স্বাধীনতার অধিকার আছে
স্বাধীনতার অধিকার আছে
স্বাধীনতা শব্দটা শুনলেই যেন মনে হয় জীবনে শান্তি ফিরে এলো। এতদিন ছিলাম খাচায় আটকে,,, আজ আমি মুক্ত। পাখির মতন ডানা মেলে আমি এখন যেখানে খুশী উড়ে চলে যেতে পারি। স্বাধীনতা একটা অনুভূতি। সমস্ত রকম দায়বদ্ধতা এবং কোলাহলের উর্ধ্বে এক আমেঘ প্রাপ্তি।
স্বাধীনতা শব্দের মানে আমি অধিন। আজ আমার অধিকার আছে সবকিছু করার।
তবে আমরা কি সত্যিই স্বাধীন হতে পেরেছি?
যদি একটু ভেবে দেখি,, তাহলে চোখের সামনেই ভেসে আসে,, আজও সমাজে চলে পুরুষ শাসিত সংস্কার। আজও নারীর স্থান পুরুষের চেয়ে নিচে।
কিন্তু কেন থাকবে?
আজ তো পুরুষ আর নারীর মধ্য কোন পার্থক্য নেই। আজ আর হাত পাততে হয়না পুরুষের সামনে। বলতে হয় না " কিছু টাকা দাও, অনেক কিছু কেনার আছে।" না,,, সেদিন চলে গেছে। আজ নারীরা পুরুষের মতন পড়াশোনা
করে চাকরি করে অর্থ কামায়। তবে কেন শুনতে হবে পুরুষের হুকুম? কেন মানতেই হবে পুরুষের হুকুম? কোই, পুরুষ তো পাত্তা দেয় না নারীর হুকুম?
এটাই যদি আজও সমাজে চলে, তবে তুমি আর কোথায় স্বাধীন হলে? আজও যদি মানতে হয় কি করবে, কি করবে না, কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক, তাহলে বলা উচিত তুমি আজও কারাগারে বন্দি। তাই মাথা নিচু করে মানতেই হবে সকল কথা।
যদি রাত্রে কোন নারী কারোর সাথে দেখা করতে যায়, তাহলে তাকে সন্দেহ করে প্রশ্ন করাই হবে কোথায় সে ছিল আর কার সাথে। প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে।
যদি কোন নারী অমান্য করে কোন পুরুষের কথা, তাহলেই শুরু হয়ে যায় অত্যন্ত অশান্তি। সে মেয়ে হলে অনাচার হবে কম, আর স্ত্রী হলে, চলবে অত্যন্ত অত্যাচার।
কিন্তু আমরা নারীরা কেন সহ্য করব আর এই অনাচার? একজন পুরুষের কথা মতনই কেন চলতে হবে আমায়?
কিছু পুরুষ বলি ছেলে তো মনে করে নারীদের শক্তি আমাদের ছেলেদের চেয়ে অনেক কম। তাই করব এবং করে মেয়েদের ওপর অত্যাচার। এই যে শুনি প্রাই রেপের কথা।
আজও ভয় পাব একজন পুরুষকে?
না। আর একদম নয়। নিজেদের মন ও শরীরের ও শক্তি নিয়ে আনব। যাতে কেউ না পারে আমাদের হারিয়ে দিতে। পুরুষ শাসিত সমাজ আর থাকবে না। পার্থক্য থাকবে না আর,,, পুরুষ ও নারীর মধ্যে। যে অধিকার আছে পুরুষের সেই সকল অধিকার থাকবে নারীদের ও। থাকবে না আর কোন পার্থক্য।