খুড়োর সংসার
খুড়োর সংসার
বিধু খুড়োর ছিল শখ পুষবে একটা
বাদামী রঙের ককুর,
কিন্তু খুড়ির ভয়ে সে সব ভাবনা
চিন্তা করাও হয়েছে এখন
মন থেকে দূর।
খুড়ো রোজ যে পথ দিয়ে বাজার
যাতায়াত করে,
সেই পথেই একদিন ছিল একটা
কুকুর ছানা পড়ে।
খুড়ো এনেছিল তাকে সাথে করে
মনে ভেবেছিল যত্নে করবে লালন,
কিন্তু খুড়োর সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়েগেল
হলনা আর পূরন।
খুড়ো ভালোবেসে নাম দিয়েছিল
তার মতী,
কিন্তু মতীর আর পথ চলা হলনা
হয়ে খুড়োর সাথি।
মতীকে দেখেই খুড়ি তখন ধরেছিল
ভয়ংকর রনচন্ডীর রূপ,
খুড়ো তবে থেকেই হয়েগেছে পুরো চুপ।
খুড়ি বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে পাড়ি
দিচ্ছিল বাপের বাড়ি,
খুড়ো সেই দিনের পর থেকে কুকুর
নিয়ে আর করেনি বাড়াবাড়ি।
খুড়ি ভীষণ পিটপিটে দশবার মোছে ঘর,
গায়ে ঢালে বালতি বালতি গঙ্গার জল।
খুড়োর তো চলতেও মানা ঘরের
এদিক থেক ওদিক,
বুঝতেও পাড়েনা এই সবের
মানে সঠিক।
খুড়ির মুখে লেগে আছে কত
রকমের মন্ত্র,
খুড়ো এখন মনে মনে ভাবে খুড়ি
মানুষ নয় আস্ত একটা যন্ত্র।
খুড়ি বাড়ি ময় দেয় ধূপ ধূনো
উঠে সেই কাকভোরে,
তারপর ঘন্টা দুয়েক সময়
কাটায় ঠাকুর ঘরে।
বাড়ি জুড়ে বিরাজ করে নিস্তব্ধতা
সেই সময় কথা বলাও বারন,
এই ভাবেই কেটে চলেছে খুড়ির সাথে
খুড়োর সংসার জীবন।
