চা’য়ের ঝুপরি
চা’য়ের ঝুপরি
রাস্তার ধারের রামুর চায়ের ঝুপরি দোকান-
খোলে রোজ সকাল বিকাল।
দোকানের সামনে ভাঙা বেন্চি পাতা
পাশে রাখা ছেঁড়া হিসাবের খাতা।
দিনভর কেটলিতে ফুটছে চা,
দেওয়া আছে তাতে এলাচ-আদা।
চায়ের সুঘ্রাণে মজেছে মন,
মাটির ভাঁড়ে হবে পরিবেশন।
ধোঁয়া ওঠা ভাঁড়ের চা’য়ে দাও চুমুক,
সাথে নিও দুটো টোস্ট বিস্কুট।
ঝুরিতে আছে পোড়া তেলে ভাজা
গরম হিংয়ের কচুরী,
সাথে পাবে শালপাতার ঠোঙায়
খোসাসহ আলুর তরকারি।
নেই কোন জাঁকজমক,নেই আধিক্য
নেই কোন চাকচিক্য, নেই প্রাচুর্য।
তাও সাধারণের কাছে অতি প্রিয় এ দোকান,
চা-কচুরী-সবজি খেয়ে
ভরে সবার মনপ্রাণ।
যারা কখনো আস্বাদন করোনি
রামুদের ঝুপরির মাটির ভাঁড়ের চা,
বুঝলেই না তারা,জীবনে চা’য়ের আসল মজা।
সল্প মূল্যে করিয়ে লোকের উদরপূর্তি,
রামু অন্তরে পায় পরম পরিতৃপ্তি।
অনাবিল আনন্দে ভরে ওঠে তার মুখ,
সবার ক্ষুধানিবৃত্তিতেই যেন রামুর বড় সুখ।
গল্প গুজব,রাজনীতি থেকে সব সম্পর্কে ,
আলোচনা জমে ওঠে তর্ক বিতর্কে।
নাই বা হোল বড় রেস্টুরেন্ট,নাই বা নামী টি শপ,
এখানে পাবে তুমি রেস্টুরেন্টের মজা-যত আছে সব।
গলির মোরে-গাঁ’য়ের রাস্তার ধারে,
বা বেড়াতে গিয়ে কোন সমুদ্র সৈকতে
অতি পরিচিত এই রামুদের দোকান
সবাই তৃপ্তিতে করেন এখানে চা- জলপান।