নীতিপরায়ণ
নীতিপরায়ণ


নাম তার সৌম্য। কলেজ ছাত্র। বয়স তার কুড়ি। ছোটবেলা থেকেই খুব ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির। সৌম্যর জীবন গুজরাটে সবরমতী আশ্রমের কাছে কেটেছে। সে বাড়ি থেকে বাবা ও মায়ের সাথে সবরমতী আশ্রমে যখন যেত, তখন সেখানে রাখা তিনটে বাঁদর মূর্তি দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত। একটি বাঁদরের কানে হাত চাপা দেওয়া, অন্যটি দুটো হাত দিয়ে চোখ চাপা দিয়ে রেখেছে এবং তিন নম্বরটি দু'হাত দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে রেখেছে। সে আস্তে আস্তে বড়ো হতে লাগল। যত বড়ো হয় আর বাঁদর তিনটিকে নিয়ে ভাবতে থাকে। তার মাকে সে জিজ্ঞেস করে,"মা এই বাঁদর তিনটির এই ভঙ্গীর অর্থ কি?" শুনে মা বলেন,"এই তিনটি বাঁদরের ভঙ্গীর অর্থ হলো, খারাপ কথা না শোনা, খারাপ কিছু না দেখা এবং খারাপ কিছু না বলা। এই নীতি জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নীতি।" শুনে সৌম্যও নিজের জীবনকে ওই ভাবে গড়ে তুলতে থাকে। কিন্তু সে দেখে সমাজের বেশিরভাগ মানুষই এই নীতির বিপরীতে কাজ করেন। কিন্তু সৌম্য এই নীতি থেকে সরে আসেনি। সারা জীবন এই নীতিকে অবলম্বন করে চলে। এজন্য তার মানসিক কষ্টও এসেছে। কিন্তু সে তার থেকে নিজেকে বার করে নিয়েছে। সৌম্য উপলব্ধি করেছে ভালো পথে থাকলে প্রচুর বাধা ও কষ্ট সহ্য করতে হয় কিন্তু তাকে কাটিয়ে এগিয়েও যেতে হয়।