Star's Name's Shatabhisha
Star's Name's Shatabhisha
"হালাল মাংস খাওয়া উচিত নয় কেনো..?
বিদেশে মাংস কাটা হয় একটা Painless Process এ.. মানে একটা injection দিলো সঙ্গে সঙ্গে একটা ইলেকট্রিক করাত এসে ঝপ করে প্রানীটার দেহ আর ধড় আলাদা করে দেয়.. সে গরুই হোক বা ছাগল, সে কিছু বোঝার আগেই তার জীবন শেষ হয়ে যায়... এতে জীবের কষ্টের বোধ প্রায় নেই বললেই চলে... আমাদের হিন্দুদেরও প্রায় প্রায় তাই, এক কোপে কাটে.. একে বলে ঝটকা মাংস..
কিন্তু মুসুলমানদের তা নয়... এরা আড়াইবার পোঁচ দিয়ে গলার আসল রক্তের নালীটা কেটে ফেলে, ছটফট করতে থাকা জন্তুটাকে তখনও জোর করে চেপে ধরে রাখে... তার প্রাণ থাকে, স্মৃতি থাকে, সে তীব্র ব্যথা অনুভব করে... এইবার তাকে জোর করে ততক্ষণ ধরে রাখা হয় যতক্ষণ তার শরীর থেকে রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত সবটুকু বয়ে বেরিয়ে না যায়... ধীরে ধীরে সে ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে.... বিজ্ঞানে বলে, এই প্রচণ্ড কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা জীবের মাংসে তার অভিশাপ যেমন থাকে তেমনি EPINEPHRINE নামে এক হরমোন বেরতে থাকে তীব্র ভাবে... এটা অত্যন্ত হানিকর, মানুষের দেহ মনের প্রভূত ক্ষতি হয়... ভাবনা চিন্তা জড়িয়ে যায়, ক্যান্সার হবার প্রবল সম্ভবনা থাকে...
কিন্তু উপায় নেই, আমরা ভারতবর্ষে খুব অল্প জায়গায় ঝাটকা মাংস পাই.. কারণ হালাল একটা অন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, প্রত্যেক হালাল মাংসের দোকান দিনের শেষে তার উপার্জনের ২% জেহাদি তহবিলে দান করে... এই অর্থই সর্বনাশের মূল...", পড়েই টেবিলের ওপর রাখা laptop টা বন্ধ করে দেয় শতভিষা...
ওদিকে কাঁচ ভেদ করে বাইরে তাকিয়ে কালো frame এর stylish চশমাটা দু আঙুলে ঠিক করে একটা শ্বাস ফেলে cigarette বের করে ঠোঁটে রাখে....
ছিমছাম গোছানো Cafe টার দোতলায় এক কোণে বসে আছে শতভিষা, সামনেই বিস্তৃত কাচের দেওয়াল.. নীচে চওড়া রাস্তায় হু হু করে করে ছুটে চলেছে গাড়িগুলো... বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামার ঠিক আগের মুহুর্তের নেভা নেভা আলোয় এখানকার মনোরম ambience এ বসে তা দেখতে বেশ লাগছে...
মাথার ওপর একটা আলতো লালচে কমলা আলো জ্বলছে, তার আলোয় শতভিষার মুখোমুখি বসে বছর ছাব্বিশের smart পিঙ্গল হেসে জানতে চায়, " কি রে.. পাঠিয়েছে সমীক draftটা..? "...
" হ্যা.. ওই এলোমেলো, not precise.. নেশার ঘোরে থাকলে যতোটা হয় আর কি..", ঠোঁটে cigaretteটা রেখে ধরাতে ধরাতে বলে ওঠে সুশ্রী, ঝকঝকে, সুবেশা শতভিষা.....
পিঙ্গল মৃদু মাথা নেড়ে হাসে.. "আমি বুঝিনা এতো কিছু থাকতে তুই এই হিন্দু মুসলিম, secularism, ধর্ম এইসব নিয়ে কেনো মাতামাতি করিস..! এই করেই মাস সাতেক আগে আমাদের paper টা ছাড়লি...পইপই করে তখন তোকে বারণ করেছিলাম ভিষু, এখন আবার এই company তেও সেই নিয়েই, দেখ কতদিন allow করে... I don't understand কতো different issues আছে, there are so many burning topics...!"... পিঙ্গল হাত বাড়িয়ে দিলে শতভিষা ওকে lighter টা pass করে ধোঁয়া ছাড়ে....
" May be there are...", নিজের stylish boy cut চুলে একবার হাত বুলিয়ে বলে ওঠে শতভিষা," তার জন্য তুই তো আছিস, তোদের paper আছে.. সন্ধ্যেবেলা TV channel গুলোতে সুড়সুড়ি দিয়ে সেজেগুজে বসা বড় বড় দিদি থেকে শুরু করে serial, cinema করা মামণিরা আছে.. আরো সবাই আছে.. Let me do my part,right..? আর ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করি না তো, জেহাদী আগ্রাসন নিয়ে কথা বলি...".... মৃদু হাসিটা লেগে থাকে শতভিষার ঠোঁটে....
ততক্ষণে পিঙ্গলও cigarette ধরিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে lighter টা রেখেছে টেবিলে, "বাবা..! তোর ধক্ আছে, Asif এর সাথে থেকেও এখনও চালিয়ে যাচ্ছিস তোর সেই anti জেহাদী movement,বিপ্লব...? No really, আরে যাই হোক.. তাই বা করবি কেন? দুনিয়ায় চর্চা করার জন্য জিনিসের কি অভাব পড়েছে নাকি.... ? এই আমাকে দেখ‚ এসব নিয়ে কোনো মাথাই ঘামাই না, আমার কাছে মানুষের একমাত্র পরিচয় সে মানুষ... ব্যাস, cas... তা না যতোসব উটকো...!"....
মৃদু হেসে ঘাড়ের পেছনে একবার হাত বোলায় শতভিষা.. ঘাড় কাত করে বলে ওঠে, " আচ্ছা, পিঙ্গল, তুই নিজে মানুষ তো..? সেই পরিচয় নিয়ে তুই কতদূর ভাবিস আর কী করিস..? আর শুনবি আমি কেন করি...?"....
বেতের চেয়ারটায় পিঙ্গল relaxed বসে একটা সুখটান দিয়ে বলে ওঠে," শোনা... এখানে তো আবার service এর যা অবস্থা তাতে এরকম একটা topic time killing এর জন্য মন্দ নয়, তাও যদি আবার তোর মতো বিপ্লবীর মুখে শোনা যায়... ".... বাঁকা রেখা ফুটে ওঠে পিঙ্গলের ঠোঁটের কোণে.....
ধোঁয়া ছেড়ে ধারালো চোখে মৃদু হেসে শতভিষা কটাক্ষটা কেটে বলে ওঠে, " হমমম... কাঠি কাদের অস্ত্র জানিস তো..? যাদের জীবনে ধার নেই.. আবার ধর যাদের জীবনে আছে তাদের সামনে সব কাঠিই অচল.... ", এবার শান্ত, বাঁকা রেখাটা জ্বলজ্বল করে ওঠে শতভিষার ঠোঁটের কোণে, মাথার চুলে একবার আনমনে আঙুল চালিয়ে পিঙ্গলের চুপসে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে," আচ্ছা, আমি ভাবছি বলবো তো But কোথা থেকে শুরু করি বল তো, তোর তো আবার knowledge এর যা দৌড়.. নাহলে কেউ ডিমকে নিরামিষ, veg বলতে পারে..?"... হেসে Cigarette এ একটা টান দেয় শতভিষাও.....
"জীবন চলতে যতোটা knowledge লাগে আছে, extra কোনোকিছুই ভালো না বুঝলি... আর এই শোন, ডিমে flesh blood কোথায়, ওটা একরকম veg ই..!", পিঙ্গল জোর দিয়ে বলে ওঠে...
শতভিষা মৃদু হাসে.. "....You're eating curses, doing feticide.. those eggs didn't come out of a mother's ovary to satisfy your tastebuds.. Those had the fetus inside, technically a chick.."....
পিঙ্গল সোজা বসে বিরক্ত হয়ে বলে ওঠে, "এই সব জেনেও বাজে বকিস না তো..! the eggs we buy at the local supermarket, which are usually factory-farmed... These factories rely on the fact that hens lay produce eggs based upon light cycles...So, the eggs that most of us eat don't have embryos, fetus inside... And even the eggs from farm and backyard chicken eggs probably haven't developed enough to be at the stage where one would be eating a baby chick..!".....
"Light cycle... Right, they don't have fetus inside because you people force them to undergo this inhuman artificial process, just to eat their unborn babies up..", শান্ত বসে ধোঁয়া ছাড়ে বলে ওঠে শতভিষা...
পিঙ্গল একটা শ্বাস ফেলে ashtray তে cigarette এর ছাই ফেলে বলে ওঠে, " এই তুই যেটা বলবি বলছিলি সেটা কি আদৌ বলবি নাকি স্রেফ এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছিস..?"....
শান্ত হয়েই বলে ওঠে শতভিষা, "এড়িয়ে যাবো কেনো..? Infact, আমি তো বলতেই চাই শোনার লোক পাই না, লিখতে গেলেও কলমের মুখ চেপে ধরে ওরা.. আজ যখন বলার সুযোগ পেয়েছি, শোন তাহলে.. আচ্ছা পিঙ্গল, কোরাণ পড়েছিস..?"...
ভ্রু কুঁচকে মাথা নাড়ে পিঙ্গল, " না.."....
"গণিমতের সম্পদ কাদের বলে জানিস..? দার উল হার্ব, দার উল ইসলাম কি জানিস...? গাজওয়া- ই -হিন্দ...? ", cigarette এ একটা টান দেয় শতভিষা....
পিঙ্গল ধীরে বিস্ময়ে বলে ওঠে," না, এগুলো আবার..."....
শতভিষা স্থির তাকিয়ে বলে চলে," ছাড়... At least, ১৯৪৬ এর কলকাতার হিন্দু গনহত্যা নিয়ে কিছু পড়েছিস...?নোয়াখালী হিন্দু গনহত্যার ব্যাপারে কিছু জানিস..? 'বাবারা আমার মেয়েটা বড্ড ছোটো‚ তোমরা সবাই এক এক করে এসো'- কে কাদের কেনো বলেছিলো জানিস...?"....
"না.. কেনো...?", পিঙ্গল শেষ করতে পারে না, ওর চোখের দিকে তাকিয়ে শান্ত অথচ অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে শতভিষা বলে ওঠে," যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের পদত্যাগপত্র পড়েছিস...?আচ্ছা, হুমায়ূন আজাদের 'পাক সার জমিন সাদ বাদ' পড়েছিস....? অধিকারী থিসিসে কমিউনিস্টরা কিভাবে দেশভাগের চক্রান্ত করেছিল সেটা জানিস...? নজরুলের 'বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা' কবিতাটা পড়েছিস...? শ্রদ্ধানন্দ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানিস,রবীন্দ্রনাথের 'কালান্তর' প্রবন্ধ পড়েছিস বা সৈয়দ মুজিবুল্লার' বিতণ্ডা'...?"....
পিঙ্গল মিনমিনে স্বরে মুখ খুলতে গিয়েও থেমে যায়.. বলে চলে শতভিষা.. "মালাবার হিন্দু গনহত্যার ব্যাপারেও কিছু জানিস না নিশ্চয়ই, মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী...? পড়েছিস কখনো..? তামাম আরব- মধ্যএশিয়া- ইরাণ থেকে কিভাবে অমুসলিমরা বিলুপ্ত হয়ে গেলো তা তোকে ভাবিয়েছে, সেই ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা আছে...? কাশ্মীরে হিন্দু গনহত্যা নিয়ে কিছু পড়েছিস, অন্তত জিজিয়া কি জানিস...?"......
Cigarette টা পুড়তে পুড়তে পিঙ্গলের আঙুলে এসে ছ্যাকা দিলে ও চমকে উঠে সেটা ঠিক করে ধরে বলে ওঠে," এই.. ন.. না, দেখ সত্যি বলতে.... "....
শতভিষা cigarette এ শেষ টানটা দিয়ে বলে ওঠে," বাদ দে, তোর familyকে কেনো বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে হয়েছে এটুকু জানিস...?"....
"ওই আর কি, সেরকম ভাবে....", পিঙ্গল cigarette এ আবার একটা টান দিলে, শতভিষা ashtray তে নিজের শেষ হওয়া cigarette টা ফেলে দেয়.. lighter টা নিয়ে পাশে রাখা bag এ ঢুকিয়ে ওর কথাটা সম্পূর্ণ করে বলে ওঠে, " কোন নায়িকা কার ঘরে ক'বার ঢুকলো ছাড়া আর কিছুই জানা হয়নি, তোর আর দোষ কি ওই যৌন বুভুক্ষুতা বেচেই তো খাস.. ঠিক এইজন্যেই তুই secular আর আমি বোধ হয় তোর ভাষায়, তোর কাছে তথাকথিত সাম্প্রদায়িক... কারণ আমি কোরাণটা পড়েছি‚ ইতিহাস একটু হলেও জানি.. পরিবারের অতীত জেনেছি আর তুই সেসবের ধারে কাছ থেকেও যাসনি.. দুটো সম্প্রদায়‚ দুটো জাতি‚ দুটো সভ্যতা কেনো আলাদা তা জানতে হলে বই পড়তে হয়‚ তাদের নিজস্ব নিয়ম কানুন থেকে শুরু করে তাদের গোটা ইতিহাসটা জানতে হয়‚ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়... সবাই সমান এইটুকু মত পোষণের জন্য চোখ ওল্টানো অজ্ঞতাই যথেষ্ট, আর তোর সেটা আছে... যাই হোক, তাও এতোকিছুর পরেও হালাল মাংসই শুধু চূড়ান্ত সর্বনাশের কারণ আর সারা বিশ্বজুড়ে জলজ্যান্ত এক একটা প্রাণ কেটে কেটে খাওয়া একেবারে normal food habit এর আওতায় পড়ে, এবং সেটা একেবারেই ক্ষতিকর নয় এটাও আমি মানি না, সেটাও আমি article এ add করবো..!".......
"এই দাড়া, না তোর মজ্জাগত স্বভাব ওই খোঁচা দেওয়াটা side এ রেখেই বলছি, তো তুই হিন্দু না, মুসলিম না, তাহলে কি... মানে তোর লড়াইটা কি নিয়ে....?! ", পিঙ্গল অবাক হয়ে টেবিলে দু হাত রেখে জানতে চায়.....
মৃদু হাসে শতভিষা.." মানবতা, humanity.. Humanityর প্রকাশ and also তার বিকাশ নিয়ে... By the way, লড়াই থেকে মনে পড়লো, Recently Shefali vaidyar movement টা বেশ খাচ্ছে কিন্তু, আমাকে একটা কলাম লিখতে বলেছিলো এই নিয়েই ধী দা, definitely positive... আমি just পারবো না বলে দিয়েছি.. এরপর যা করার হয় করুক... orderটা এখনও নিতে এলো না রে...?"... এদিকে ওদিকে তাকায় শতভিষা..
পিঙ্গল ওর শেষ কথাটাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলে ওঠে," না করলি কেনো..? লেখাটা লিখতে পারতি, আর কিছু না হোক অন্তত Shefali Vaidyaর নামে কাটতো আর এদিকে তোরও বেশ কিছুটা এগোতো... ", মৃদু হাসে পিঙ্গল....
" Shefali Vaidya is raising voice for Hinduism, Hindu symbols... No bindi no business movement চালাচ্ছে, বলছে, Being hindu is being free.. Hypocritical, Isn't it..? তোর কি মনে হয়, This is the ideology to follow..?! Aren't symbols are the irony in itself..? It divides people, pointing out what ours what yours..! Is it the way to be free..!?"..... হাতে প্রশ্নের ইঙ্গিত করে পিঙ্গলের দিকে ঈষৎ বিরক্ত তাকায় শতভিষা.....
"তাহলে পথটা কোথায়...? মানে কোন দিকে..?", ভ্রু নাচিয়ে পিঙ্গল হেসে জানতে চায়...
" The only way to be free is to be a human being, a proper human being, showing humanity, showing the highest aspect of mankind....", বলে ওঠে শতভিষা....
পিঙ্গল কেমন যেন খোঁচা দিয়ে বলে ওঠে, "..আর তার জন্যই বোধ হয় তোর Asifএর সাথে প্রেমটা করতে আটকালো না বল..? তোর বাড়ি থেকেও তো মানেনি... But তুই দিব্যি....", ভ্রু তুলে হতাশার ভাব প্রকাশ করে মৃদু মাথা নেড়ে waiter এর টিকি খোঁজে পিঙ্গল....
খোঁচা খেতে অভ্যস্ত শতভিষা মৃদু হাসে.. "ধরে নে এটাও এরকম বিপ্লব, মমমম love movement...! সাত মাস হয়ে গেলো তো মা, বাবার থেকে দূরে আলাদা থাকি, আমি একা তো বাড়ি ছাড়িনি, Asifও ওর বাড়ি ছেড়েছে... তবে আমি বাড়িতে টাকা পাঠাই, Asifও... আমরা Share এ থাকি, দুজনেই half half খরচা bear করি... ধর্মের নামে সুখ জলাঞ্জলি দেওয়ার মতো ন্যাকামোটা আমি করতে পারবো না, Asifও নয়... We're happy, he prays his namaz, salah.. I'm still Shatabhisha Mukherjee and believe me, worship তেত্রিশ কোটি দেবতা as well.... Jesus ও আছে....."..... মিষ্টি হাসে শতভিষা...
কথাটা শেষ হতে না হতেই waiter চলে আসে.."Sir, Mam, your orders please..."....
পিঙ্গল বলে ওঠে, "একটু হালাল মাংস হবে...?".... শতভিষা চশমার ফাঁক থেকে সুপ্ত কৌতুক নিয়ে তাকায় একবার waiter এর বিস্মিত মুখের দিকে, তারপর গলা পরিষ্কার করে সাথে সাথে বলে ওঠে, "For him one tiganita and for me one Falafel Wrap..".... Waiter welcome drink রেখে order note করে মাথা নেড়ে চলে যায়...
Waiter চলে যেতে সাথে সাথে পিঙ্গল শতভিষার নিজের জন্য করা order শুনে welcome drink টা হাতে নিয়ে বলে ওঠে, "এটা কী আবার food movement..?"....
"তুই যদি anyhow প্রাণীদের কষ্ট না দেওয়া mean করিস তাহলে তাই,আমি আর Asif এই food movement-এ বিশ্বাসী...", শতভিষা মৃদু হেসে drink এ মনোনিবেশ করে....
পিঙ্গল drink এ একটা বড় চুমুক দিয়ে আশাহত, বিরক্ত হয়ে ব্যঙ্গের মৃদু হাসি হেসে বলে ওঠে..."প্রাণীদের কষ্ট না দেওয়া, আমি তাহলে প্রাণীর মধ্যে পড়ি না বলছিস..? ধুর..! সাত মাস পর ডাকলি ভাবলাম নিশ্চয়ই কেটে গেছে.. ", বুক pocketএ একবার হাত বোলায় পিঙ্গল, "..এবার বোধ হয় আমার chance লাগলেও লাগতে পারে কিন্তু দেখ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তোর বাজে বকা শোনানোর জন্য আমাকে ডাকতে পারিস কিন্তু আমি propose করলে accept করতে পারিস না..".....
শতভিষা চশমাটা ঠিক করে বলে ওঠে," পারি তো... Rather তুই পারিসনি আমাকে accept করতে... তুই বলেছিলি একেবারে ছাদনাতলায় গিয়ে বসতে, আমি কিন্তু রাজী ছিলাম... Just বলেছিলাম, এক নয় বিয়ের পর তোর আর আমার দুটো familyই একসাথে থাকবে আর নাহলে আমি আর তুই দুজনেই family ছেড়ে বেরিয়ে এসে একসাথে থাকবো.. আমি একা সবাইকে ছেড়ে তোর বাড়িতে গিয়ে থাকবো, একাই সবার সাথে, তোদের বাড়ির So called নিয়মের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেবো, আমি একা নীড় হারা পাখির মতো বাইরের পুরো ঝড়টা face করবো, negetive কথা থেকে ব্যবহার সহ্য করবো আর তুই নিজের বাড়িতেই বসে সমস্ত advantageগুলো নিবি, কিছুই পোহাবি না সেটা just হয় না... বাড়ি ছাড়লে দুজনই ছাড়বো, আর পরিবার নিয়ে থাকলে দুজনেই পরিবার নিয়ে থাকবো.....".... Drink এ চুমুক দেয় শতভিষা...
" আর এটা, এটা হয়...!!?", গলা চড়ে যায় পিঙ্গলের, দ্রুত ও একবার চারদিকটা দেখে সামলে নেয় নিজেকে...
" হওয়ালেই হয়, হতো..!", শতভিষা এটুকু উচ্চারণ করা মাত্র ওদের টেবিলে dishes serve করে দিয়ে যায় waiter... সে চলে গেলেই খালি glass টা সরিয়ে plate টা টেনে নিয়ে আবার মুখ খোলে শতভিষা," See, যতক্ষণ তুই কিছু না করছিস ততক্ষণ তোর জীবনে কিছু হবেই বা কি করে..? আর তুই রামমোহনের যুগে পড়ে থেকে ভাবতেই পারিস একটা মেয়ে তোর family তে এসে তোর আর তোর familyর দেখাশোনার, welfare এর সব দায়িত্ব নিয়ে নেবে, তাও একেবারে হাসিমুখে.. But believe me কোনো মেয়েই সেটা মন থেকে করে না..! কারণ তারা হঠাৎ করে just একটা লোক দেখানো ritual এরপরই অন্য একটা পরিবারে গিয়ে, সব অপমান সহ্য করে হাসিমুখে তাদের আপাদমস্তক যত্ন নিতে পারে না.. আর সেটা করতেও তারা জন্মায়নি.. নিজের মা, বাবা থাকতে অন্যের মা বাবা যারা কতগুলো মুখোশধারী ভদ্রলোক তাদেরকে জোর করে আপন করে মা বাবার জায়গা দিতেও জন্মায়নি... even তাদেরকে মা, বাবা বলে ডাকলেও parents জাতিটাকে insult করা হয়, now don't say তোর বাবা, মা আলাদা... "... Plate থেকে খাবার মুখে তোলে শতভিষা......
"তোদের তো আবার এই হ্যাপাটাই নেই, মেয়ের বাবা মার থেকে যতো দূরে সরে থাকবি ততো তোদের সুনাম অথচ একটা মেয়েকে ছেলেটার বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে আপন করে নিয়ে So called সুনাম অর্জন করতে হবে, absurd.. Why..."....
পিঙ্গল drink টা শেষ করে বলে ওঠে, "অনেক ছেলেরা সেই দায়িত্ব নেয়... আমার নিজের চোখেই দেখা.. "...
খাওয়া থামিয়ে seriously বলে ওঠে শতভিষা, " হ্যা, হয় তো.. আমিও দেখেছি... Problem is they are not forced to do that, that's their free choice যে সে তার wife এর বাড়ির দায়িত্ব নিতে চায়, কখনো সংযুক্তার কাছে গিয়ে দেখিস 'পাত্রী চাই' section এ ছেলেদের বাড়ি থেকে কেমন mails, letters আসে... তাদের কি demands থাকে, বলে দেওয়া হয় so called ডানা কাটা পরী পাত্রীর ভাই থাকা আবশ্যক যাতে এক কণাও ছেলেটার ওপর গিয়ে না পড়ে...but here we women are forced to take care of the man, his family.. from whole family, their wishes to their underwears....! Why can't a woman choose her way of life, সেও তো বিয়ে করে বাড়িতে husband নিয়ে এসে নিজের মা, বাবার সাথে lifeটা হাসতে হাসতে কাটিয়ে দিতে পারে.....? Why can't we think like that...?".....
পিঙ্গল আবার খাবার মুখে দিয়ে শতভিষার দিকে কয়েক মুহুর্ত শান্ত তাকিয়ে জানতে চায়.. "...তোর ইচ্ছে করে না বাকিদের মতো করে হৈ হৈ করে বাঁচতে..? এসব ছেড়ে দিয়ে একটা সাধারণ মেয়ে হয়ে বাঁচতে..? আশেপাশের সবাই তোর সুনাম করবে আর তুই... "....
" হাতের শাখা পলা নেড়ে হেসে হেসে বলবো, ছোটবেলা থেকে শিবের মাথায় জল ঢেলেছি তো তাই শিবের মতো বর আর কৈলাসের মতো সুন্দর, সাদা শ্বশুর বাড়ি পেয়েছি....?! Really পিঙ্গল...? Look, acquire করার জন্য there are so many titles, medals, awards...যদি merit ওতোটা permit নাও করে acquire করার জন্য at least, conscience আছে, values আছে... এই যুগে এসে পিছিয়ে পড়া একটা অশিক্ষিত, বর্বর tradition follow করে পাড়ার nighty পড়া, এর ওর খবর কুড়িয়ে সুখ পাওয়া কাকিমাদের কাছে সুনাম অর্জন করতে হবে.. কেনো...?", হাসে শতভিষা, খাবার মুখে দেয়.....
"তাহলে বাবা, মা আমাদের বড় করে এই দিনটা দেখার জন্য..? শেষ বয়সে এসে দেখাশোনা, একটু পাশে বসে কথা বলা এটুকুও কি ওদের প্রাপ্য নয়...? তাদের কি কিছুই পাওনা নেই..? ", অনীহায় খাবার মুখে তোলে পিঙ্গলও...
" কেনো নয়, definitely প্রাপ্য... তাই তো বলেছিলাম তোকে, চল বিয়ে করে দুটো পরিবার নিয়ে আমরা একসাথে থাকি, সবাই সবাইকে দেখে রাখবে... আর দেখ, তুই যা বলেছিস তবে বলতে হয় সেটা যে বাবা মায়ের এক মেয়ে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে খাটবে না কেনো, এক মেয়ে জন্ম দেওয়া বাবা, মায়ের পাওনা থাকতে নেই..? সেই মেয়েটা তো পারে বিয়ে করে বাড়িতে বর নিয়ে আসতে নিজের মা, বাবাকে দেখাশোনা করার জন্য... পারে না..? আর এই যুগে টাকার যুক্তিটাও ধোপে টেকে না যে ছেলেটা earn করে তাই মেয়েটা তার বাড়িতে গিয়ে থাকবে, তাকে যত্ন করবে... এখন উল্টোটাও তো সম্ভব because মেয়েরাও এখন ভালোবেসে একটা বর পুষতে পারে, ততোটা স্বাবলম্বী হয়েছে...Well, আমি অন্তত পারি..."......
পিঙ্গল হেসে বলে ওঠে," তোকে আমি অনেকবার বলেছি ভিষু যে একটা psychiatrist consult কর, life is not a movement.... তুই... "....
শতভিষাও হাসে, তবে অন্যরকম অর্থপূর্ণ সে হাসি.." জানিস, বিপ্লব খুব ছোয়াচে, বিপজ্জনক... একটা মন থেকে শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে হাজার হাজার, লক্ষ্য কোটি মনে.. প্রতিটা মানুষের কোষে, মাথার ঘিলুতে, সমস্ত বিশ্বে... আর তাই তোরা ভয় পাস, ভয় পেয়ে এই বিপ্লবকে আটকানোর একটাই উপায় তোরা জানিস, সেই একটা মনকে রোগী সাব্যস্ত করে একঘরে করে দেওয়া... ঠিক যেমন তোরা Galileo কে করেছিলিস, কিন্তু আটকাতে পারলি কি...?"... খাবার মুখে দেয় শতভিষা, চোখ দুটো উজ্জ্বল, ধারালো হয়ে ওঠে ওর...
পিঙ্গলকে ততটাই নিস্পৃহ দেখায়, "Asif কিছু বলছে না...?সেও তোর সাথে ড্যাং ড্যাং করে তুই যা বলেছিস একেবারে তাতেই........?", মাঝেই শতভিষা মুখ খোলে তাই বাধ্য হয়ে থেমে খাবার মুখে দেয় পিঙ্গল...
"Asif একটা chance পেয়েছে বুঝলি, বলছে it could be a turning point for his career.. এই মাসেই Italy যাচ্ছে.. যাওয়ার আগে বিয়েটা সেরে নিতে চায়.. না না, No নিকাহ, no শুভ বিবাহ... Only legality, registration... তার পরেই একটা ছোট party... So... ", বলেই শতভিষা spoon টা রেখে নিজের bagটা থেকে একটা সুন্দর invitation card বের করে পিঙ্গলের দিকে এগিয়ে দেয়...
"আসিস.. আমার দিক থেকে তুই-ই আছিস.. বাকিরা already নাক সিটকে সরে গেছে আমিও আর তাদের টানাটানি করতে চাই না, আপাতত তোকে এই কারণেই ডেকেছি...".... কথাটা বলে হেসে শেষ biteটা নিয়ে plate টা সরিয়ে রাখে শতভিষা....
পিঙ্গলের মুখটা হঠাৎ বিস্বাদ হয়ে ওঠে," ভিষু, don't mind but আমি তোকে বলছি... এটা টিকবে না, don't..."...
"হয়তো, হয়তো টিকবে না জানিস... তার জন্য এখনকার মতো যেটা সত্যি সেটাকে ignore করি কি করে.. আর যদি না টেকে টিকবে না, I believe, যার যতোটা থাকার সে ঠিক ততোটাই থাকবে... আর বাকিটা নিজের মতো করে চলার ক্ষমতা আমার অন্তত আছে.... হয়তো বা তখন সঙ্গী হবে অন্য কেউ বা কেউই নয়.... "... শতভিষা determined, দৃঢ় তাকিয়ে খুব হালকা করে ভারী কথাগুলো বলে উঠলে পিঙ্গল ওর দিকে তাকিয়ে যেমন অবাক হয় সেরকমই শতভিষাকে জীবনের গুরুত্ব বোঝাতে না পেরে বিরক্তও হয়...
" কি কেউই নয়..? জীবনের শেষপ্রান্তে এসে একজনকে অন্তত দরকার পড়ে, তোর ইচ্ছে করে না একটা গোছানো সংসার হোক যেখানে Asif এর মতো টিকবে কি টিকবে না গোছের কোনো insecurity থাকবে না, নিজের সন্তানরা থাকবে, ভালোবাসা থাকবে... হেসে খেলে কাটাবি শেষ জীবনটা... ", পিঙ্গল খাওয়া থামিয়ে serious হয়ে ওঠে...
"গোছানো সংসার, সংসার কি আদৌ গোছানো হয়, পিঙ্গল..? বরং আমরাই গুছিয়ে কল্পনা করে একটা কাল্পনিক জগত, মানে ওই সংসার চাই...calculate আর plan করে ছেলে, মেয়ের জন্ম দেবো তারপর হিসেব কষে তাদের বড় করবো, তারপর চাইবো শেষ জীবনে যেন তারা সেই সমস্ত হিসেব সুদে আসলে ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের দেখে, আর তখন তারা তাদের নিজেদের জীবনটা নিজেদের মতো করে calculate আর plan করতে চাইলেই রেগে যাবো কারণ তখনকার আমি অসহায়... Plan বা calculation সবেতেই অক্ষম, তাই না বল... ", শতভিষাকে দেখে পিঙ্গলের মনে হয়, ও যেন সত্যি আকাশের কোনো উজ্জ্বল নক্ষত্র... পৃথিবীর মাটি গায়ে মেখে ওকে ছোঁয়ার আশা শিশুমনের এক বেয়াড়া ধরণের খেয়াল মাত্র, যা পূরণ হওয়ার নয়....
তবু যা ধরা যায় না তাকে ছোয়ার জন্য যেমন প্রাণ আকুল হয়ে ওঠে ঠিক সেভাবেই পিঙ্গল যেন এবার মরিয়া হয়ে ওঠে, শতভিষার দিকে একটু এগিয়ে বলে ওঠে," ভিষু তুই কিন্তু এবার যা তা বকছিস.. It's normal... জীবনে একটা গোছানো plan এর বড্ড দরকার, ভালোবাসার বড্ড দরকার নাহলে...."...
"হমম ভালোবাসি তো...", হাতে হাত রেখে বাইরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে শান্ত, উদাস বলে ওঠে শতভিষা, "মমত্ব বোধও অনুভব করি, ভীষণ ভাবে... কিন্তু সব ভালোবাসাকে একইরকম হতে হবে..? সব মমত্ব বোধকে একই খাতে বয়ে যেতে হবে, বল তো..?", ভ্রু কুঁচকে তাকায় শতভিষা পিঙ্গলের দিকে.. "আমারটা হয়তো একটু অন্যরকম, আজ যদি রামমোহন, বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে সুভাষ বোস ছেলেমেয়ে নিয়ে শুধুই park এ বা aquaticaয় ঘুরে বেড়াতেন আমাদের হয়তো আর এই পৃথিবীটা দেখা হতো না.... ", উদাস গলায় বলে ওঠে শতভিষা......
" Absurd..! আর এখন তুই আবার সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পৃথিবীটাকে পাল্টে দিবি..?", হালকা উত্তেজিত হয়ে পড়ে পিঙ্গল..
"না.. আমি শুধু নিজের জীবনের একটা philosophy, way set করেছি, সেটায় ভর দিয়ে বাঁচতে চাই.. Infact, বাঁচি... অন্যকে পাল্টানোর তো কোনো দায় তো আমার নেই.. চলার পথে কেউ যদি কাঁধে, হাতে হাত রেখে এই রাস্তা বেছে নিয়ে এগিয়ে আসে আমার চলার পথের সঙ্গী হতে, আসবে... ঠিক যেমন Asif এসেছে..."...
" For God's sake, জীবনটা বিপ্লব নয় ভিষু, it's....", পিঙ্গলকে স্বল্প অস্থির দেখায়...
" কি করবি বল কারো হয়তো জীবন চলার দৃষ্টিভঙ্গিটাই বিপ্লবী.. আর জানিস তো বিপ্লবের নির্দিষ্ট মুখ নেই, সে অনন্তকাল ধরে চলে কেউ কেউ শুধু তার মধ্যে মিশে ইটের ওপর ইট হয়ে তাকে আরো উচু করে তোলে, আর একটা সময় ইট চাপা পড়ে যায় আরও ইটের তলায়, নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় মুখগুলো.. মানুষগুলো হারিয়ে যায় কিন্তু বিপ্লব জিতে যায়.. বিপ্লবকে জিতিয়ে তারা মরেও অমর হয়ে থাকে... তারা হাসে যখন দেখে তাদের তৈরি করে দেওয়া সুগম পথে হাজার হাজার privileged প্রাণ বয়ে চলেছে উন্নত মননের দিকে.. বুঝলি না, না রে...? ", laptop টা bag এ ঢুকিয়ে উঠে পড়ে শতভিষা, চুপ করে তাকিয়ে থাকে পিঙ্গল..
শতভিষা হেসে পিঙ্গলের দিকে এগিয়ে যায়, "থাক যতোদিন না বুঝছিস, শতভিষারা না হয় পিঙ্গলদের পকেট বন্দিই থাক.. Asifদের হাত ধরে এগিয়ে যাক বিপ্লবের পথে...", বলে পিঙ্গলের বুক পকেটে দুবার আলতো pat করে, invitation card টা আরো একটু এগিয়ে দিয়ে পা বাড়ায় শতভিষা বাইরের দিকে....
পিঙ্গলের দু চোখ চিকচিক করে ওঠে.. দু চোখ মুছে বের করে পকেট থেকে টুকরো কাগজটা.. ভাজ খুলে তাতে চোখ রাখে, " ভিষু, আমি তোর ছোঁয়ানো রং মেখে তোর সাথে জীবনের বাকি সবকটা রঙিন বসন্ত উৎসব কাটাতে চাই.. না sorry, Christmas এ champagneএ চুমুক দেওয়া , Easter এ bunny সেজে funny রঙিন ডিম সাজানো , Eid এর বিরিয়ানি খাওয়া থেকে শুরু করে যা যা আছে সবটা তোর হাতে হাত রেখে দেখতে চাই, উপভোগ করতে চাই... তোর সাথেই আদরে ভেসে যাওয়া রাত কাটিয়ে ভোরে চোখ খুলে তোর এলো চুল বুকে লেপটে মুখের ওপর ঝুঁকে পড়া তোর দু চোখে, তোর স্পর্শে আবার হারিয়ে যেতে চাই.. এভাবেই তোর সাথে প্রতিটা সকালের সাক্ষী হয়ে থাকতে চাই ভিষু,একসাথে........থাকবি আমার সাথে...?".....
কাগজটা আনমনে হাতে মুড়ে নীচে রাস্তার দিকে তাকায় পিঙ্গল...
ওর চোখের সামনে দিয়ে বড় গাড়িটাতে উঠে চলে যায় শতভিষা,দূর থেকে নক্ষত্রের মতোই যেন চকচক করে ওঠে ও.... আরো উজ্জ্বল হোক ওর উপস্থিতি, চলার পথ.. সেই আলোর ছটা পাথেয় করে শতভিষা এই কালো সমাজের দীনতা কাটিয়ে হয়ে উঠুক এক অনন্য আলোর দিশারী মনে মনে তাই চায় পিঙ্গল......
আর ভালো লাগছে না, টুকরো কাগজটা পকেটে ঢুকিয়ে Menu টা টেনে tips সহ টাকাটা রাখতে যাবে দেখে menu card এর ভাজে জ্বলজ্বল করছে কয়েকটা নোট.. হ্যা, নিজের অংশের টাকা আর tips রেখে গেছে শতভিষা........
"হয়তো তোকে পাওয়া হলো না, আমার এ জীবন আকাশে শতভিষা নক্ষত্র ফুটে উঠলো না.. কিন্তু আমি যে তোকে ভালোবেসেছি সেই আলোয় উজ্জ্বল থেকে যাবে আমার জীবনের বাকি আকাশপথটুকু....".... দগদগে মনে কথাগুলো ভেসে উঠতেই এক চিলতে সুখ ফুটে ওঠে পিঙ্গলের বিষাদ মাখা ঠোঁটের কোণে........
সমাপ্ত
