বহির্বিন্যাস
বহির্বিন্যাস
যতদিন না বেঁচে উঠতে পারছি আবার ততদিন পড়ে থাকবো
ওই মিহি পথের ধুলোয়,
সবুজ ঘাসের ডগায় শরতের শিশির বিন্দু হয়ে;
মৃত শালিকের ডানায় লেগে থেকে গান শোনাবো,
রাতের অন্ধকারে একটা নীল গ্লাসে পড়ে থাকা দুপুরকে।
ওই যে দূরে জমা বরফের মতো আগুনের শিখা
যাকে তুমি এতদিন পাহাড় বলে জেনে এসেছো
তাদের জীবনটাও আমারই মত
দূর থেকে কোন রমণীর নীল দু চোখের শীতলতা
ধরে থাকে যেন কোন উন্মত্ত প্রেমিকের শিশমহল
বিক্ষিপ্ত ফোটন কনার আলোড়নে টলমল করে ওঠে তার ভিত
কাছে গেলে কিছুই না। শুধু তোমার দুর্ভিক্ষ চোখের মরীচিকা।
তারা আমাকে বলেছিল একবার ,
রাত্রির প্রদীপের শেষ শিখায় যখন কালো এসে কড়া নাড়ে ,
ছায়াময় সভ্যতার প্রাণীরা যখন ঘুমের ভান করে,
শুয়ে থাকে স্যাঁতস্যাঁতে বিছানার একপাশে ,
তখন এসো। তখনই আমি কেঁদে উঠি বারবার।
শুনতে পেয়েছো তুমি? চোখ বুজে শোন বিজয়া,
কি বলছে ওরা।
তুমি যাকে হতাশ বিষন্নতার মাঝে
কাদামাখা রাস্তার বিড়ির প্যাকেটের সাথে তুলনা করেছিলে ,
আজ ওরা তাকেই চাই ।
তাকেই চাই, যার অমোঘ শীতল দেহ কোন একসময়ে
তোমার বিষবৃক্ষের বিষাক্ত অক্সিজেনে
দেহের প্রতিটি জীবন্ত কোষ দুর্ভিক্ষের ছায়াছবিতে কেঁদে উঠেছিল;
জ্বলে উঠেছিল বৃত্তাকার দাবানলের মত ,
আর সেই বৃত্তের ব্যাসার্ধ, পরিধি, ব্যাস সমগ্র
প্রকৃতির ষড়যন্ত্রের নিথর আঁচ
আমার গলার নাইলনের দঁড়িতে চাপ সৃষ্টি করেছিল
ভেঙে দিয়েছিল যুক্তিবাদী স্বরযন্ত্রের ছাঁচ।