পটল পিসের পয়সা পুরাণ
পটল পিসের পয়সা পুরাণ
পটলডাঙার পটল পিসে লোকটি ভারী খাসা,
পয়সা কড়ির হাজার ফিকির মগজ খানি ঠাসা |
কোন ব্যাংকে ফিক্সও করে মোটা টাকা সুদ,
কোন সে খাতে রাখলে টাকা নিমেষে বুদ্বুদ |
কোন সে ব্রোকার কম রেটেতে শেয়ার ব্যাচে কেনে,
কোনটি সে ফান্ড বছর শেষে মোটা রিটার্ন আনে |
পোস্টাপিসের কোন ইস্কিম ভীষণ নিরাপদ,
স্বাস্থ্য বীমা না যদি করো সমূহ বিপদ |
পিপিএফ না এনপিএস বুঝতে যদি নারো,
পটল পিসে কাছেই আছে, জিগিয়ে নিতে পারো |
এইরকমই অনেক জ্ঞানের জ্ঞানী পটল পিসে,
ফ্রি তে বিলায় ডেকে ডেকে দেশে দশে দিশে |
যা হোক সেদিন গলদঘর্ম ছুটছি স্টেশন পানে,
পটল পিসে চেঁচিয়ে ডাকে - 'চললে কোনখানে?'
বলি পিসে বড্ডো তাড়া, ট্রেনটি গেছে ছেড়ে,
দেরি হলেই বস যেন কামড়ে দেবে তেড়ে |
ছাড়ো তোমার বসের বিশদ, বসো দেখি পাশে,
বলি মাইনে কড়ি মাস পয়লা কতটা কি আসে?
যে টাকা পাও, তার কিছুটা জমা টমা রাখো,
নাকি ফুটুনি করে উড়িয়ে দিয়ে এমনি বসে থাকো?
বৈচি গাঁয়ের বদন ছোঁড়া আমার কথায় চলে,
আর কটা দিন; ওর পয়সা ডাবল হলো বলে |
এইতো সেদিন ধিনিকেষ্টর রিটায়ারমেন্ট হলো,
বললো পিসে - পয়সা কড়ির একটা উপায় বলো |
তুমি আমার আপনার জন, বাড়িওলার শালা,
পয়সা কড়ি না জমালে, খাবে কি কাঁচকলা ?
অফিস গেল, ট্রেনও গেল - এতো মহা জ্বালা,
হাতটা পিসের ছাড়িয়ে নিয়ে - এবার ওঠার পালা |
যেতে যেতে বলি পিসে - একটা কথা শোনো,
এত তোমার জ্ঞানের বহর; বই লেখোনা কেন?
পড়বে, শুনবে, জানবে সবাই চিনবে কত লোক!!
পটলডাঙার পটল পিসের ধন্য ধণ্য হোক !!!
শুনে পিসে, বেজায় হেসে বসলো পরিপাটি,
বললো - জানি, ছেলে তুমি এক্কেবারে খাঁটি |
বলি তোমায় চুপিচুপি - বই লেখা প্রায় শেষ,
কিন্তু ছাপার জন্য সে বই ,পয়সা চাইছে প্রেস |
শুনে বলি সমস্যাটা নয়তো তেমন বড়ো,
এর সমাধান তোমার কাছে, তুমিই এতে দড়ো |
বুঝি পিসে বুঝলো নাকো; হয়নি সড়গড়,
বলি - তোমার লেখা তুমিই আগে ভালো করে পড়ো ||
পড়লে পরে, বুঝবে তুমি পয়সা কিসে হয়,
সেই পয়সায় ছেপো সে বই; এতো কঠিন নয় !!!