STORYMIRROR

Munna Pianist

Romance

3  

Munna Pianist

Romance

"ভালোবাসার মিষ্টি গল্প

"ভালোবাসার মিষ্টি গল্প

5 mins
40

" আমি নীল মাত্র পড়াশোনা শেষ করে ভালো চাকরির খোজ

করছি,কোনো রকম বেকার জীবন টা কাটাচ্ছিলাম। 

একদিন মাঠে খেলা দোলা  শেষ করে বাড়ি ফিরে 

ওয়াশরুমে হাত মুখ দুচ্ছিলাম, 

আয়নার কাছে নিজেকে দেখলাম বেকার জীবন নিয়ে

খুব চিন্তা হচ্ছিলো কোনো জায়গায় কোনো চাকরি পাচ্ছিলাম না।


হঠাৎ মা ডাক দিলেন..

মা: নীল তাড়াতাড়ি আয় বাবা খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে! 

মায়ের ডাক শুনে তাড়াতাড়ি করে খাবারের টেবিলে বসলাম,

মা আমার জন্য সুন্দর করে খাবার পরিপাটি করে সাজিয়ে রেখেছে।


আমি বসে খাবার খেলাম মা বসে আমাকে দেখছেন, 

খেতে খেতে  মাকে দেখে আমার চোখে জল এসে পড়লো 

মায়ের স্নেহ ভালোবাসার কতই না মধুর। 


আজ যদি একটা ভালো চাকরি  করতাম, তাহলে মায়ের জন্য 

ভালো কিছু  কিনে  মাকে উপহার দিতাম।

কি করবো সব জায়গায় অনেক খোজ করলাম কিন্তু পেলাম না,

শেষে বেকার সময় পার করতে লাগলাম। 


একদিন সকাল বেলা ঘড় থেকে বেরচ্ছিলাম... 


রাস্তায় একা একা হেটে বন্ধুদের সাথে দেখা করবো বলে রওনা হলাম,

রাস্তার পাশ দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ আমার বন্ধু কবির এর সাথে দেখা। 


আমি তাকে ডাক দিয়ে বললাম... 

আরে কবির কতোদিন পড়ে দেখা.. 

কবির: দোস্তো কেমন আছিস!  সেই কবে দেখা হলো

আজ এতোদিন পড়ে দেখা চল চা টা খাই।


এই মামা দুই কাপ চাও দাও তো

দোকানি: হ মামা দিতাছি..


কবির: আচ্ছা বল তোর কি অবস্থা..


নীল: দোস্তো ভালো নারে অনেক জায়গায় ঘুরলাম কিন্তু একটা চাকরি 

ম্যানেজ করতে পাড়লাম না।

এদিকে বাবা এ বয়সে কাজে যাচ্ছে ব্যাপার টা আমার কাছে 

খুবি কষ্টকর লাগে, 

মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ে অনেক রাগ হয় একটা চাকরি পেলাম

না। 


কবির: দোস্তো আমার সাথে কাজ করবি 


নীল: কি কাজ!  

কবির: অনেক তো ঘুড়লি  এবার আমার সাথে কাজ কর ভালো

টাকা রোজগার হবে।


নীল: আরে কাজ টা কি বল আগে...!

কবির: শুন আমি কিছু টাকা দিয়ে একটা মোবাইলের 

দোকান খুলেছি তুই আমার দোকান টা দেখবি।

নীল: আরে ভাই তুই ব্যাবসা টা শুরু করছিস তুই কর 

তোর কাজ তোর দোকান আমি দেখলে তোর কি

লাভ হবে। 


কবির: শুন রে ভাই আমার আরেকটা দোকান আছে সেটা

আমার দেখাসোনা করা লাগে, এখন এক সঙ্গে দুই ব্যাবসা দেখি 

কি করে বল,  এখন তুই একটু আমাকে হ্যাল্প করলি

বিনিময়ে আমি তোকে মাস শেষে কিছু টাকা তোকে দিবো।


নীল: আচ্ছা ভালো হবে 

কবির: তুই কাল থেকে শুরু কর,  আর এই নে তোকে কিছু টাকা

অগ্রিম দিলাম।


এই বলে কবির আমাকে কুড়ি হাজার টাকা ধড়িয়ে দিয়ে বললো 

কবির:,ওকে দোস্ত আজ যাই তাহলে তুই  তাহলে কাল থেকে কাজে 

লেগে পর। 


নীল: ওকে দোস্ত 


জীবনের প্রথম রোজগারের টাকা টা হাতে পেয়ে

নিজেকে খুবি খুশি মনে হলো,

আজ  মায়ের জন্য কিছু নতন কাপড় কিনে মাকে

উপহার দিবো।


এই বলে দোকান থেকে ভালো দেখে কাপড় কিনে মাকে

ছালাম করে,  মায়ের হাতে তুলে দিলাম। 

মা আমার নতুন কাপড় দেখে খুবি খুশি হয়ে বললেন 

মা: আমার বাবা আমার জন্য কতো সুন্দর সাড়ি আনছে।


এই বলে মা পাশের বাড়ির সবাইকে দেখাতে নিয়ে গেলো 

আমার প্রথম দেওয়া উপহার... 


এরপর আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে কবিরের ব্যাবসা টা 

দেখি, কাজ করতে করতে 

অনেক টি বছর পার হয়ে গেলো 

পরে বাবা কিছু টাকা দিয়ে বলল.. 


বাবা: শুন এবার নিজে একটা ব্যাবসা নিয়ে বস

এতোদিনে ব্যাবসার খুটিনাটি তো বুজেছো

তাই এবার আমার ইচ্ছা তুমি তোমার নতুন ব্যাবসা শুরু করো।



এরপর আমি একটা নিজের মোবাইল এর ব্যাবসা শুরু করি

ব্যাবসা 


খুব ভালো দিন কাটছিলো, দেখতে দেখতে 

বড় ব্যাবসায়ীদের মধ্যে একজন হই।


একদিন বিকালে রিক্সায় করে যাচ্ছিলাম 

হঠাৎ দেখতে পেলাম,

একটি মেয়ে। 


মেয়েটিকে দেখে চেনা চেনা মনে হলো, কোথায় যেনো দেখেছিলাম

হ্যা মনে পড়েছে কজেল লাইফে আমি একটি মেয়েকে

ভালোবাসতাম মেয়েটির নাম ছিলো খুব মিষ্টি, ইয়ে মানে 

মিষ্টি। 



মেয়েটিকে দেখতে প্রতিদিন মেয়েটির পিছু করতাম, 

হাটতাম মেয়েটির পিছু, দেখলে অন্য দিকে তাকানোর ভান করতাম।


মাঝে মাঝে মিষ্টির বাড়ির পাশদিয়ে হেটে যেতাম।


দেখতাম মাঝে মাঝে বিল্ডিং এর ছাদে সে কাপড় শোখাতে 

আসতো আমার দিকে তাকাতো।



আমি আবার অন্য দিকে তাকানোর ভান করতে লাগলাম 

মেয়েটি মুছকি হাশি দিয়ে চলে গেলো।


এরকম করতে করতে ১ মাস পার হয়ে গেলো 

পড়ে ৪/৫ দিন পর 

একদিন দেখলাম মেয়েটির বাড়ি ফুল দিয়ে গেইট সাজানো। 

আমার মনে খটকা লাগলো, এই রে প্রেম হতে হতে শেষ হয়ে গেলো...


মন টা খারাপ হয়ে গেলো, যে মেয়েকে জীবনের প্রথম ভালোবাসলাম

সেই ভালোবাসা টাও  শুধু ভালোই হয়ে গেলো কাছে আসা হলো না।


রাতে অনেক মনে পড়তো মিষ্টির কথা,  মনটাই খেরে নিয়ে গেছে

বুকের বিতর খুব জালা যন্ত্রণা করতে লাগতো

নিজেকে সামলে রেখে  

পড়াশোনা টা শেষ করি।




আজ এতোদিন পরে তার সাথে দেখা আমার চোখে জল এসে পড়লো

ভাবতে ভাবতে হঠাৎ... 

রিক্সার মামা : ডাক দিলো মামা এই মামা আপনার বাড়ি এসে পড়ছেন

এই ডাক শুনে তাড়াতাড়ি করে নেমে পড়লাম রিক্সা থেকে।

পরে উনাকে উনার টাকা টা দিয়ে বাসায় এসে, 

ওয়াশরুমে ঢুকে মুখ হাত ধুয়ে বেরচ্ছিলাম হঠাৎ মা ডাক দিয়ে বলল


মা:নীল আজকে এক জায়গায় যাবো তুই একটু ভালো করে 

সাজগোজ করে নে বাবা..


আমি মায়ের কথা শুনে বললাম


নীল: মা কোথায় যাবো..! 

মা:  আরে তোর খালা মানে আমার বান্ধবীর বাসায় যাবো... 


মায়ের কথায় আমি বললাম.. 


নীল: আমার যাওয়া কি জরুরি মা..!


মা: হ্যা বাপ এতো কিছু বলতে পাড়বো না এবার চল


এই বলে মা ছেলে রওনা হলাম মায়ের বান্ধবীর বাড়ি 



বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে মা বললো

এই রিক্সা সামনে যাবা...

রিক্সায় করে যাচ্ছিলাম

মা রিক্সা চালকে পথ দেখিয়ে ডান বাম বলতে বলতে 

চলে আসলাম মার বান্ধবীর বাসায়... 

বাসায় এসে একি....... 


এতোদিন যার বাসার সামনে আমি গুরাগুরি করতাম সেই বাসায়

মায়ের বান্ধবী মানে.... কি.....


এরপর চললাম মায়ের সঙ্গে 

বাসায় ঢুকে.... 

কি ব্যাপার এতো আয়োজন  মিষ্টি 

দই খাবার খুব যত্নে পরিপাটি করে রাখা।


মা  মামাকে দিয়ে আগে থেকেই 

সব কিছু আনিয়ে রেখে ছিলো 


বসলাম একসাথে মা মামা 

অন্য  দিকে মায়ের বান্ধবীর পরিবারের সবাই


এদিকে শাড়ি পড়ে মায়ের বান্ধবীর মেয়ে এসে বসলো...


দেখে আমার বিশ্বাসী হচ্ছে না যে এ কেমন করে সম্ভব... 


কিছুদিন আগেই তো দেখলাম বাসার গেইটে ফুল সাজানো 


এই ভাবতে ভাবতে মিষ্টির মা বলে উঠলো...! 

এয় কয়েকদিন আগে আমার বড় ছেলেকে বিয়ে 

করিয়ে দিলাম এবার মেয়েকে বিয়ে দিলে একটু

চিন্তা মুক্ত হলে  ভালো হবে বয়স তো আর কম নয়

কখন যে কি হয়ে যায়। 


এই কথা শুনে মন টা ফুলে উঠলো 

আরে আমার কপালে এতো ভালো ক্যারে.......!

আমার এতো আবেগ ক্যারে মোশাররফ করিমের দেওয়া

সেই ডায়লগ টা দিতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু পাড়লাম না

এখানে এরকম করলে তারা কি ভাববে 


এরপর সবকিছু ফাইনাল হয়ে 

বিয়ে দিন ঠিক করে 

চলে গেলাম... 


২ মাস পর....












 









Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance