কখনো আপনি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।
কখনো আপনি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।
ছেলেটাকে প্রথম দেখি বাসে। শান্ত, ধীর চশমার ফাক থেকে তার উজ্জ্বল চোখ দুটো চোখে পড়ার মত। কিন্তু যে বিষয়টি ওর সবথেকে বেশি আকৃষ্ট করেছিল তা হল, ছেলেটির লেখালেখির প্রতি একটা গভীর আগ্রহ। মাঝে মাঝে ও আমার পাশে বসত। খুবই ছোট্ট একটা খাতায় কিসব লিখত, কখনও বা উদাস চোখে বাইরে তাকিয়ে থেকে আবার ওর ওই ছোট্ট খাতায় লেখা শুরু করত। একদিন আড়চোখে ওর ওই ছোট্ট খাতায় চোখ পড়ল। ছ লাইনের একটা ছড়া পড়ে অসম্ভব ভালো লাগল। নিত্যকার সহযাত্রী হিসেবে শীঘ্রই পরিচয় হল। সল্টলেকের একটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরীর সাথে সাথে অবসর সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে চলে লেখালিখি। কয়েক জন মিলে কবিতা সংকলনের বই কলকাতা বই মেলাতে প্রকাশ করেছে শুনে খুবই অবাক ও খুশি হলাম। কলেজ লাইফের লেখালিখির সেই সুপ্ত অভ্যেসটা যেন একটু নড়ে উঠল ওর ওই বই প্রকাশের খবরটা শুনে।
এরই মধ্যে আমার অন্যত্র বদলি হয়ে যায়। বাস ছেড়ে এখন আমি ট্রেনে যাতায়াত করি। যাত্রাপথের দুরত্ব আর সময় বেড়েছে বহুগুণ। আবার লেখালেখি শুরু হল আমার। ছেলেটির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ থাকায় ওকে কিছু লেখা পাঠাই। সেগুলো পড়ে ও আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে।যার ফলস্বরূপ আমি এখনো লিখে চলেছি। তাকে সরাসরি কিছু না বললেও মনে মনে আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ আমার সেই পুরনো অভ্যেসটাকে ফিরিয়ে আনার জন্য।