প্রতারিত ভালোবাসা
প্রতারিত ভালোবাসা


আসলে ভালো বাসা টা
পীথাগোরাসের উপপাদ্য নয় যে প্রমান করতে হবে..
ভালো বাসাটা রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা র মতো,উপলব্ধি করতে হয়..
(সংগৃহীত)
কয়েক বছর পর আবার দু'জনে একসঙ্গে - হাজার হাজার স্মৃতি এসে জড়িয়ে ধরল...জীবনের গতিপথে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না যা মনের সামান্য অল্প কিছু জায়গা হলেও দখল করে থাকে তবে তা একদম সুপ্ত ভাবে মনের চোরা কুঠিরে অবস্থান করে। আচ্ছা সত্যিই কি লুকানো যায়??? অথবা ভুলে যাওয়া যায় ঘটনা গুলো নাকি আমরা সেই গুলো ভুলে যাওয়ার অভিনয় করি!কিংবা বলা যায় নিজের মনের সাথেই প্রতি মুহূর্তে লড়াই করে যাই। শুধু মাত্র এটা সবাই কে বলার জন্য যে আমি ভালো আছি ।
এই প্রশ্নের উত্তরে,, কেউ বলবে যায় আবার কেউ বলবে যায় না আর সত্যি বলতে কি সবাই তো আর দ্বিতীয় সুযোগ পায়না ।আর পেলেও একটা সুযোগ পুরো ভুলে যাওয়া কখনো ই সম্ভব নয় তাকে, একটু হলেও মনে পড়বে। তবে সত্যি কথা হল, এটাই সেই ঘটনা গুলো আবার মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে ও দেয় পরিনত হতে সাহায্য করে।
তবে এইসব শুধু আমারই একার মনের ভাবনা !হয়তো। আচ্ছা শুধু ই কি আমি ভাবছি এই কথা? হতেই পারে অপর দিকের মানুষ টাকে দেখে তো বোঝার উপায় নেই সে আদৌ এই সব নিয়ে কোনো দিন ভেবে ছিল অথবা এখনো ভাবে কিনা ।আর বলে না ফাকা মাথা শয়তানের বাসা এটা কিন্তু ঠিক কথা তাইতো মনে হচ্ছে এখন আমার এটা বলেই আলতো হেসে নিজেই নিজের মাথায় টোকা দিলো পূজা।
এইসব ভেবে ই বা কি হবে??? যে গেছে সেতো আর ফিরে আসবে না । অতীতের ভুল সম্পর্ক ভেবে কষ্ট পাওয়ার থেকে বর্তমানে মানুষ টাকে নিয়ে আনন্দের সাথে জীবন কাটানো ভালো, যে মানুষ টার জীবন শুধুমাত্র আমাকে ঘিরেই। বেকার সেই মানুষ টাকে বিনাদোষে কষ্ট দেওয়ার কোনো মানেই হয়না । কারণ ওই মানুষ টা ভালো বেসেছে আমাকে তাই আমার ও
উচিত সেই মানুষের ভালোবাসার মূল্য দেওয়া এটাই ঠিক ।
আর যাকে নিয়ে আমার এতো ভাবনা, এত কথা ....সে তো আর বাকি সবার সাথেই ব্যস্ত কত !!! হাসিখুশি চোখে পড়ার মতো আসলে জীবনের প্রথম প্রেম ভুল মানুষের সাথেই হয়েছিল বলেই তাই হয়তো এখনো সেই আফসোস টা থেকে ই গেছে আমার মনে ,,,, কি জানি??? সারা জীবন ই থাকবে। ভবিষ্যতে কী হবে?? কেউ তো জানেনা ,,,, তার জন্য বতর্মান কে নষ্ট করে কি হবে??? যে আজ আছে তাকে নিয়েই বাচা উচিত এটা ভেবেই মলিন হাসি চলে এলো পূজার ঠোটের কোনে।
সামনে তাকিয়ে পূজা ভাবলো এটা তো হওয়ার ই ছিলো ,,, আর ব্যস্ত হবে নাইবা কেন???বরাবরই দেখেছি যে রাহুল মেয়েদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, স্কুল জীবনে থেকেই রাহুল বরাবর মেধাবী এবং হ্যান্ড সাম আর সে তুলনায় পূজা সাধারণ তবে মেধাবী না হলেও ভালো ছাত্রী ই ছিল। এখন তো মোটা অংকের স্যালারীর ভালো চাকরি ও করে ।তাই সময়ের সসাথে মেয়েদের এবং তাদের বাবাদের ভিড় লাগবে আশা করাই যায় আসলে সুপাত্র হিসেবে যেসব গুন গুলো দরকার সবই আছে ।যা প্রধানত সব বাবারা ই তাদের মেয়ের জন্য চেয়ে থাকে।
একটু মনখারাপ লাগলে ও নিজেকে সামলে আবার ভাবনার সাগরে ডুব দিলো পূজা আর মনে মনে ভাবলো আমি ই বোকা ছিলাম তখন ,মানুষটাকে ভালো করে না চিনে না বুঝেই শুধু মাত্র কদিনের পরিচয় আর বন্ধুর দাদা বলে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লাম কিছু জানবার দরকার মনে ই করিনি তখন তার ফলও পেয়েছি তা হলো শুধুই কষ্ট ।
ভাবনার শেষে পূজা নিজের মনেই বলে উঠলো কিছু সময়ের জন্য একেবারে ভুলেই গেছিলাম ঠিকই যে আমি অন্যের বাগদত্তা আর হবু বউ কিছু দিন পরেই নতুন জীবনে প্রবেশ করবোবর্তমান ভালোবাসার মানুষের সাথে,,,,, যেখানে একজন বিশ্বাস ঘাতকের কোনো স্থান নেই।তাই সেই বিশ্বাস ঘাতকের কথা একদম মনে করাও পাপ ,,,,কিন্তু মন যে বড়ই অবুঝ ,মানতেই চায় না, ঘুরে ফিরে সেই তার কথা ই মনে পড়বে বারবার । যে অতীতের দু:স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়,,,,না আরও একটা পরিচয় আছে সে একমাএ প্রাক্তন যার কাছে আমার অনুভূতি র কোনো মূল্য নেই আর না কোনো দিন ছিল ।
এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে খুজছিলো পূজা না পেয়ে হতাশ হয়ে বললো স্কুলের বন্ধুদের রিইউনিয়নে যার জন্য আসা সেই মহারানীর ই পাত্তা নেই দেখো!!! সঙ্গীতাটা কে পাই একবার,,,মুটি নিজেই আমাকে আসতে বলে গায়েব।
অবশ্য ও না জোর করলে আমি আসতামই না,,,, জানতাম রিইউনিয়নে রাহুল ও আসবে। তাই বকিন্তু মন যে বড়ই অবুঝ ,মানতেই চায় না, ঘুরে ফিরে সেই তার কথা ই মনে পড়বে বারবার । যে অতীতের দু:স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়,,,,না আরও একটা পরিচয় আছে সে একমাএ প্রাক্তন যার কাছে আমার অনুভূতি র কোনো মূল্য নেই আর না কোনো দিন ছিল ।
এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে খুজছিলো পূজা না পেয়ে হতাশ হয়ে বললো স্কুলের বন্ধুদের রিইউনিয়নে যার জন্য আসা সেই মহারানীর ই পাত্তা নেই দেখো!!! সঙ্গীতাটা কে পাই একবার,,,মুটি নিজেই আমাকে আসতে বলে গায়েব।
অবশ্য ও না জোর করলে আমি আসতামই না,,,, জানতাম রিইউনিয়নে রাহুল ও আসবে। তাই ব্যাপারটা এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম কিন্তু যেভাবে মুটি ইমোশনাল ব্লাকমেইল শুরু করলো আর থাকতে পারলাম না চলেই এলাম।
ফেসবুককে অসংখ্য ধন্যবাদ ওটা না থাকলে নিজের পুরোনো বন্ধুকে খুজেই পেতাম না।একচুয়ালি এই রিইউনিয়নের আইডিয়া টা ওরই।ব্যাপারটা এড়িয়ে গেছিলাম কারণ সত্যি বলতে গেলে ভয় পেয়ে ছিলাম আবার যদি কখনো ফিরে আসে রাহুল অপমান প্রতিশোধের বদলা নিতে আ....র জীবনটাকে তছনছ করে দেয় ,,,সুন্দর স্বপ্ন টাকে ভেঙে দেয় ওকে যদি কেড়ে নেয় ???ত...খন কি করবো আমি... সহ্য করতে পারবো না যে!!অ..নেক কষ্টে নিজেকে সামলেছিআর আঘাত নিতে পারবো না।
সঙ্গীতার চোদ্দো গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে পূজা বললো নিশ্চয়ই খাবার খেতে গেছে আর বদলালো না মেয়েটা একই থেকে গেল সময়ের সাথে মনে হয় শুধুই আমি বদলেছি আগের মতো ছটফটে চঞ্চল ভাবটা নেই বরং অনেক ধীরস্হিরমেপে বুঝে কথা বলি।
এইসময় পিছন দিয়ে সঙ্গীতা এসে পূজার কাধে হাত রেখে বললো পুরনো কথা ভাবছিস তাই না পূ।
এদিকে আসার সময়ই সঙ্গীতা লক্ষ্য করেছে রাহুল কে
তাই বুজতে পারলো নিজের বন্ধুর মনের কথা।
সঙ্গীতা পূজার পাশে বসে ওর হাতটা ধরে বললো
- কি রে ?? আবার মন খারাপ করছিস বাবু,,,তোকে কতো বার বলেছি ফালতু বিষয় নিয়ে মন খারাপ করবিনা। কোথায় ভাবলাম,,,এতদিন পর দেখা হচ্ছে মজা করব।তা নয় আমার কথাটাই রাখলি না তুই।
সঙ্গীতার হাতে হাত রেখে পূজা বললো না রে পাগলী আমি ঠিক আছি আমি।
সঙ্গীতা পূজার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলতে লাগলো একটা কথা বলি বাবু যা হয়েছে ভালো র জন্যে ই হয়েছে ।ওই ঘটনা না ঘটলে তুই সারা জীবন কষ্ট পেতিস,,,আমি ও স নিজেকে দোষারোপ করতাম ।তাছাড়া জিজু কে পেতিস না। তাই বলি যে আছে তাকে নিয়েই খুশি থাক যা হয়েছে খারাপ স্মৃতি মনে করে ভুলে যা,,, তুই ও ভালো থাকবি আর আমি ও। বাদ দেনা প্লিজ চল সবার সাথে আলাপ করি।
(চলবে)