে প্রেমময় ঘ্রাণ। যে আমি কোনোদিন জানি নি কাকে বলে বেঁচে থাকা যে আমি কখনো বুঝি নি,বুঝিয়ে দেয় নি কেউ প্রেম কি আভিধানিক শব্দ এক নাকি কুসুম কুসুম কোনো অনুভূতিমালা, যে আমি হেঁটে যাই দুঃস্বপ্নের কফিন কাঁধে নিয়ে,তার কাছে এসব প্রশ্ন আর জানতে চাওয়া কি প্রহসন নয়!
:কি এমন কষ্ট আর অভিমান যা তোমাকে
বলিয়ে নেয় এমন দুঃখবিলাসী গান!
-লোকে বলে:নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।যে, পান্তা দূরে থাক,জানেনা সামান্য নুনেরও সন্ধান-তাকে বলছো দুঃখবিলাসী গায়ক!
:না না,যতটা বলছো আর যেভাবে যেভাবে,জীবন কি শুধুই এমন একপেশে দুঃখদায়িনী নদী?
-জীবন!-সে তো বহু মনিষীর বহুরুপ সংজ্ঞা আর সংজ্ঞাহীনতার কথা।আমার মতো এরকম ক্ষুদ্র প্রাণীর কাছে জাহাজের কথা কেনো!
:একি তোমার বিশ্বাস নাকি আদিখ্যেতা!
-বাহ চমৎকার।এটাই তো একটা মজার খেলা-আমাকে যে অবিশ্বাস করেছো , মুখ ফসকে বেরিয়ে গেলো তো!
:এসব বাজে বকা বাদ দাও।এবার নদীর কথা বলো - কবিতার কথা-কবিতা যে হচ্ছে না আমাদের এ সময়ে-সেই কথা বলো।সেই যে পারুল রুপশ্রী আর রেণু- প্রত্যাখ্যানের নিয়ম মেনে ওদের হারিয়ে যাবার কথা বলো।আর বলো প্রিয় বাংলাদেশের কথা।
-বাংলাদেশের কথা!তাহলে আমার আর বোলবার কিছু নেই কারণ বাংলাদেশ বোলে যা আছে তা একটি রাষ্ট্রযন্ত্র হতে পেরেছে,পারেনি দেশ হতে!
