জমে ক্ষীর
জমে ক্ষীর
গুল নয়, এই গল্পটা যদি ঘটে যায় একদম সত্যিই,
একদম হবে জমে ক্ষীর! ঘটে গেলে পুরো ঘটনাটাই!
যারা দুধ খেতে ভালোবাসে, অথচ কিনতে পারেনা,
তাদের জন্যে আছে সুখবর, দুঃখটা আর থাকবেনা।
পনীরের বদলে টফু খেয়ে মন ভরাতে তো হবেনা !
আমূল কোম্পানির দুধ যদিও খাঁটি খেতেও মন্দ না ,
কিন্তু দুধ-দই ওরা ভারতের সবাইকে দিতে পারেনা।
খাঁটি দুধ তাই সস্তায় ভারতবাসীরা খেতে পায়না,
অস্ট্রেলিয়ার দুধের আমদানি আর কেউ রুখবেনা।
কুড়ি, বাইশ টাকা কেজি দুধ হলে বইবে দুধের গঙ্গা,
সব ছোটোরাই যেন দুধ খেতে পায়, জয় হো তিরঙ্গা।
শীতের দিনে নলেন গুড়ের পায়েস সবাই ভালোবাসে,
পাস্তুরাইজড দুধ ষাট টাকা লিটার,দাম যে আকাশে !
এক কেজি আমূল দই পঞ্চাশ টাকাতেও পাওয়া যায়,
সাপ্লাই নেই সুতরাং কিনে খাও একশো কুড়ি টাকায়।
প্রোটিনে ভরপুর "সাগর" দুধ সোয়াবীন থেকে তৈরী,
ওটা শুধুই রোগীর খাদ্য, স্বাদ যে অত্যন্ত বিচ্ছিরি।
দেশী গরুদের নেই তো বেশী দুধ দেবার ক্ষমতা,
বিলুপ্ত হয়েছে তাই দিনে দিনে, কি হবে করে মমতা !
হরিয়ানার গাই অস্ট্রেলিয়ার গরুর সাথে পাল্লা দেয়,
কেজি কেজি দুধ বসে বসে দেখি ঘরের টিভিতেই___
বিক্রি না হলে রাগ করে ফেলে রাস্তায় মাঝে মধ্যেই।
কিছুতেই বুঝিনা আসল গলদটা যে ঠিক কোথায় ?
পেঁয়াজ-আলু-টমাটো সবকিছু নিয়েই এক পরিস্থিতি,
প্রতি জিনিসের উৎপাদন হয় যেখানে যেমন খেতি।
কৃষকের চাষের খরচ ওঠানোই হয়ে পড়ে নাকি দায়,
কমদামে বিক্রি করে ওরা, পড়ে দালালের পাল্লায় !
খদ্দের কম দামে না পেয়ে বেশী দাম দিতে বাধ্য হয়।
দেখা যাক সঠিক নীতি সারা দেশে কবে হয় এ্যাপ্লাই,
উৎপাদক ও খদ্দের-প্রাপক, কেউ যেন না ঠকে যায়।
