দিঘীর পাড়ে
দিঘীর পাড়ে
রং বেরং এর অচীনপুরে নিত্য নতুন খেলা,
নিল আকাশে মেঘের পাশে,
গোলাপ মালার ভেলা।
সবুজ সবুজ গাছগুলো সব দাঁড়িয়ে শান্ত ছেলে,
রুপোলি সব মাছেরা দেখো
খেলে কেমন জলে!
জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটে রাজহাঁসের ওই দল,
কচি সবুজ পাতার ফাঁকে
উঁকি দেয় লালচে-হলুদ ফল।
তারই মাঝে বসে আছে নিল বসনা ওই কিশোরী
দিঘীর জলে পা ডুবিয়ে ভরছে মাটির হাঁড়ি।
আঁচল খানি হাওয়ায় উড়ে
করছে কেমন খেলা,
দুরের থেকে উদাস কিশোর তাকিয়ে কাটায় বেলা।
তারই মাঝে হঠাৎ করে,
কালো হলো আকাশ।
প্রবল বেগে ঝড় উঠল,
ঘরে ফেরার দিলোনা অবকাশ।
ভয়ের চোটে কিশোরীর মুখ শুকিয়ে হলো চুন,
ফিরবে বাড়িতে কেমন করে?
পথ যে অনেক দুর।
জলের ঘড়া কাঁখে তুলে,
দাঁড়ালো এসে পথের ধারে।।
ভয়ের চোটে চোখদিয়ে তার গড়িয়ে পড়ছে জল,
হৃদয় খানি বারবার উঠে কেঁপে কেঁপে
হঠাৎ করে হাতের ওপর অনুভুত এক চেনা স্পর্শ
ঠিক যেন সে এসেছে পাশে ধরেছে হাত,
দিয়েছে ভরসা।
ভয়ের মধ্যে হাসি মাখা ঠোঁটে,
তাকালো মুখটি তুলে,
কষ্ট, ভয়, একলা জাতনা সবই গেল নিমেষে ভুলে।
কতদিন ধরে মান-অভিমান নামে
ছিল যে একটা দন্দ্ব,
নিমেশের মধ্যে ভুলে গেল সব
না বলা ভালবাসা পেলো নতুন ছন্দ।

