রূপবতী কন্যার অসমাপ্ত কাহিনি
রূপবতী কন্যার অসমাপ্ত কাহিনি
"রূপবতী কন্যার অসমাপ্ত কাহিনি "
০১/১০/২৫
***লেখক মুন্না আহমেদ ***
সাল টা ২০১১ প্রথম কারোর প্রেমে পরার মতো
কিছু অনুভূতি জন্মেছিল |
প্রথম প্রেমের দিন টা হলো রোদেলা বিকেল,
মিষ্টি আলো বাতাসে বৈচে প্রেমের ঘ্রাণ।
চুলগুলো খুলা এলোমেলো স্নান করে রোদের আলো
গায়ে মেখে দুই ধারের পাহাড়ের মাঝখানে দিয়ে
মিষ্টি গান গেয়ে হেটে যাচ্ছিল।
আমি পেছন থেকে দেখে অবাক দৃষ্টিতে দেখছিলাম
যেমন তার চুল তেমনি রূপবতী
পরনে ছিলো সেলোয়ার-কামিজ লাল এবং কালো
বর্নের।
নাচতে গাইতে চলে গেলো অনেক দূর,
পরে বেস কিছুদিন কেটে গেলো, আমিও
এতো কিছু চিন্তা না করে নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ততম সময় পার করতে
লাগলাম।
একদিন সেই পাহাড়ে, মেয়েটির উদ্দেশ্যেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম।
সেইদিনের মতো আজও ঠিক একিরকম ভাবে, তাকে দেখতে পেয়েছিলাম।
সেইদিনের পর থেকে মেয়েটির জন্য মায়া বেরে যায় ফলে
আজ আর দেরি না করে তার সাথে কথা বলবো বলে পথ আটকে দাড়ালাম।
মেয়েটি আসছিলো আর আমি থাকে দেখছিলাম
সামনাসামনি দেখা হয়ে গেলো।
কথা বলার খুব ইচ্চে হচ্ছিল কিন্তু কি করব
বুঝে উঠতে পারছিলাম না
আস্তে আস্তে মেয়েটি আমার সামনের দিক দিয়ে হেটে চলে গেলো
আর আমি আবারো অবাক দৃষ্টিতে তাকে দেখছিলাম।
লাজুক আর মিষ্টি মুখখানি দেখে প্রাণ টা মোর ভোরে গেলো।
সেদিনও কিছু বলতে পারলাম না।
এক এক করে অনেক দিন পার হয়ে গেলো
পরে কাজের বেস কিছুদিন ছুটিঁ পেলাম, তাই তার সম্পর্কে জানার জন্যে
আমি গ্রামে সব জায়গায় মেয়েটির খুজ নিচ্ছিলাম।
অনেক জায়গায় অনেক খুজ করলাম, কিন্তু কোনো খুজ পেলাম না
অনেক মানুষ'কে জিজ্ঞেস করলাম সেই মেয়েটির কথা কেউ
বলতে পারে না।
গ্রামের মেঠোপথ ধরে হাটতে হাটতে অনেক টা ধুর চলে আসলাম
সামনে বাকে বাকে কাশফুলের বাগান, নদিতে সূর্যের আলোর আবরণ
গ্রামের বাতাসের স্নিগ্ধ সুন্দর গন্ধে প্রাণ টা মোর আবারো জীবিত হলো।
নদীর পানি দেখে ইচ্ছে হলো একটু স্পর্শ করবো
তারপর চলে যাই নদীর তীরে ছোট ছোট নৌকা
আর ইঞ্জিন চালিত নৌকার শব্দে একটু বেশিই ভালো লাগতে শুরু করলো।
নাহ! আজ আর পারবো না গ্রামটা অনেক টা ঘুড়ে দেখেছি...
কাল আবার আসবো মেয়েটির খুজে। এই বলে আমি আবার
বাড়ি ফিরতে লাগলাম,
লিখতে লিখতে ভুলে গেলাম আমার পরিচয় দিতে
আমি জয়: ঢাকায় একটি ভালো চাকরি করি
বাবা মা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি ঢাকায় মামার বাড়িতে
বড় হই আর সেখান থেকেই পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করি।
বাবা মার রেখে যাওয়া শেষ সৃতি দেখার জন্যে আমার গ্রামে আসা!
গ্রামে ছোট একটা বাড়ি ছিলো সেই বাড়িতেই আমি উঠি
যাইহোক চলুন এবার কথায় আসি....
ফিরতে লাগলাম বাড়ির দিকে, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা চুই চুই
"বাড়ি যাবার পথ দিয়ে সেই পাহাড়ের মাঝখান বরাবর
আবার সেই মেয়েটির দেখা, আজ অন্ধকার এর মাঝে
মেয়েটিকে কেনো জানি এক ভয়ানকের মতো দেখতে লাগছে
পাহাড়ি অঞ্চল এর মধ্যে সন্ধ্যা নামলো
বিষয় টা মোটেও উড়িয়ে দেবার মতো নয়।
যতটা এগচ্ছিলাম ততটাই ভয় পাচ্ছিলাম,
দিনের বেলা যা দেখলাম আমার বিশ্বাসী হচ্ছে না যে,
এই রকম দৃশ্যও আমার জন্যে অপেক্ষা করছে।
মেয়েটির সামনে সাহস নিয়ে যাবার ইচ্চা হলো
আস্তে আস্তে মেয়েটির সামনে দিক টা দেখে আমার চোখ কপালে
উঠার মতো।
দেখছিলাম মেয়েটির মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে
চোখ দুটি ফেকাসে রক্ত মাখা মুখ আর
দেহ থেকে পচা গন্ধ বেরচ্ছিল।
আমি তা দেখে হতভম্ব হয়ে পড়লাম...
মাথা কাজ করছে না প্রাণ পনে ছুটবো নাকি
দাড়িয়ে থাকব।
এসব ভাবতে ভাবতে
দেখলাম মেয়েরুপি পিশাচ টা আমার দিকে তেড়ে আসছে।
আর একটুও দেরি করলাম না উল্টো দিকে আমিও প্রাণপনে
ছুটতে লাগলাম
ছুটতে ছুটতে পাহারের শেষ সীমানায় এসে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম
তারপরও সেই পিশাচ,
আমার পিছু ছাড়লো না দেকি
ভয়ানক আওয়াজ করতে করতে আমার দিকে আসতে লাগগো।
ছুটতে ছুটতে হয়রান হয়ে পড়লাম, আর একটু আরও একটু
করতে করতে গ্রামের বাজারের বাতি দেখতে পেলাম
প্রাণে একটু সাহস বাড়লো আরো জোর দিয়ে বাজারে ঢুকে পড়লাম।
আমার এভাবে ছুটে আসা দেখে বাজারে সবাই অবাক হয়ে
ছুটে আসতে লাগলো,আমি নিশ্বাস নিতে পারছিলাম না
এক সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাই।
পরে সকাল বেলা আমি সব খুলে বলি সবাইকে' এরপর
জানতে পাড়লাম মেয়েটিকে কেউ,
নিষ্টুর ভাবে মেরে পাহাড়ে পুতে রেখেছিলো সেই দিন থেকে
সেখানে আজোব আজোব কিছু ঘটনা ঘটতে লাগে।

