সম্পত্তি
সম্পত্তি


১৯ এপ্রিল রাত দুটো। সৌরভের ফোনটা বেজে উঠলো ।রিসিভ করল মালা ।চলে গেল কান্তার ঘরে ।স্পিকার ফোনে শুনলো 'ইচ্ছে'নেই ।সৌরভের মাসতুতো ভাই 'ইচ্ছে।'গত এক বছর ধরে একটু একটু করে পিঙ্গল হচ্ছিল তার দেহ ।দৈনন্দিন মদ আর গুটখার কম্বিনেশনে রাজপুত্তুরের মতো চেহারাটা ধীরেধীরে ডেকে আনছিল শনিকে।ইচ্ছের মা-বাবা ইতি পূর্বে গত হয়েছে। রয়েছে বলতে অদ্ভুত চরিত্রের এক নেশা রুম্পা ।দেখেশুনে বিয়ে হয়েছে তার ।স্বামীর ঘর করেনা ।ছুঁতে দেয় না তার শরীর। তার প্রবল আকর্ষণ পারিবারিক ব্যবসার দিকে ।শ্বশুরবাড়ির কোন কিছুই তাকে টানে না ।১৮ই এপ্রিল রাত নটায় প্রবল শ্বাসকষ্ট উঠেছিল ইচ্ছের ।লকডাউন এর অসহায় বৃত্তে মোবাইল ঘেঁটে ছিল রুম্পা ।জ্ঞাতি ভাই সৌরভ ও জয়ন্তর ফোন নাম্বার খুঁজে পায়নি । রাত বারোটা কুড়িতে মাসতুতো দাদা চরণের কল্যাণে প্রায় নিস্তেজ হওয়া দেহটা পৌঁছলো এসএসকেএম হাসপাতালে ।ডাক্তাররা বলে দিলেন কিছু করার নেই।পেশেন্ট হ্যাজ অলরেডি এক্সপায়ার্ড । সকাল হল। সাড়ে আটটা থেকে দুপুর আড়াইটে ।দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে ভবানীপুরে গৃহবন্দী সৌরভ শুনলো রুম্পা বলেছে, দশা খারাপ নাহলে নতুন দিশা মেলে না ।একথা বলতে বলতে রুম্পা এক হাতে ধরেছে ভাইয়ের অস্থি, অন্য হাতে খুলতে চেয়েছে গুটখার প্যাকেট । হঠাৎই সৌরভের ফ্ল্যাটে কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে একটা অতি সূক্ষ্ম বুড়ির সুতো ।সেটাকে দেখে মালা চিৎকার করছে ।'ভাইরাস,ওটাকে মারো । আমার তোমাকে চাই ।অন্য কিছু না ।'