বিষাক্ত চুম্বন
বিষাক্ত চুম্বন




কুয়াশার শীর্ষে মেঘের চাদর আর
হাতের কাছে একফালি রোদের মাদুর বিছানো স্বপ্ন
শহরতলির গায়ে সোঁদা গন্ধ আর
পরিযায়ী দেবদারুর বসন পেরিয়ে নামা সন্ধ্যে
বরফ কুচির মতোই ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতির পাতা আঁকড়ে ধরে দেখি
জমাট বাঁধা অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমি,
নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়।
কারণ ভাবতে ভাবতে চতুর্দিকে তাকাই,
আহত হৃদয় কেঁপে ওঠে, ওষ্ঠ হয়ে আছে নীল;
আশেপাশে ছড়িয়ে অজস্র সব কালো কেউটের দল
নিশ্বাস ছাড়ছে, বিষাক্ত সব নিশ্বাস করে তুলছে বাতাসটাকে বিষময়|
এখানে দাঁড়িয়ে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়|
পেঁচার কর্কশ ডাকে কানে ব্যাথা লাগে,
বাদুড়গুলোর ঝটপটিয়ে ওঠা ডানা গায়ে
আঁচড় কাটে, শরীরে কাঁপুনি ধরে।
মস্তিষ্কের শিরাগুলো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে।
ক্রমশ ওষ্ঠ থেকে নীল নামতে থাকে, আমি কেঁপে উঠি
শিরায় শিরায় নীল রক্ত ধমনীর সাথে খেলায় মাতে,
আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হয় বিবশ।
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব গুলিয়ে যায় হিসহিস শব্দে,
বুঝি মুক্তি নেই আর।
যতদূর স্মৃতি যায় মনে পড়ে ওই এক রাঙানো দিনে চেয়েছিলাম
শুধু এক বিন্দু কুসুম স্পর্শ আর বেড়া কলমীর ঘ্রাণ,
আর বিনিময়ে তুমি এঁকে দিয়েছিলে তোমার বিষাক্ত চুম্বন।
যে চুম্বনের রেশ আজও হতে পারেনি মলিন।
আমার ওষ্ঠ তাই আজ তোমার অ-প্রেমে নীল। আর অন্যদিকে...
তুমি আজ হয়তো অন্য আকাশে তারা খসার স্বপ্ন চাইতে ব্যস্ত।