হরিহর আত্মা
হরিহর আত্মা
প্রায় প্রত্যেক শনিবারের মতই আজও সকালবেলা হাটের বাজার সেরে নিজের ঘরে বসে চা খাচ্ছি। সাড়ে নটা বাজতে চললো হতচ্ছাড়া রমেনটা এখনও খবরের কাগজ দিতে এল না। এই নিয়ে প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে সে এই করছে। তাকে জিজ্ঞাসা করায় সে বলে তার বাড়িতে নাকি কোন দূরসম্পর্কের আত্মীয় এসেছে তাই তাদের অ্যাপায়ন করে বেরোতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। বিরক্তিকর!
অর্ধেক খবর তো সকালে হাটের হই হট্টগোলেই জানা হয়ে গেল। এই আধ বেলায় খবরের কাগজে দেখবই বা কি? জন্মদিন, মৃত্যুদিন, নিখোঁজ নাকি পাত্র-পাত্রীর সন্ধান? এই আটত্রিশ বছরের অবিবাহিত জীবনে কাজটাই বা কি আমার! ভোর বেলা উঠি বুঝলেন। সকালে মর্নিং ওয়াকটা ম্যান্ডেটরি। সেই যবে থেকে মাস্টারি জীবনে পদার্পণ করেছি, তবে থেকেই। সকালটা বেশ লাগে আমার। সকালের ওই একটা শীতল হাওয়ার স্রোত যেন সারা শরীরে কম্পন জাগিয়ে তোলে। নানান পাখির ডাকে তুষ্ট হয় দুটি কান। সকলের আবছা আভায় শ্যামল সৌন্দর্য দেখলে জুড়িয়ে যায় চোখ। এই মায়াবী প্রকৃতির মধ্যেই কোথায় যেন হারিয়ে যাই আমি রোজ।
আজ স্কুলের ছুটি। তাই চা শেষ করে নিজের লেখালিখি নিয়ে একটু বসেছি। আজ প্রায় দেড় দু মাস কোনো লেখা কাগজে প্রকাশিত করা হয়নি। মাস্টারি করে আর সময় হয়ে ওঠে না। প্রত্যেকদিন স্কুলের পর বাড়ি ফিরে কটা টিউশনি করি বাড়তি আয়ের জন্যে। নাহলে এই বেকারত্বের বাজারে টিকে থাকা খুব কঠিন। গল্পের প্রায় মাঝবরাবর লিখেছি তখনই হটাৎ রাস্তা থেকে কাউকে "বাবাগো মাগো" বলে আর্তনাদ করতে শুনতে পেলাম। সম্ভব্য আওয়াজটা বাড়ির পাশের লঙ্গরখানা থেকে আসছে আর আর্তনাদটা হরির। দৌড়ে গেলাম সেখানে। দেখি চার-পাঁচটা ২১-২২ বছরের ছেলে হরিকে ধরে মারছে। ছেলেগুলোর অত্যাচারে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। যাহোক করে তাদের থামিয়ে হরিকে মারার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম।
"শুয়োরটা আমাকে খিস্তি মারবে, রাস্তার পাথর ছুড়বে, আর আমি কিছু বলবো না? বললেই হল?", বলল তাদের মধ্যে একজন।
ছেলেটাকে আমি সম্ভবত চিনি। গতসপ্তাহে রাস্তায় একটা মেয়েকে টোন-টিটকিরি কাটার কারণে গণপিটুনি খেয়েছিল। সেসময় কাকতালীয়ভাবে আমি আর হরি উভয়ই সেখানে উপস্থিত ছিলাম। হরি কি তাহলে সেটারই বদলা নিয়েছে? এইসব ভাবছি ঠিক তখনই হরি হাউ হাউ কাঁদতে শুরু করলো। ফোঁফাতে ফোঁফাতে বলতে লাগলো "আমি মায়ের কাছে যাবো। রণ রণ রণ র...আমি হমনয়ের কাছে যাবো..." বাঁ হাতের আড়ি আঙ্গুলের গাঁট গুনতে গুনতে কি যেন বির বির করতে লাগলো। এর মধ্যে ছেলেগুলো বিরক্ত হয়ে পথ ছেড়ে চলে গেল।
হরিকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি। ও যখন স্বাভাবিক ছিল আমার বাড়ি প্রায়শই আসতো। তখন সবে সবে চাকরিতে ঢুকেছি। বয়েস বাইশ থেকে তেইশের মাঝামাঝি। মাথায় ছিল এক রাশ চুল। চোখের সামনে তখনও কাঁচ বসে নি। বুক ভরা পাহাড় সমান স্বপ্ন, এখন যার যৎসামান্যই হয়তো পেরেছি পূরণ করতে। সেই সময় হরি ট্রান্সফার নিয়ে সায়ন্তনী বালিকা বিদ্যালয়ে বাংলার মাস্টার হিসেবে ঢুকেছিল। আমার থেকে পাঁচ বছর সিনিয়র থাকা সত্ত্বেও আমার সাথে বন্ধুর মতন মিশেছে সে। আমিই ছিলাম ওর সব থেকে কাছের বন্ধু। কোনোদিনও সিনিয়র মনেই হয়নি ওকে। কেউ ওকে সিনিয়র বললে একটু বিরক্তই হত ও।
বেশ ভালো আবৃত্তি করতে পারতো হরি। স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে নাটক হলে তার পাঠ দর্শকদের মুগ্ধ করতো সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন গান গাইতো নিজের মত সুর দিয়ে। চেহারার দিক থেকেও বেশ সুশীল দেখতে ছিল তাকে। নিজের ছাত্রীদের থেকে কতই না প্রেম নিবেদন পেয়েছে সে। আমার কাছে এসে ঠাট্টা করে বলতো, "বুঝলে ভায়া, এ বেকারত্বের বাজারে মাস্টারি করে যদি ট্রান্সফার আর প্রেম নিবেদন ঝপ করে পেয়ে যেতে, তাহলে বুঝতে সৌভাগ্য কাহারে কয়।" মাঝে মাঝে একটু ঈর্ষাও হতো হরির ওপর। কি সুন্দর ভাবে মানুষের সাথে মিশতে পারতো সে। সব বিষয় নিয়েই অর্জিত সঠিক জ্ঞান ছিল তার মধ্যে। মানুষকে যদি এই পৃথিবীতে কেউ সব থেকে ভালো ভাবে বুঝতে পারে তাহলে সে আমার মতে একমাত্র হরিই।
ছুটি পেলে আমরা মাঝে মধ্যেই ঘুরতে বেরতাম। গন্তব্য আমাদের কোনোদিনই ঠিক থাকতো না। যেদিকে দুচোখ যেত, চলে যেতাম। এরম করে নিজের এলাকার মধ্যেই কত অজানাকেই না খুঁজে বের করেছি আমরা। আমাদের এ তল্লাটে যে একটা তিনশো বছরের পুরনো চণ্ডী মায়ের মন্দির আছে, তা হরির সাথে না বেরোলে হয়তো জানতেই পারতাম না। আমাদের হাঁটার অভ্যেস ছিল। রোজ সকালে একসাথে মর্নিং ওয়াকে যেতাম। অভ্যেসটা যদিও হরিই ধরিয়েছিল। সুজয়ের চায়ের দোকানে চা-সিগারেট খেয়ে বাড়ি ফিরতাম।
বেশ ভালই নিজেরা নিজেদের মতন জীবন যাপন করছিলাম। কিন্তু হটাৎ একদিন হরির সাথে এমন এক ঘটনা ঘটে যা আমি আজও ভুলতে পারি না। সেদিনের ঘটনার জন্যে আজও নিজেকে অপরাধী লাগে। স্কুলে বারো ক্লাসের এক মেয়ে, মায়া, হরিকে প্রেম পত্র লিখে। সে পত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হরি আমার কাছে এনে দেখায়। হরি বলে সেখানে রণজয় বলে এক ছেলের উল্লেখ পাওয়া যায় যে ছিল মায়ার প্রাক্তন প্রেমিক। দেড় বছর আগে বিচ্ছেদ হলেও বিচ্ছেদের কোনো কারণ কিছু উল্লেখ্য ছিল না। মেয়েটি লেখে যে তার স্যারকে ভালোলাগে এবং চায় স্যারের জীবন সঙ্গিনী হয়ে সারাজীবন কাটাতে। হরি কোনোদিনও এইসব চিঠি পত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দিত না। পড়া শেষ হলে আমায় পড়িয়ে ফেলে দিত। তবে এইবার আমার স্কুলে বিশেষ কাজ থাকায় স্কুল প্রাঙ্গণে চিঠিটা পড়ার সময় পাই নি। তাই সেটা হরির থেকে অনুমতি নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাই। রাতে নিজের কাজ শেষ করে চিঠিটা পড়ি। একটা লাল রঙের খামের মধ্যে ছিল চিঠিটা। বেশ সুন্দর হাতেরলেখা মায়ার। গোটা গোটা অক্ষরে কালো কালি দিয়ে স্পষ্ট ভাবে লিখেছে চিঠিটা। বাকি সব চিঠিগুলোর মত এটায়ও সেই একই বিষয়বস্তু। খালি রণজয়ের নামটা বাড়তি ছিল। একটা ঘটনার কথা স্মরণে আসতেই চোখের কোনা থেকে জল গড়িয়ে ঠোঁট স্পর্শ করে গলা অবধি ভেজাতে লাগলো।
পরের দিন সকালে হরি এল মর্নিং ওয়াকের জন্যে। আমি ওর জন্যেই তৈরি হয়ে বসে ছিলাম। সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢাকা ছিল সুদীর্ঘ নীল আকাশ। সুজয়ের দোকানে চা খেতে বসেছি, ঠিক তখনই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো। চা শেষ হলেও বৃষ্টি থামে না। এখন দোকানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে স্কুলে যেতেও দেরি হবে, আর সেদিন স্কুলে এক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল ফার্স্ট আওয়ারেই। হরি আবার আমার বাড়ি যাবে মায়ার লেখা চিঠিটা নিতে কারণ তার দাবি তার উদ্দেশ্যে লেখা কোনো চিঠি সে নিজেই পরিত্যাগ করবে। অগত্যা দুজনেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ভিজতে ভিজতে আমার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
কোনো কারণে হরি রাস্তায় সবসময় আমার ডান পাশে মানে রাস্তার ধার দিয়ে হাঁটতো। আজও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। আমার বাড়ি প্রায় এসেই গেছে, রাস্তা সরু হয়ে এসেছে, ঠিক তখনই পিছন থেকে একটা "ওয়াগন আর" গাড়ি দ্রুত গতিতে হর্ন দিতে দিতে এগিয়ে এলো আমাদের দিকে। আমি সরে গেলেও হরি সরে আসার সময় পায় না। হরিকে ধরে টানতে যাবো ঠিক তখনই গাড়িটা সাই করে এসে সজোরে হরিকে ধাক্কা মেরে গতি বাড়িয়ে সামনের বাঁকে অগোচর হয়ে গেল। হরি ছিটকে রাস্তার পাশে একটা বাড়ির পাঁচিলে গিয়ে ধাক্কা খেল। তার পর লুটিয়ে পড়লো রাস্তায়। বৃষ্টি এখনও থামে নি। হরির মাথার রক্তের এক একটা বিন্দু বৃষ্টির জলের সাথে মিশে রাস্তাটাকে রাঙিয়ে দিচ্ছে লাল রঙে। বৃষ্টির ফোঁটা হরির গাল স্পর্শ করে তাকে যেন জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে অনবরত। আমার এই পুরো ঘটনাটা বোধগম্য হচ্ছিল না। এইতো কিছুক্ষণ আগে হরির সাথে চা-সিগারেট খেলাম। এইতো একটু আগেই ওর পিঠে ব্যাথা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এইতো একটু আগে বাড়িতে ডাকতে এলো ও আমায়। আর কিছুক্ষণের মধ্যে কীকরে হল এইসব! কেনই বা হল! ভাল মানুষদের সাথেই কি সবসময় খারাপ হয়? কেন? কেন আমি আগেরদিনই স্কুলে বসে পড়ে নিলাম না চিঠিটা? চিঠিটা আমার কাছে না থাকলে তো হরি কোনো মতেই আমার সাথে আমার বাড়ি আসতে চাইতো না! ঘোর কাটলো যখন রাস্তা থেকে দুজন লোক দৌড়ে এলো কি হয়েছে দেখার জন্যে। এরাই হরিকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। হরির বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো রাস্তা আমার ছিল না। হরি প্রায় তিন বছর হয়েছে তার মা বাবাকে হারিয়েছে। নিজের বলতে কেউই নেই। স্কুলে গিয়ে হরির আত্মীয় স্বজনের খোঁজ করলাম। সেখানে হরির এক পিসির টেলিফোন নম্বর পেলাম। স্কুলের টেলিফোন থেকে ফোন করলাম তাঁকে। তিনি থাকেন ভসরগঞ্জে। এখানে আসতে লাগবে দু-তিন ঘণ্টা। তিনি জানালেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে পৌঁছাবেন। ওদিকে এর মধ্যে ডাক্তার জানালেন হরির শরীর থেকে অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে। তৎক্ষণাৎ রক্ত না পেলে তাকে বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে উঠবে। সেখানে উপস্থিত সবাইকার রক্তের পরীক্ষা করা হল, কারুর সাথেই ব্লাডগ্রুপ মিলল না। শেষে পড়ে রহিলাম আমি। হাসপাতালে ফিরে আমার রক্তের পরীক্ষা করা হল। সৌভাগ্যক্রমে আমার রক্তের সাথে হরির রক্তের গ্রুপ মিলল। আমি রক্ত দিলাম। এর প্রায় দেড়-দুয়েক ঘণ্টা পর হরির পিসি এস পৌঁছলেন। ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে জানতে পারলেন হরির মারাত্মক ব্রেন ইনজুরি হয়েছে। একটা অপারেশন করতেই হবে নাহলে পেশেন্ট বাঁচবে না। তার জন্যে লাগবে প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা। যাহোক করে সে টাকা যোগাড় করে হরির চিকিৎসা করানো হল। এক সপ্তাহ পর হরিকে, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, ভসরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হরি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত হতে থাকে। আমি হরির খবর নিতাম রোজ, আর জানতে পারতাম গত দিনের তুলনায় ওর শরীর আরো খারাপ হচ্ছে। ওখানে ডাক্তার বলেছে হরির সুস্থ হবার কোনো লক্ষণ তারা খুঁজে পাচ্ছে না। এর এক মাস পর হটাৎ একদিন হরির পিসি আমায় টেলিফোন করে জানায় হরি নাকি তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। সে যদি আমার কাছে আসে, তাহলে যেন তাকে আমি আর ভসরগঞ্জে না পাঠাই। হরিকে সামলে রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না। এই কথাটা শোনার পর খুব রাগ হয়েছিল তাদের ওপর। ইচ্ছে হয়েছিল খুব করে কথা শোনাই তাদের। মনে হচ্ছিল বলি "কেমন ধারা মানুষ আপনারা! নিজের অসুস্থ ভাইপোকে দেখতে পারেন না?" কিন্তু আমিই বা কথা শোনানোর কে! হতাশ হয়ে টেলিফোনটা রেখে দিলাম আর অপেক্ষা করতে লাগলাম হরির।
হরি আমার পাড়ায় এসেছিল ঠিকই, কিন্তু ততদিনে সে প্রায় সবই ভুলে গেছে। একটা সম্পূর্ণ মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে সে। আমার বাড়ির পাশের লঙ্গরখানাটায় থাকে বেশিরভাগ সময়। আমি গিয়েছিলাম ওকে আমার বাড়িতে আনতে। কিন্তু সে আমায় চিনতেই পারে নি। বাঁ হাতের দুটো গাঁট গুনে "বড় মা, ছোট মা"-এর নাম নিয়ে বলেছিল, "রণজয়ের সাথে মা ঠিক দেখা করিয়ে দেবে আমার। আমার একমাত্র বন্ধু..." নিজেকে কিরকম অসহায় মনে হত। আমার একমাত্র বন্ধুর জন্যে কিচ্ছু করতে পারলাম না? রাতে ঘুম আসতো না। সারাক্ষণ খালি হরির কথা মাথায় ঘুরপাক খেত। কাজে মন বসতো না। খেতে ইচ্ছে করতো না। নিজেকে ভালো রাখতেই ভুলে গেছিলাম। নিজের প্রতি মনবল যেন দিন দিন কমতে শুরু করেছিল। এরপর কলকাতায় গিয়ে এক নাম করা সাইকোলজিস্টের পরামর্শে হাওয়া বদল করতে দার্জিলিং যাই। সেখান থেকে ফিরতেই হরির সাথে রাস্তায় দেখা হয়েছিল। দূর থেকে দেখেছিলাম হরি একটা রিকশাওয়ালাকে কি জিজ্ঞেস করলো। তারপর রিকশাওয়ালা দুদিকে মাথা নাড়ায় সে সেখান থেকে চলে গেল।
কে যেন হটাৎ আমার পা দুটো জড়িয়ে ধরলো। সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার চিন্তামগ্ন জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম। নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলাম হরি আমার পা দুটো ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলছে,"ধন্যবাদ দাদা। আপনি না থাকলে আমায় ওরা মেরেই ফেলত। আমার কেউ নেই। রণজয় কোথায় থাকে জানেন? রণজয়...সায়ন্তনী বালিকা বিদ্যালয়ে মাস্টারি করতো। চেনেন? নিয়ে চলুন না একটু তার বাড়ি। কত খুঁজেছি। ওকে কোথাও পাই না..." বলেই চিৎকার করে আমার নাম বলতে বলতে দৌড়ে কোন সুদূরে যেন নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে গেল সে। তাকে আর কোনোদিনও দেখিনি এ তল্লাটে।।
সমাপ্তি
-Papeshwar Maharaj
