গরম গ্রীষ্ম
গরম গ্রীষ্ম
সকালটা হয় অনেক আগে,
সন্ধেটা হয় পরে।
দিনটা বড় রাত্রি ছোট,
গরমে প্রকৃতি মরে।
সারাদিনটা ঝলসাতে থাকে,
সূর্যিমামার রেষে।
ক্লান্ত হয়ে সবাই নেয়,
বিশ্রাম ভালোবেসে।
বৈশাখ আর জ্যৈষ্ঠ নিয়ে,
গ্রীষ্ম আসে ভেসে।
রুক্ষ করে প্রকৃতির রূপ,
বিবর্ণ করে হেসে।
চৌচির করে খাল-মাঠ-ঘাট,
অসহনীয় সূর্যতাপে।
দরদর ঘাম ঝরে পড়ে আম,
জল শূন্য ভাপে।
দুরন্ত ঝড়ো হাওয়ায় সব,
ওলট-পালট হয়।
বিকেলে দেখ কালবৈশাখী,
ধেয়ে আসে নিয়ে ভয়।
কালো মেঘেরা ছোটাছুটি করে,
আকাশ জুড়ে ভরে।
কান লাগে তালা বজ্রপাতে,
বৃষ্টি আসে জোরে।
আম জাম লিছু কাঁঠাল কলা,
তরমুজ কত ফল।
কামিনী জুই অর্জুন চাঁপা,
ফুল দান কত কোমল।
ঝড় উঠলে মনে জাগে,
আনন্দ আম কুড়ানোর।
ভয়টা আসে বজ্রপাতের,
হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকানোর।
আউস ধানে মাঠ গুলো ভরে,
সবুজ শস্য শ্যামলা।
মৃদু বাতাসে শীষ গুলি নড়ে,
মন ছুঁয়ে যায় ওই খেলা।
তৃষ্ণায় বুক শুকিয়ে যে যায়,
গরমেতে হাঁসফাস।
পরিশ্রান্ত কৃষকদের,
ছায়া দেয় দেখ গাছ।
ঘামাচিরা যেন সারা দেহ জুড়ে,
ফূর্তি করে নাচে।
হাম বসন্ত জ্বর জন্ডিস,
কষ্টেতে প্রাণ বাঁচে।
গ্রীষ্মের শেষে আকাশের বুকে,
মাদল বাজিয়ে বর্ষা।
অবসান করে গরম গ্রীষ্ম,
রুক্ষ প্রকৃতির ভরসা।