ছাদ
ছাদ
প্রতিদিন ছাদে আমি নিঃশব্দে নিজেকে ফেলে আসি
অন্তর্দ্বন্দ্বে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় সমস্ত শরীর
কখনও পায়ে জড়িয়ে যায় নিরুদ্বিগ্ন শ্যাওলা
মাথার চারদিকে জড়ো হয় অসংলগ্ন চাঁদের ভাঙা টুকরো
যেসমস্ত প্রত্যঙ্গের কাছে এযাবৎ আমি ঋণী ছিলাম আপাদমস্তক
তাদের কাছে তাই পৌঁছে দেয়া হয়নি ছাদ বিতরণের খবর-
অক্ষর ছড়িয়েছি বুকের পাশে রেখে যাওয়া শব্দহীন কয়েকটা গ্রামে
নীল সৈকতের পাশে ফেলে এসেছি ধিকৃত আঙুল-
জ্যোৎস্নাকে আত্মসাৎ করেছি ক্রমে
জংলা প্রিন্টের নির্বাসিত দুটোচোখে মাখিয়েছি মলমের মতো-
ছাদের মধ্যিখানে নব্যনির্মিত পাতাল রেলের সিঁড়ি
হয়ত আমার পরের গন্তব্য একগুঁয়ে বাতিল বারান্দা...
এখন লোনের ইনস্টলমেন্ট অনুসারে
ফেলে যাওয়া বিধর্মী অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুছিয়ে গুছিয়ে তুলছি আমি।