কিটি পার্টি
কিটি পার্টি


বাবা একটু জোরে চালা না, সামনে সিগন্যাল, এখনও গ্রীন আছে, সোনা আমার! এখানে ফেঁসে গেলে আরও পাক্কা তিন মিনিটের ধাক্কা।
মা...!! প্লিজ, আমার লাইসেন্স নেই, সামনে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে, কিছু গড়বড় হলে বিপদ হবে।
এতো নিয়মকানুন আমাকে বোঝাতে হবে না, কিটি পার্টির নিয়ম তো তুই জানিস!!পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছলে স্পেশাল গিফ্টটা হাতছাড়া হয়ে যাবে, এবার কিন্তু আমি কোনমতেই হারতে চাই না সোনা আমার!! কারের স্পীডটা বাড়া......
মা!! তোমার রোজকার ঘ্যানর ঘ্যানর আর ভাল্লাগে না, তুমি পাঁচ মিনিট আগে রেডি হতে পারো না?
দ্যাখ বাপের মতো অতো জ্ঞ্যান দিস না, চুপ চাপ গাড়ী চালা.... শ্রীমতি গজগজ করতে লাগলেন।
শ্রীমতীজী মাত্র দু মিনিট দেরীতে পৌঁছেছেন, যদি ১৬ বর্ষীয় পুত্র মায়ের
কথামত কার চালাতো, ২-৩ টা সিগন্যাল অনায়াসেই পার করে নিত, কিন্তু আজকালকার ছেলেদের কি বোঝাবে, যত সব ভীতুর ডিম, কিটি পার্টির মর্মই বোঝে না!! একই ভুলে গত মাসের স্পেশাল গিফট মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে মিসেস দাসের পকেটস্থ হয়েছিল, সে যন্ত্রণা এখনও দগদগে।
শ্রীমতীর আজ খুশীর শেষ নেই, বর্ষসেরা পুরস্কার তার ঝুলিতে, শুধুমাত্র ক্ষণিকের অপেক্ষা......কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতে শোভা পাবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আর বাকিদের চুপসে যাওয়া মুখগুলো তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করবে।
শ্রীমতিজী গিফ্টটা গ্রহণ করে খুশিতে গদগদ, নির্ধারিত চেয়ারে বসার আগেই, ফোনের ঘন্টি বাজলো, কোনও এক অপরিচিত কন্ঠ জানালো, আপনার ছেলের অ্যাকসিডেন্ট হয়ে গেছে, তাড়াহুড়ায় ট্রাফিক সিগন্যাল না মানায় দূর্ঘটনা ঘটেছে......!!