রূপকথার পৃথিবী
রূপকথার পৃথিবী


এ গল্প অতীত বা বর্তমানের নয়। ভবিষ্যতের ।
প্রায় একশো বছর পরের কথা। অজানা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে পৃথিবীব্যাপী মহামারী হবার পর পৃথ্বীপ্রাণ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। মারা যায় সব মানুষ, প্রাণী । কিন্তু কোন এক অলৌকিক কারণে বা উপায়ে বেঁচে গিয়েছিল সুন্দরবনের একটি মাত্র গ্রাম পিয়ালী। মাতলা নদীর ধার ঘেঁষে এই ছোট্ট গ্রাম। জনা পঞ্চাশ গ্রামবাসী আর কিছু প্রাণী। তার মধ্যে গবাদি পশু সহ কয়েকটি বাঘও ছিল। কিন্তু তারা মাংসাশী ছিল না। আর এক আশ্চর্য সবাইয়ের পিঠে কিন্তু সুন্দর দুটি ডানা ছিল। নদীর জল আর লোনা নেই। সবুজ বন আরও সবুজ । দীর্ঘ সব গাছ নিশ্চিন্তে দাঁড়িয়ে। কাঠুরিয়ার কুঠার নেই। চোরা শিকারীর তীর নেই। পাখি ডাকছে। প্রাণীরা নিজ মনে নির্ভয়ে ঘুরছে। যান নেই। তাই ধোঁয়াও নেই। ধুলো নেই।
মানুষ প্রয়োজন মত উড়ে অন্যত্র যাচ্ছে। পিঠে নিয়ে মায়ারোদ। শিশুরা বিদ্যালয়ে পাঠ নিচ্ছে। সংগীত ভবনে সুরের মূর্ছনা। যুবক-যুবতী, সমর্থ মানব-মানবী চাষাবাদ করছে। খাদ্য তৈরির কাজ করছে। মহামারীতে আধুনিক সংযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে কিছু যুবক । চারপাশে নির্মল বাতাস আর স্বচ্ছ জল। উচ্চ শব্দ নেই। নেই কোন তাড়া কারও । মৃদু স্বরে কথা বলে সবাই । ব্যস্ততা দূরঅস্ত। যে যার নির্ধারিত কাজ করে যাচ্ছে। প্রকৃতি প্রসন্ন। এক স্নিগ্ধ রুপোলি রূপকথায় মোড়া নতুন পৃথিবী।