ডুমুর ফল
ডুমুর ফল
তোমার জীবনের যত গল্প আছে,
সারাজীবনে যতো অভিজ্ঞতা করেছো সঞ্চয়!
সব শুনতে রাজি আছি আমি,
শুধু শেষের কয়েকটি পাতা একেবারে নয়।
ভবিষ্যৎ জানতে যে আমার বড় ভয়,
"ভীতু" নামটা তুমি আমাকে দিতে পারো অবশ্যই।
জানো তো, আমি বই পড়তে কতো ভালোবাসি,
মানুষের জীবন পড়তে ভালো লাগে তার চেয়ে বেশী।
তোমার চোখে তাকিয়ে তোমার মন পড়ে নিতে চাই ,
হয়তো তাই তুমিও পাও আমাকে কিছুটা ভয়।
মানুষের ঘরে উঁকি দেওয়া আমার স্বভাব নয়,
লুকিয়ে, বাঁকা চোখে বা আড় চোখে কখনও নয়,
স্পষ্ট করে সোজা তাকাই চোখের জানালায়।
যদি কেউ এটাকে ঔদ্ধত্য ভাবে, সেটা তার ভুল!
তাতে সত্যিই আমার কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।
লোকে বলে, বয়েস হলে মানুষ নাকি পুরোনো কথা,
বা ইতিহাসের গল্প শুনতে খুউব ভালো বাসে।
বা নিজেদের আগেকার ছোটোবেলার কথা বলতে,
এখন না হয় বয়েস হচ্ছে,কিন্তু আমি তো চাই শুনতে।
হ্যাঁ,খুব ছোটোবেলা থেকেই বাবা-মায়ের ছোটোবেলা,
দাদু-দিদা-ঠাকুমা দের ছোটোবেলা ইচ্ছে হয় জানতে।
নোলোক নাকে ছোট্টো শাড়ি পরা রাধারনী রূপে মা,
নৌকোয়, দুরন্ত বাবার চুপ করে থাকা,পাই দেখতে।
মনে হয়, হয়তো আমি কোনোদিনই শিশু ছিলাম না,
মনে পড়ে নিজের থেকে কখনও খেলতে চাইতাম না।
খেলাধূলো মানেই যেন আমার কাছে সময় নষ্ট,
ধুপ ধাপ যখন তখন পড়ে গিয়ে অকারনে হাঁটুর কষ্ট!
তার চেয়ে অনেক ভালো গল্প! বা শুধুই চেয়ে থাকা,
মজার কথা হলো লাগতোনা আমার কখনোই ফাঁকা।
এমনকি গল্প শোনাতে পারে এমন পুঁচকেদের ____
বেশ পছন্দ ছিলো কিন্তু আমার এই মনের।
সুবিধা হতো ওদের নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাবার,
হোক না সিঁদুরের মতো ইঁটের গুঁড়ো আবিস্কার!
ডুমুর তলার পাশের, সে যে এক দারুন এ্যাডভেঞ্চার!
রঙ দেখে খুব লোভ হতো, ঐ রাঙা ডুমুর ফলগুলোর,
বুঝতাম না, আমরা কেন খাইনা ওইসব পাকা ডুমুর।
