।। রাজবাড়ী।। সত্য ঘটনা।।
।। রাজবাড়ী।। সত্য ঘটনা।।
কলেজের সব স্টুডেন্টরা মিলে ঠিক করলো, রাজবাড়ী ঘুরতে যাবে পাহাড় ধারে। সাইন্স আর্টস কমার্স তিনটি ডিপার্টমেন্টের ছেলে মেয়েরা মিলেই যাবে তার সঙ্গে থাকবে স্যার ম্যাডাম। মোট 20 জন ছাত্রছাত্রী আর ৬ জন স্যার ম্যাডাম। সালটা হবে ২০০১/ ২/আমি এখানে রাজবাড়ীর নামটা বললাম না কারণ বলাটাও ঠিক হবে না। ওরা সবাই মিলে রাজবাড়ীতে পৌঁছে যে যার মত কামরা ঠিক করে নিল ম্যাডাম আর ছাত্রীরা একটা রুমে আর স্টুডেন্টরা যে যার মত রুম নিয়ে ছিল অত বড় রাজবাড়ী দেখবার মত অনবরত ঝর্ণার জল পড়ছে বিরাট বিরাট কক্ষ দারুন ফার্নিচার সুন্দর সুন্দর মার্বেল পাথরের মূর্তি একেবারে স্বর্গের উদ্যান সারাদিনের ধকলি ওরা সব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল আর্টস ডিপার্টমেন্টের রাজু কাফন ওমকার একটা রুম নিয়েছিল সবাই যখন রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল তখন ওঙ্কার রাজবাড়ীর বারান্দায় চুপ করে দাঁড়িয়েছিল ওঙ্কারদের একটা রুমের পরে আরেকটা রুম তালা বন্ধ ছিল সেখানে দিয়ে আস্তে আস্তে গানের আওয়াজ আর ঘুমুরের আওয়াজ ভেসে আসছিল তারপর ওমকার আস্তে আস্তে গিয়ে ওই দরজায় কান পাতলো। তখন দেখছি ভিতরে যেন কি নাচছে আস্তে আস্তে গানের আওয়াজ কে কে ওখানে বলতে সব চুপচাপ হয়ে গেল। তারপর ও আবার ওর পক্ষে চলে এলো তখন সবাই ঘুমিয়ে অচেতন ও তখন আবার কৌতূহলের জন্য বাইরে বেরিয়ে এলো আবার রাজবাড়ীর বারান্দায় এসে দোতলা থেকে একতলার দিকে চোখ পড়তেই দেখতে পেল একদল মেয়েরা ওই স্নানাগারের দিকে সব বসে খিলখি করে হাসছে আর জলের মধ্যে পা দোলাচ্ছে ওইটা খেয়াল করে অহংকার সিঁড়ি দিয়ে তক্তার করে নেমে ও সানাঘাটের সামনে চলে গেল গিয়ে কিছুই দেখতে পেল না। ও তখন ভাবলে এটা কি আমার মনের ঘুম আমি বারবার কি দেখছি। আবার অহংকার ঘরের নিজের ঘরে এসে চুপ করে শুয়ে পড়ল তারপর বিছানায় শুতেই চোখটা তন্দ্রা মত এসে গেল তখনই দেখছে একটা অপরূপ সুন্দরী মেয়ে বলছে আমি তো তোমার জন্য অনেক বছর ধরে এখানে অপেক্ষা করছি। তুমি তাহলে এলে মহেন্দ্র তখন অহংকার লাভ দিয়ে উঠলো রাজু আর কাহুন সকালে উঠেই ওমকাকে বলল কিরে তুই রাতে ঘুমাস নি তোর চোখ মুখ এরকম কেন ? তখন ওমকার কিছু বলল না। ছাত্র সব সকাল থেকে ঘরা শুরু করে দিল অহংকার কে বলল চল যাবি না ঘুরতে বলে না যাব না বলে চুপচাপ বসে থাকলো কেমন আনমনা হয়ে থাকলো। পাহাড়ি এলাকা সেদিন সন্ধ্যাবেলায় আদিবাসীদের একটা ফাংশন ছিল সবাই গেল কিন্তু ওমকারগেল না। ওমকার বলল তোরা যা আমি একটু পরেই যাচ্ছি। সন্ধি হয়ে গেছে তখন অহংকার একা একা সিঁড়ি দিয়ে নামছে মনে হচ্ছে কে যেন পাশে পাশে যাচ্ছে। যাইহোক অহংকার চলে গেল ওই আদিবাসীদের অনুষ্ঠান দেখতে সবাই মিলে দেখলো দেখে আবার যথারীতি সবাই রাজবাড়ীতে ফিরে এলো। ঘটনাটা এখানেই শেষ নয় সেদিন ছিল পূর্ণিমার রাত যে যার মত সব পক্ষে বসে আছে যে যার মত কাজ করছে গল্প করছে ওমকার ঠিক অধিক রাতে ছাদে উঠল। ছাদের পাচিরে বসে আছে আবার একটা সুন্দর মেয়ে এসে সে একই কথা কি মহেন্দ্র তুমি এখানে একলা বসে আছো? আমি তোমার জন্য কতদিন ধরে অপেক্ষা করছি এই জন্মে তো তোমার সাথে আমার মিল হবে কেমন একটা যেন হয়ে গেল তারপর রাজু ওঙ্কার কে অনেকক্ষণ না দেখতে পেয়ে ছাদের দিকে ওরা গেল গিয়ে দেখলো ওঙ্কার বিড়বিড় করে কার সঙ্গে দেখা কথা বলছে ছাদের পাচিলের উল্টোদিকে ছুটি যাচ্ছে এই মুহূর্তে ছাদ থেকে পড়ে যাচ্ছিল নিচে ছুটে গিয়ে ওরা ধরল সুমিতা তুমি কোথায় গেলে কোথায় গেলে এই কথা ওরা স্যার ম্যাডামকে জানালো। তারপর তিনি সকালবেলা ওরা ঐখান থেকে রাজবাড়ি থেকে বাড়ির দিকে চলে গেল তার বলল ম্যাডাম আমি যাব না আর কদিন এখানে থাকবো। এখানে আমি আগের জন্মে এখানে রাজা ছিলাম এ সমস্ত কথাই বললে আমার নাম ছিল মহেন্দ্র সুমিতা আমার রানী ছিল। সুমিতার অসুখ হয়েছিল তারপর সে মারা গেল আমার সব কথা মনে পড়ে গেছিল স্যার ম্যাডাম একটু অপেক্ষা না করে তাড়াতাড়ি স্টুডেন্টদের নিয়ে বাড়ির দিকে চলে গেল। এবার বলো গল্পটা কেমন লাগলো?

