শায়েস্তা:-
শায়েস্তা:-
রন্টি, তনু আর মিহি এরা তিনজনেই একে অপরের পরম বন্ধু। তিনজনেই এক স্কুলে পরে, এক ক্লাসেই পড়ে তিনজন। এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঁদরামি করে তনু। ভালো নাম তনয় দেব। সারাক্ষণ মাথায় কিছু না কিছু দুষ্টু বুদ্ধি ঘুরছেই মাথায়।
একদিন স্কুল থেকে বাড়ি যাবার পথে দেখলো কয়েকটা ছেলে রাস্তার কুকুর গুলির উপর নুড়ি পাথর ছুঁড়ে মারছে। ওই ছেলেদের দেখাদেখি তনু, মিহি আর রন্টিও কুকুর গুলোর উপর নুড়ি পাথর ছুঁড়তে লাগলো। বেশ আনন্দ এদের কুকুর গুলোকে শায়েস্তা করে, বাকি ছেলে গুলোর সঙ্গে এরা তিনজন সমান ভাবে উপভোগ করছে এই কুরুচিকর দৃশ্য। বাকি ছেলেরা কুকুর গুলো শায়েস্তা করতে করতে নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ করছিল, রন্টি সহ বাকি দুজন খেয়াল করলো ছেলেগুলোর কথা। একটু মনোযোগ দিয়ে শুনেও নিল। কুকুর গুলো পালিয়ে গেলে তনু, মিহি আর রন্টিও চললো বাড়ির পথে। যেতে যেতে সেই সব অশ্রাব্য গালিগালাজ গুলিও বলাবলি করছে এরা নিজেদের মধ্যে।
বাড়ি ফেরার পথে সবার আগে বাড়ী ঢোকে রন্
টি, মিহি আর তনু। আরো বেশ কিছুক্ষণ পর একসঙ্গে যেতে যেতে অবশেষে মিহির বাড়ি তারপর তনুর। তিনজনেই মনের উল্লাসে নেচে কুদে আজ বাড়ি ঢুকলো কিন্তু কুকুর দের শায়েস্তা করার সময় তারা কেউ খেয়াল করেনি যে রন্টির কাকার দৃষ্টিগোচর হয়েছে পুরো ব্যাপারটা, আর এই তিন মহারথীদের বাড়ি প্রবেশ করার আগেই তিনজনের অভিভাবকেরা জ্ঞাত হয়েছেন বিষয়টি সম্পর্কে। রন্টি, মিহি, তনু বাড়িতে ঢুকতেই রন্টির ছোট ভাই, মিহির ছোট ভাই আর তনুর দিদি ঠিক সেরকম ভাবেই চাটি মারলো যেমন টা কুকুর গুলির গায়ে ঢিল ছুড়ে ওরা ওদের চোট লাগিয়েছিল। ঠিক তেমনি ভাবে গলাবাজি করলো যেমন টা এরা তিনজন করছিল, ঠিক এমন ভাবেই তাদেরও কিছু তেতো শব্দের বকা শুনতে হলো যেমনটা তারা বকে এসেছে স্কুল থেকে ফেরার সময়। চোখের জল, নাকের জল মুছে তিন বাঁদরের মত তারাও চোখে হাত রেখে বলল আর এই রকম কুকীর্তি করতে দেখলেও তারা করবে না। কানে হাত রেখে বললো এরম গালিগালাজে কর্ণপাত করবে না আর মুখে হাত রেখে বলল এইরকম কদর্য ভাষার প্রয়োগ আর করবে না।