কাল্পনিক চিঠি
কাল্পনিক চিঠি
উমম্! নতুন শহরের কিছু নতুন মানুষের ভিড়ে পুনার আস্তিত্ব ভোলা কি খুব সহজ হয়ে যায়?
জানিনা বাপু অতো সতো।
ঢাকা শহর! সে ধুলার শহর, সেখানে প্রতিটা নিশ্বাস নাকি
বিষাক্ত?
মানুষগুলোও কি একইরকম?
ধুর ছাই হাজারো খারাপের মাঝে কিছুতো ভালো থাকবেই। এইযে যেমনটা আমি।
ঠাট্টা করলাম আরকি।
অনেকদিন পরে!
আসলে এখন একলা পড়ে থাকিতো কথা বলার কেউ থাকে না আর ঠাট্টা!
মাঝে মধ্যে মন চায় লুকিয়ে বাড়ি থেকে বের হোই আর, আর পুরো শহরটা একলা ঘুরি! নিজের মতো করে।
যদিও ওরকমটা হবে না কোনোদিন তাও ভেবে হেসে নেই।
আচ্ছা একটুও মন চায়না এদিকে আসতে?
কেনই বা আসবি তাছাড়া ছুতোরও অভাব হয়না তোর।
ওইজে পিসো মসাইয়ের বদলি হলো আর তো এমুখো হলিনে।
ভালোই হয়েছিল আমার পূজোর টাকার ভাগ বসানোর কেউ ছিলনা। যদিও ঈদের ইদের সময় আমার এক্টু লস হয়ে যায় থাক অসব বাদ দেই।
জানিস একবার এক অদ্ভুত কান্ড ঘটেছিল আমার জন্মদিনে যে বিড়ালটা দিয়েছিলিস ওটাকে খুজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোজার পরে গিয়ে দেখি পুরানো আলমারির ভিতরে আর সামনে বড়ো দুটো ইঁদুর। দেখে মনে হচ্ছিলো ইঁদুরগুলো ওকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে।
আজ বাইশে পা দিলাম। খুব মনে পড়ছিল তাই চিঠিটা লিখছিলাম। যদিও চিঠি লেখার কোনো নিয়ম মানিনি।
কিন্তু ঠিকানাটা কি দিবো জানিনাতো। ওইযে হুটকরে রাতের অন্ধকারে চোরের মতো পালিয়ে গেলি আর দেখা দিলি না। বাবার কাছ থেকে ভালোকরে ঠিকানাটা শুনে নিতে হবে।
আর সাবধান৷ যদি চিনতে না পারিস আমি কে তাহলে কিন্তু খবর আছে।
ঘুমের ওষুধ খাওয়া লাগে এখন তা না হলে ঘুম আসে না।কিন্তু মজার ব্যাপার হলো অন্য দিন ওষুধ খাওয়ার পর আর তাকানোর শক্তিও থাকে না আজ কিভাবে এত লিখে ফেল্লাম বুঝলামনা।
আর লিখতে পারবোনা ঘুম আসছে।
বিদায়!
ভিন্ন চিঠির সমাপ্তি ঘটালাম।
ভালো থাকিস।