আগন্তুক
আগন্তুক
জন্মলগ্ন থেকেই আগন্তুক আমরা এই পৃথিবীর বুকে,
ছাইচাপা বেরঙিন ক্যানভাসেই অভিযোজিত রোজ,
মনের ঘরে লোডশেডিং, নক্ষত্ররা দৃষ্টিগোচর হয় না;
জানলার কাঁচটা ভেদ করে আসে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো,
দমকা হাওয়ায় ওড়ে বিষাদময় জীর্ণ অতীত স্মৃতিরা,
স্থিতিস্থাপকতার জন্য মানিয়ে নিয়ে হতে হয় সংকর,
শর্তসাপেক্ষ ট্রাফিক মেনে হেঁটে চলি অজানা গন্তব্যে;
মিছিলের আর্তনাদ, মুদ্রার ব্যবচ্ছেদ চলে প্রতিনিয়ত,
মুহূর্তগুলো সহসা হারিয়ে যায় জীবনের চোরাস্রোতে,
আশৈশব দেখা মোমবাতিরাও নিভে যায় ধীরে ধীরে,
কুয়াশা জাঁকিয়ে বসছে বহুদিনের চেনা মুখগুলোতে,
নিঃসঙ্গতা আটকে থাকে একাকীত্বেরই দিনলিপিতে;
অজস্র ধারাপাত ছেড়ে হঠাৎ আসে কোনও আগন্তুক,
অন্তহীন অভিকর্ষের প্রবল টান উপেক্ষা করা যায় না,
বেনামী সম্পর্কের শিরায় শিরায় এক অজানা শিহরণ,
এই নামহীনতা জুড়ে থাকে একটা নিষ্পাপ অভিব্যক্তি,
আচম্বিতেই আকাশ থেকে তারা খসার সর্বসুখ প্রাপ্তি,
অভিব্যক্তিমুখর আগন্তুকও চিনে নেয় অচেনা জগৎ;
দিনশেষে সব সমষ্টি আদপে মহাশূন্যে এসেই ঠেকে,
ফিরে যায় সবাই, নিঃস্বতা সম্বল অসমাপ্ত সমাপ্তিতে।