জগজ্জ্বননী দুর্গা
জগজ্জ্বননী দুর্গা
ও মা দুর্গা, ওগো দুর্গতিনাশিনী,
কি করে হলি মা তুই জগৎ জননী!
আমার মায়ের ও জননী, তার মায়ের ও !
আমার বাবার জননী, আবার তার বাবার ও!
আচ্ছা বেশ তো নাহয় মেনেই নিলাম পুরো ব্যাপারটা,
কিন্তু আমার মনে শুধু প্রশ্ন আছে কয়েকটা।
ত্রিনয়নী মাগো তুই সব নাকি আগেই দেখতে পাস,
সন্তান তো সদাই মায়ের আদর করেই আশ।
বিপদ আসার আগেই তবে কেন না তা ঠেকাস ?
ভবিষ্যতের বিপদ তাড়ালে,
কাজ তো তোর ই একটু হালকা হয়।
দশ হাতে তা পেরে ওঠা এমন কিছু তো শক্ত নয়!
কাজ করে সময় বাঁচলে পরে,
সন্তানের সাথে একটু গল্প করবি না হয়।
মায়ের কাছে মন খুলে বলতে কথা,
সবার ই তো একটু ইচ্ছে হয়।
একটু বেশি কথা যদি বলেই ফেলি,
মুখ কেন তুই গোমড়া করলি?
অন্যায় কিছু বললে আমি,
বেত নিয়ে কি করবি তাড়া ?
আমিও কিন্তু দৌড়ে তবে বেড়াব তখন ঘুরে পাড়া।
খিদেয় যখন আমার মুখ শুকিয়ে যাবে,
কষ্ট তো তখন বেশি তোর ই হবে।
তাই বলি মা করিসনা রাগ,
দিস আমায় তোর ভোগের একটু ভাগ।
ওতেই আমি থাকবো খুশি,
তুই সারা জগতের জননী হলেও,
আমি যে তোকে বড়ই ভালোবাসি ।