জীবিত পরগনা
জীবিত পরগনা
ভুলিনা সেই শেষ কবিতা, ভুলিনা নির্জন
সব আড়ালই তোমার আমার প্রথম শিহরণ।
চোখ ফেরাতে দৃষ্টি টুকু রাখি তেপান্তরে
ফের ঘাসেতে বৃষ্টি ঝরে শুধু তোমার ঘরে।
জল জমেনা স্মৃতির কোণে, ভেজেনা আর পাতা
মেঘের মতো তোমার পাশে শেষ কবিতা খাতা।
আঁচড় তুলে নিচ্ছ যদি ছেলেবেলার মতো
মনকেমন ও ফেরত যাওয়া কেবল প্রথাগত।
তোমার কাছে বৃষ্টি আসে, নিঙড়ে তোলো হাত
বর্ষা দিনে মিশ খেলো না মনভোলানো রাত।
চাওনি তবু মেঘবাগিচা, ডাকছ ফেরিওলা
নিজের মতোই বুনে নিলে বিনিসুতোর মালা।
বিকেল হলে খুঁজতে নাকি নিঃস্ব মরুভূমি
যেসব খামে পদ্য লেখা, একলা পড়ো তুমি।
সেই ঘরেতে হাতড়ে নেবে রাত্রিভরা খাম
সব চিঠিতে হয়নি লেখা ছেলেবেলার নাম।
ঘাসের কাছে হইনি নীচু কখনো ইস্কুলে
তুমিও একা বৃষ্টি মাপো মনোযোগের ভুলে।
ঢেউ গোনাকে নিয়ম করে শোবার ঘরে মিশে
কেউ কখনো পা ফেলেনি ফ্যাকাশে কার্নিশে।
যেসব দিনে ভাল্লাগেনি আর ফেরাতে চোখ
বনলতার সঙ্গে হাঁটে বনলতার শোক।
এখনো এক বর্ষা দিনে তোমায় মনে পড়ে
ঘোষণা হয় স্কুলের ছুটি লুকনো সেই ঘরে।
মেঘলা দিনে বৃষ্টিভেজা জিরনো এক ঠোঁটে
রোজ বিকেলে চাঁদের আগে সন্ধ্যাতারা ওঠে।
ঘর গুছনো রইল বাকি, বালিশ আছে গোনা
জানিনা কোন পাশের বাড়ি জীবিত পরগনা।