অ্যাকোরিয়াম
অ্যাকোরিয়াম
আমার অ্যাকোরিয়ামের মাছেদের কাছে আমি ঋণী।
ওদের মত নিজেকে ডুবিয়ে রাখার একটা তীব্র তাগিদ
ছিল আগাগোড়া। জল আর বিছানার পার্থক্য বুঝিনি বলেই
নিজেকে টেনে তোলার চেষ্টাও করিনি আর...
অ্যাকোরিয়ামের চারপাশে প্রহরী দাঁড় করিয়ে আমি নিজেকে
ভিজিয়ে নিয়েছি প্রতিদিন। অনেক চেষ্টায় লুকিয়ে রেখেছি
সমস্ত অপারগতা। মাছেরা হয়ত নির্বিঘ্নে ঘুমতো, অথচ আমি
ঠায় চেয়ে থাকতাম ম্যানহলের দিকে। কেউ হঠাৎ দরজা খুলে দিলে
ভিড় ঠেলে আগে বেরতে চাইতাম আবার। ভেবে দেখতাম
অন্ধকারের সঙ্গে নিজের অকর্মণ্যতার সঠিক দুরত্বটুকু...
এরপর ঋণ মেটাব বলেই অহরহ লিখে চলেছি প্রেমের কবিতা।
কিন্তু আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে ডুবে থাকাকালীন
একটি পংক্তিও রবীন্দ্রনাথ পড়ে উঠতে পারিনি কোনওদিন...
সেই থেকে মাছেরাও গুনে রাখছে অন্ধকার। আমার শরীরে।
