সহচারী
সহচারী


আয় তবে সহচারী হাতে হাতে ধরি ধরি, ছায়া ও কায়া তোমাদের একথা বলি। তোমরা আসো যেন একে অপরের সহচারীর মতো। কায়া থাকলে ছায়া থাকে। কায়া করে বাস্তবে খেলা,ছায়া হারিয়ে যায় গড়িয়ে গেলে বেলা। সূর্যের আহ্নিক গতির সাথে সাথে নিজেও কায়াকে ঘিরে ঘুরতে থাকে ছায়া। কায়া কখনো পিছনে, কখনো সামনে, কখনো বামে, কখনো ডাইনে ঘুরে বেড়ায়। আবার, সে নিজেকে ইলাস্টিকের মতো সারাদিনে ছোট বড়ো করে।
এত কিছু করেও সে পারে না নিজেকে বাস্তব করে তুলতে।দড়িতে সাপ দেখার মতো সে থেকে যায় ভ্রান্তির স্তরে।এই ছায়া দেখেই কিন্তুু কেউটে মারে ছোবল। সারা জগতে চলে এই মিথ্যে ছায়া নিয়ে যত গন্ডগোল।
এই জগতে সবই তো মায়ার সৃষ্ট ভ্রান্তি। সবই ছায়া, সবই মিথ্যা। তবু, সেই মিথ্যের ছায়া নিয়ে নিরন্তর চলে ঝগড়া। কালনেমির লঙ্কা ভাগের মতো মিথ্যের ছায়াই করে সবে কামড়াকামড়ি। এই মিথ্যের ছায়াতেই আমরা ভাসায় খেয়া, বেয়ে চলি সারাবেলা।
এজীবনে আমরা যা কিছু পাই অনুভূতি সবই তো মিথ্যে ছায়ার জাগৃতি। লখিন্দ-বেহুলার কলার ভেলা যেমন করে মিথ্যে বিষধরের কামড় থেকে জীবন বাঁচিয়ে তোলার খেলা।