ট্রেন যাত্রা (নবম পর্ব)
ট্রেন যাত্রা (নবম পর্ব)
ঘরে এসে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারেনি। একটা কোমল স্পর্শ পেলাম দেখি পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে ওই মুখ।
আমি হাত বাড়িয়ে ওকে ছুঁতে চাইলাম, বলতে চাইলাম "মা তুমি আমার মা এতোদিন বলোনি কেন?" কিন্তু পারলাম না। কিন্তু তিনি যেন আমার কথা বুঝতে পারলেন। ইশারায় আমাকে ডাকলেন। আমি উঠে দাঁড়ালাম। উনার পিছু পিছু হাঁটতে থাকলাম। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে গেলেন, চারিদিকে কি ঘটে চলছে আমার তাল নেই, সময় জ্ঞান নেই, কে কি করছে সেদিকেও লক্ষ্যও নেই। আমি চলছি উনাকে অনুসরণ করে। ওই বাড়িটার সামনে আসতেই দরজা খুলে গেল। মা ভেতরে চলে গেল, আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকলাম। দেখি একটা হল ঘর, কি সুন্দর করে সাজানো।তারপর আমাকে ঘুরে ঘুরে সম্পূর্ণ বাড়িটা দেখালেন। কত ঘর, অন্তত পক্ষে ১০-১২ টা, নীচ উপর মিলিয়ে। শেষে মা আমাকে ইশারা করে নিয়ে গেল দোতালার শেষ প্রান্তে একটা ঘরে। ঘরে প্রবেশ করতেই দেখি আমার সাথে গল্প করছিল সেই ঠাকুমা বসে রয়েছে, অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকাই৷তিনিও আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।তবুও হাসি দেখে মনে হয়না মন থেকে হাসছে। উনার পাশে একজন বৃদ্ধ দাদু। কাছেই বল নিয়ে খেলছে বছর দশ বারোর ছেলে। আর তারই সামনে বসে রয়েছে একজন মাঝ বয়সী মানুষ। আমি ঘরে ঢুকে দাঁড়াতেই মাঝ বয়সী ভদ্রলোকটি আমার দিকে তাকিয়ে মাকে কি যেন একটা ইশারা করে। আমি দেখছি সবই, কিন্তু কথা বলতে বা শুনতে পারছিনা। আমি পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই ছেলেটার দিকে। আমি তো বুঝতেই পেরেছি এরা আমার পরিবার। কিন্তু মানতে হয়তো এখনো পারিনি। সম্ভবও না।আমি এবার ছেলেটার দিকে এগিয়ে গেলাম, পাশে বসতেই ছেলে আমার দিকে তাকালো। দেখলাম ছেলেটার কপাল থেকে গলা পর্যন্ত এমন ভাবে কাটা দেখে মনে হচ্ছে কেউ বুঝি কুড়ুল চালিয়েছে। আমি আতঙ্কে পিছিয়ে আসলাম। পেছন ফিরে দেখি ঠাকুমার মাথা এমন করে ঝুলছে কেউ যেন ঘাড় মটকে দিয়েছে। দাদুটার কোমড় থেকে ঝুলছে, মায়ের মাথা পেছনে, আর ওই লোকটার গলার কাছে দগদগে কাঁটা দাগ, আর সহ্য করতে পারলাম না। চিৎকার করে উঠলাম। আমি ভয়ে দিগবিদিক শূন্য হয়ে ছুটতে শুরু করলাম। তারপর আর মনে নেই। চোখ খুলতেই দেখি আমি শুয়ে রয়েছি হোটেলের ঘরে। আমি চোখ খুলেই অস্ফুটে জল চাইলাম। দেখি একজন অল্পবয়সী যুবতী এগিয়ে এলো। চিৎকার করে বললো "ডাক্তারবাবু, ও ডাক্তারবাবু জ্ঞান ফিরেছে ম্যাডামের।"
একজন অ্যাপ্রোন আর থ্যাটো হাতে ছুটে আসে একজন মাঝ বয়সী ভদ্রলোক। আমাকে পরীক্ষা করতেই আমি আবার বলি "জল।"
উনি নার্সকে ইশারায় জল দিতে বললেন। আমি জল খেয়ে আবার চোখ বুজলাম। কেন জানিনা খুব ক্লান্ত লাগছিলো আমার।
একটা কোমল ডাকে তাকিয়ে দেখি প্রত্যয়বাবু। হয়তো এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
" মা তুমি কেমন আছো?"
আমি অবাক হয়ে বললাম "কেন আমি তো ঠিকই আছি,কি হয়েছিল আমার। "
ডাক্তারবাবু এগিয়ে এসে বললেন " এখন তুমি সুস্থ, " বলে আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো, প্রত্যয়বাবু ইশারায় চুপ থাকতে বললেন। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন " কিচ্ছু হয়নি, বিশ্রাম নাও এখন। "
বলে বাইরে চলে গেলেন। তারপর মনে নেই, হয়তো আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যখন ঘুম ভাঙ্গলো দেখি ঘরে ভোরের মৃদু আলো এসে পৌঁছেছে। আমি উঠে জানালায় গিয়ে দাঁড়ালাম। মনভরে নিশ্বাস নিলাম। দেখলাম কাছের শোফায় ক্লান্ত নার্স শুয়ে ঘুমোচ্ছে, ঠান্ডায় কেমন কুঁকড়ে গিয়েছে।দেখে বড় মায়া লাগলো, আমি একটা চাদর নিয়ে ঢেকে দিলাম ওকে।
আমি এগিয়ে এসে ফোনটাহাতে নিতেই বুঝতে পারলাম চার্জ নেই ফোনে,চার্জে বসালাম। চার্জে বসিয়েই ফোনটা খুললাম। খুলেই দেখলাম দাদা বৌদি ভাই মিলে অন্তত পক্ষে ১০০ বার ফোন করেছে। বুঝতে পারলাম তারা খুব চিন্তায় রয়েছে। কি করব বুঝতে পারলাম না, এখন ঘড়িতে সবে সাড়ে পাঁচটা। একটা ছোট্ট মেসেজ লিখে দিলাম। তারপর একটু বাথরুমে গেলাম। চোখ মুখ ধুতে আয়নার দিকে তাকাতেই চমকে উঠলাম,কপালে পট্টি বাধা আর দেখি চোখ মুখ সব বসে গিয়েছে। কপালে কাটার জন্য একেই আমাকে দেখতে খুব একটা ভালো লাগে না,তার উপর চোখ মুখের দশা দেখে নিজেরই খারাপ লাগলো। আপনি বাথরুম থেকে বের হতেই দেখি নার্স উঠে গিয়ে আমাকে খুঁজছে। আমি বাথরুম থেকে বের হতেই এগিয়ে এলো। আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো "আপনি একা একা উঠছেন কেন? শুয়ে পড়েন।"
আমি উনার দিকে তাকিয়ে হেসে বললাম "আরে অকারণ চিন্তা করছেন কেন, আমি ঠিক আছি।"
সে যেন বিশ্বাস না করেই বললো "না না, আপনি আসুন বিছানায়, আপনার জ্বরটা দেখে দিই।"
আমি আর কথা বাড়ালাম না। বিছানায় এসে বসলাম। সে আমাকে থার্মোমিটার লাগাল জ্বর পরীক্ষার জন্য।
তারপর থার্মোমিটার নিয়ে দেখে বললো "না জ্বরটা নেই।"
"আমি বললাম না আপনাকে "
" যতই বলেন এই তিনটা দিন যা গিয়েছে তা আমি জানি আর ঈশ্বর জানে। "
আমি অবাক হয়ে বললাম "তিনটা দিন।"
" হ্যাঁ দিদি। এখান থেকে হাসপাতাল বেশ দূরে। ডাক্তার বাবু আপনাদের মনে হয় পূর্ব পরিচিত, উনাকে সব সরঞ্জাম সাথে করে আনতে বলা হয়। আমরা যখন এসে পৌঁছাই, তখন দেখি আপনার কপালের ক্ষতটা স্থানীয় কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা করে বেধে দিয়েছে। রক্ত কিছুটা বন্ধ হয়েছে। ডাক্তার বাবু এসে চিকিৎসা শুরু করেন। সবাই তো আশাই ছেড়ে দিয়েছিল।জ্বরে ভুল বকার সাথে সাথে, মাঝে তো হেঁচকিও তুলছিলেন। আপনি যে পরিস্থিতি থেকে সূস্থ হয়েছেন তা বিস্ময়কর। কাল একবার আপনার একবার জ্ঞান ফিরেছিল। তখন থেকেই মনে ভরসা পাই আমার। তবে এটা বলতে পারি আপনার যে ক্ষত মাথায় রয়েছে তা তিন দিনের মধ্যে সারা সম্ভব না। এক রাতের মধ্যে প্রায় ৪০% ক্ষত শুকিয়ে গিয়েছিল। ডাক্তারবাবু নিজে অবাক হয়ে যান।"
আমি অবাক বিস্ময়ে শুনতে থাকি। আমার ফ্যাকাসে মুখের দিকে তাকিয়ে নার্স ভয় পেয়ে গিয়ে বলে "শরীরটা কি খারাপ লাগছে? "
আমি সাথে সাথে বলি "না না সব ঠিক আছে। "
হয়তো চিন্তা করার জন্য মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়, আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়ি।
যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন দেখি ঘড়িতে নয়টা বেজে গিয়েছে। ঘরে দেখি কেউ নেই। আমি উঠে গিয়ে ফোনটা হাতে নিতেই বুঝি ফোনটা কেউ Silent করে দিয়েছে। মনে বেশ রাগ হয়, আমার বাড়ির লোকেরা চিন্তা করছে। যা ভাবা তাই, অন্তত দশটা ফোন এসেছে। আমি ফোন করতেই ফোন ধরে বৌদি "কি রে মিনু তুমি কেমন আছ?"
" হ্যাঁ বৌদি ভালো আছি।"
"তোমার নাকি শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল।"
আমি বুঝতে পারলাম কেউ বলেছে, কিন্তু কতটা বলেছে জানিনা।
আমি ভেবে বললাম " কে বললো তোমায় বৌদি।"
" আজ তোমার মেসেজ পেয়ে তোমার দাদা ফোন করেছিল, একটা মেয়ে ফোন ধরে বলেছিল তুমি নাকি অসুস্থ। সে অসুস্থ হয়েছ ঠিক আছে, তা বলে তিনটা দিন পেরিয়ে গিয়েছে, চিন্তা হয়না। সুইচ অফ ছিল। "
আমি বিষয়টা হালকা করার জন্য বলি " শরীরটা সুস্থ ছিলো না ঠিকই, ফোনের বিষয়টা ভিন্ন গো। এখানে ইলেকট্রিকের খুব সমস্যা। বিদ্যুৎ থাকেই না। চিন্তা করোনা বৌদি।"
" কোন গণ্ডগ্রামে রয়েছ যে তিনদিন বিদ্যুৎ নেই? বৌদিকে বোকা পেয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছো। "
আমি চুপ করে থাকলাম, সত্যি বলতে গুছিয়ে মিথ্যা বলতে আমি পারিনা। আমি চুপ করে থাকায় বৌদি ভাবলো ফোন কেটে গিয়েছে।
" মিনু ও মিনু। "
" হ্যাঁ বলো বৌদি।"
" আমি ভাবলাম ফোনটা কেটে গিয়েছে। "
"না না বলো।"
" কবে আসবে গো বাড়িতে। ছেলে মেয়ে দুটো খালি তোমার কথা বলে। "
"যাব গো, কাজ শেষ করেই। দাদা কই?"
" মাঠে গিয়েছে গো।"
" আর ওই দুটো। "
" আজ রবিবার তো, তাই এখনো পড়ে আসেনি।"
"বৌদি এখন রাখি।"
" আচ্ছা রাখো, তোমার দাদা ফিরলে ফোন করবো।"
" ভালো থেকো তোমরা বৌদি।"
বলে ফোনটা রেখে বারান্দায় এসে বসলাম। ভাবতে শুরু করলাম। এতোদিন আমি মিনু অর্থাৎ মৃণাল ছিলাম। একটা পরিবারের মাঝে মানুষ, মা, দাদা, ভাই, দাদু, ঠাকমা এদের নিয়ে আমার পরিবার। পরে এলো বৌদি আরও তারপর দুই ভাইপো ভাইঝি। বেশ ভালো ছিলাম, হঠাৎ করে জানতে পারলাম আমার সাথে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই এদের। তবুও মেনে নিলাম। রক্তের চেয়ে বড় ভালোবাসার সম্পর্ক, যদি তাই না হতো,তাহলে বৌদি কি করে আমাদের একজন হতো। সবটা যখন মনে মনে মেনে নিচ্ছিলাম, হঠাৎ করে সব ওলট-পালট করে দিলো একটা ট্রেন যাত্রা। অদ্ভুত সব ঘটনার সাথে সাথে, অলৌকিক শক্তির দ্বারা পরিবেষ্টিত এটা প্রতিক্ষণে অনুভব করলাম। তারপর হঠাৎ করে জানলাম আমি মৃণাল নই। মান্তু ওরফে মানালী, যার জীবন থেকে পরিবার হারিয়ে গিয়েছিল একটা ট্রেন যাত্রার জন্য। তারপর সে জানতে পারে আজ পর্যন্ত তার সাথে যা যা অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে সেটা অতিপ্রাকৃতিক হলেও ওতোপ্রোতো ভাবে যুক্ত ট্রেন দূর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তার পরিবার। দুই সত্তা সাথে করে একটা মানুষ বাঁচবে কি করে? কপালে হাত দিয়ে বসে রইলাম। কিছু বুঝতে পারছিনা, যদি ও মান্তু হয়, তবে ওর সাথে ওর নিজের পরিবার এমন করছে কেন?
এমন সময় একটা স্পর্শ পেয়ে দেখি নার্স এসে দাঁড়িয়েছে আমার সামনে।
" তুমি? "
" কিছু মনে করবেন না, একটু বিরক্ত করছি। আপনার ওষুধ রয়েছে। "
আমি হেসে বললাম "কেন বিরক্ত হবো? আমার ভালোর জন্যই তো বলছ।"
বলে ওর হাত থেকে ওষুধটা নিয়ে খেয়ে বললাম "এখানে একটু বসো, গল্প করি তোমার সাথে। "
সে অবাক হয়ে বললো "আমার সাথে। "
" হ্যাঁ তোমার সাথে, কেন করতে পারি না?"
সে লজ্জিত হয়ে বললো "না তা নয়, আমি একজন সাধারণ নার্স, আমি কি গল্প করবো আপনার সাথে। "
আমি মনে মনে হাসলাম। বুঝতে পারলাম আমাকে কেউকেটা মনে করেছে। কিন্তু আমি যে আসলে একদম সাধারণ তা তো সে জানেনা।
আমি বললাম " সবার গল্প থাকে। তুমি গল্প করতে না চাইলে বিষয়টি ভিন্ন। "
"আরে নানা, কি যে বলেন। আমি এখুনি আসছি, আপনার জন্য ফলের রস আর ফলটা নিয়ে আসি।"
সাথে করে এনেই রেখেছিল সে। ঘর থেকে এনে আমার সামনে এগিয়ে দিলো। আমি কথা না বাড়িয়ে খেয়ে নিলাম। খিদে পেয়েছিল বুঝতে পারলাম।
আমার খাবার খাওয়া দেখে কেমন তৃপ্তি চোখে তাকিয়ে ছিল যে আমার মা আর বৌদির মুখখানা ভেসে উঠলো। ওদের মুখে এমন তৃপ্তির আভাস ফুটে উঠতে দেখেছে বারবার। ও আবার অনুভব করল সব মেয়ের মধ্যেই একজন মা লুকিয়ে থাকে।
আমি খাবার খাওয়া থামিয়ে দিয়েছি দেখে সে বললো "কি হলো খান, কিছু এনে দেবো।"
আমি মাথা দুলিয়ে না বলে ফলগুলো শেষ করলাম।
তারপর ওর সাথে গল্প শুরু করলাম। নাম জিজ্ঞেস করলেম আর সে কোথায় থাকে। সে মিষ্টি হেসে জানালো তার কথা, গল্পটা সাধারণ, তবুও অসাধারণ লাগলো। একজন বাস চালক বাবা মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য সবটা দিয়ে লড়তে পারে। সে উসখুস করছিল কিছু একটা বলার জন্য। আমি বললাম "কিছু বলবে তুমি?"
সে বললো " না মানে.. "
" আরে বলোনা নিশ্চিন্ত ভাবে।"
" আচ্ছা দিদি তুমি জানো তোমার অসুস্থতার কারণ?"
আমি মনে করার চেষ্টা করে বললাম " না , ঠিক মনে নেই।"
মেয়েটা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো "দিদি আমার এখানে মামাবাড়ি, অনেকবার এসেছি। তাই অবাক হয়েছি শুনে আপনাকে ওই ভূতুড়ে বাড়ির বাগানে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখে। সবার মুখে শুনে বুঝেছি আপনি উপরের ব্যলকনি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বাড়ি তো অনেক দিন ধরে বন্ধ, কেউ ওদিকে পা মারায়না ভয়ে। আপনি ওই বাড়িতে ঢুকলেন কি করে আর কি করেই বা ব্যলকনি থেকে পড়ে গেলেন। তারচেয়ে বড় কথা ওতো উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও আপনার চোট মারাত্মক নয় কেন? যেভাবে, যে জায়গায় পড়ে ছিলেন। মানে সামনেটা পাথুরে জমি। আপনার তো হাত পা ভাঙ্গার সাথে সাথে মাথা ফেঁটে আরো মারাত্মক কিছু ঘটে যাওয়ার কথা। কিন্তু আপনার সে তুলনায় কিছুই হয়নি। বিষয়টা নিয়ে গ্রামে খুব কথা হচ্ছে। তাই আপনাকে কথাটা জিজ্ঞেস না করে পারলাম না।"
আমি চুপ করে সব শুনলাম, বুঝতে পারলাম সেদিন যা দেখেছি সব স্বচক্ষে দেখা। কোনো কল্পনা নয়। তার মানে ভয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে ওই কাণ্ডখানা ঘটিয়েছি। কিন্তু এটাই বুঝতে পারলাম না ওরা আমার ক্ষতি না চাইলে কি চায় আমার কাছে?
আমাকে মাথায় হাত দিয়ে চুপ করে বসে থাকতে দেখে উঠে চলে গেল।

