ভাঙন
ভাঙন
নিভু আলোকশিখার শিখাতে যেমন
থাকে এক প্রচ্ছন্ন অন্ধকারের ভয়,
মনের কোনের ভাঙনও ঠিক তেমন
যেটা খুব যে সহজে জোড়বার নয়।
প্রাচীরবদ্ধ কতক আশা
দেখতে চায় দিনের আলো;
তাইতো ভাঙন বাধে বাসা,
করে তার অস্তিত্ব জোরালো
ভাঙন বুঝি শুধুই বোঝে
এক মনখারাপ করা ঘটনা!
নাকি ভাঙন সঙ্গে খোঁজে
একটা নূতন সৃষ্টির সূচনা!
কখনো ভাঙন প্লাবনের বেশে
ঘটায় অনেককিছুরই ধ্বংস;
আবার কখনো ভাঙন শেষে,
বাদ যায় কিছু জরাগ্রস্ত অংশ।
মনের গহীনের মধ্যে থেকে,
যখন আসে ভাঙনের ইঙ্গিত
মনেরে তখন যে বলি ডেকে,
নাই বা গাইলে আক্ষেপের গীত।
সেই ভাঙনের শেষের পরে
হারিয়ে যায় শেষ ঠিকানা,
জমে ওঠে মনের ভিতরে
এক মন-খারাপের আস্তানা;
এক-পা, দু-পা এগিয়ে এসে
মন কেমনরা সব বায়না ভুলে,
দুই হাত দিয়ে ভাঙনের শেষে
আশার প্রদীপশিখা ধরে তুলে।
