নারী শক্তি
নারী শক্তি


"তোমরা যা করছ তার জন্য তোমাদের শাস্তি পেতেই হবে।"- এই ভাবেই দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করল মনিকা। সে প্রতিবাদ করে তার প্রতিবেশীর ঘরের কাকিমার ওপর অত্যাচারের! একদিন তো মনিকা একটা মোটা কাঠ দিয়ে অত্যাচারী কাকুর হাত ভেঙে দেয়।মনিকা দেখিয়ে দেয় নারীরা চাইলে সব পারে। নারীরাই হলো শক্তির আধার। মনিকা কারুর অসুখ করলে তাকে সেবা করতে ছুটে যায়। আবার অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও তার স্বভাবজাত অভ্যাস। শুধু সে নারীদের পাশেই দাঁড়ায় না, একদিন বিনা দোষে একটি ছেলেকে ধরে সবাই মারছে মনিকা তাকেও বাঁচায়। মনিকা এখন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার এক বান্ধবীকে বাড়ি থেকে বিয়ে দেবে বলে ঠিক করে, সে কথা মনিকা জানতে পেরে বিয়ের দিন গিয়ে পুলিশ ডেকে বিয়ে আটকে দেয়।মণিকা এইভাবে নারী শক্তির মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে। সে তার বান্ধবীদের বলে,"আমাদের ভয় কিসের? আমরা যে মা দুর্গার অংশ। আমাদের মধ্যেই অসুরবিনাশিনী সেই শক্তি রয়েছে। সেই শক্তি নিজেদের অনুভব করতে হবে এবং ঠিক পথে সেই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। নারীরাই সমাজ গড়তে পারে এবং ভাঙতেও পারে। তার কথা শুনে তার বান্ধবীরা অনুপ্রাণিত হয়। তার এই বীরাঙ্গনা সত্তা সমাজের বহু মেয়ের মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে যায়। মনিকা স্বপ্ন দেখে সশক্ত নারী সমাজ গঠনের। যে সমাজে থাকবেনা নারীদের কোন সমস্যা, থাকবে না তাদের প্রতি বঞ্চনা। এর জন্য সে সর্বদা চেষ্টা করে চলে এবং সমাজের মেয়েদের প্রতি বলে,"জাগো নারী! জাগো! ঘুমোনোর আর সময় নেই। আমাদেরকে সশক্ত সমাজ গঠনে ব্রতী হতে হবে। জাগো! জাগো!"