অসদবিম্ব
অসদবিম্ব
অভিসারি ও অপসারি বিন্দুর তফাৎ এর মতোই,
বিবাহিত ও অবিবাহিত জীবনের তফাৎ অনেকটাই।
অবিবাহিত জীবন যে গাড়ি চালানো সমতল রাস্তায়,
কঠিন তো বটেই, মানুষকে মন দিয়েই শিখতে হয়।
গাড়ির মতো জীবনটা ঠিকঠাক চালাতে গেলে,
চলে শুধু দুরকম, উত্তল ও অবতল আয়না পেলে।
বাস্তবের সাথে সমঝোতা করেই তো মানুষ চলে।
সদবিম্ব যে শুধু এমন দুই আয়নাই গঠন করতে পারে,
কিন্তু পাহাড়ি আঁকা বাঁকা পথে বিপদে, দরকারে!
অসদবিম্বই জরুরী, সাধারণ দর্পণ কাজ করে।
নিজেকে, পরিবেশকে জানলে চলে একা থাকলে,
আরেকজনের মনের খবর জানা চাই বিয়ে করলে।
সমতল রাস্তায় গাড়ি চালাতে লক্ষ্য রাখা দরকার,
আশে পাশে সামনে আর পেছনে।
পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে আর বিবাহিত জীবনে জরুরী অদূর ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা যেন বোঝা এ মন গুণে।
বিয়ের রীতিতে কাজললতা থাকে কনের হাতে,
নাপিত ভায়া একটি আয়না ধরিয়ে দেয় সাথে।
মায়া অন্জন চোখে দিয়ে যেন হোঁচট না খায় মেয়ে,
যখনই পড়বে বিপদে নিজেকে ছোটো, বড় দেখোনা,
বাঁচাতে জীবন, দেখো মুখটি সমতল আয়নাতে।
হোক না মিথ্যে তাতে নেই ক্ষতি, না হয় যেন দুর্মতি,
বিবাহিত জীবনের টানা পোড়েনে স্হির রেখো মতি।
গাড়ি চালানোর সময় অমনোযোগী হলে রক্ষা নেই,
এক মুহুর্তেই, পাশের খাদে গাড়িটা গড়িয়ে পড়বেই ।
অবিবাহিত জীবনে অসন্তোষ নিয়ে যেতে পারে,
উন্নতির একেবারে চরম শিখরে।
বিবাহিত জীবনে অসন্তোষ মানে থাকা খাদের ধারে,
তাই যেমনই থাকুক মানুষটার মন তখন,
"এই বেশ ভালো আছি" এই কথাটা,
ভাবতে পারাটাই আমার জরুরী মনে হয়।