জল ও ফল
জল ও ফল
আগে যখন মা, বাবা অথবা শ্বশুর মশাই____
বলতেন খেতে, মা দিতেন খাবারটা মুখে তুলে,
বুঝতামনা কিছুতেই খিদে কাকে বলে !
গড়ে উঠেছিলো বিরাট একটা বদ অভ্যেস,
যদিও আমি ছিলাম কিন্তু বেশ!
গন্ডগোল বাঁধে যখন আমি খেতে ভুলে যাই,
অথবা কারো বাড়িতে বেড়াতে চলে যাই।
অন্য কারো খাবার নিয়মের সাথে মেলেনা সময়,
এ্যসিড আমার পেটের জবরদখল করে নেয়।
তারপর হোতো ভোগান্তির শুরু,
কি করে তখন বাঁচাবেন কোন গুরু!
কেউ বলে এ্যন্টাসিড, কেউ বলে জোয়ান বা জিরে,
ঠেকে ঠেকে এখন শিখেছি অনেকটাই।
এখন ভালো করেই বুঝে গেছি তাই,
বেশি খিদে পাবার আগেই খেয়ে নিই।
মেরী বিস্কুট খেতাম জলে ভিজিয়ে ঘুম থেকে উঠেই,
সুগার টা হওয়াতে তারও আর উপায় নেই,
মুখটা ব্যাজার করে সকালে তাই ____
এক চামচ ছাতু নুন দিয়ে গুলে খাই।
আজকাল দেখি প্রায় সারাদিন যেন খিদে খিদে পায়,
প্রকৃতি বোধ হয় এভাবেই শোধ নেয়।
মনে মনে ভয় পাই যদি ওজন বাড়ে মায়ের মতোই!
হাতে পায়ে এক আধটু ব্যাথা তো থাকে এমনিতেই।
এসব কথা ভেবে দিন কয়েক আগে তাই,
গুগল ভাইয়ার কাছে জানতে চাই,
খিদে কমানোর সহজ উপায়।
"মাঝে মাঝেই জল খেয়ে পেট ভরাও, চা-কফি খাও,
ফলের রস না খেয়ে গোটা ফল খাও,
তাড়াতাড়ি না খেয়ে অতি ধীরে খাও,
শুধু পেট নয়, মনটাও ভরাও, শুকনো ফল খাও!
তবে মুঠো মুঠো নয়, একটা - দুটো, তিনটে-চারটে!"
এসব কথায় ঐ ডাহুক দুটোর কথাই মনে হয়।
চাল, ভাত, রুটি যাই দিই, খুব কম দিলে,
ওরা দেখি ঘরের ভেতরে ঢুকতে চায়,
প্রাণে তো দেখি ওদের এতটুকুও ভয় নেই!
খিদের জ্বালাও এমন এক জ্বালা যে এই জ্বালায়,
মানুষেরও কিন্তু প্রাণের ভয় উড়ে যায়।
