হিমুর মৃত্যু নেই
হিমুর মৃত্যু নেই
আমার কথা
আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমাকে নিয়ে হঠাৎ একদিন এত্ত বড় একটা টেক্সট দিলো।তখন লকডাউন ছিল । যাইহোক এখন সময়টা এমন যে বন্ধুত্ব হারিয়ে যাওয়ার মতো । হয়তো আমাকে নিয়ে ওর অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে ।মাফ করিস বন্ধু । তোকে সত্যি অনেক ভালোবাসি। আমি আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত তোর সাথে পার করছি এবং তুই আমাকে অনেকভাবে হেল্প করছিস । তোর জন্যে শুভকামনা রইলো ।
বন্ধুর টেক্সট
:আচ্ছা সাকিব
তুই কি হিমু পড়েছিস?
হিমু সমগ্রের পুরোটা?
হঠাৎ কেন জানি মনে হচ্ছে বাস্তব জগতের হিমু চরিত্রটা তুই।
তুই চাইলেই হিমু না চাইলেই নয়।
কিন্ত আমরা চাইলেও হয়তো হিমু হতে পারবো নারে।
তোর মধ্যে আমি হিমুর চিরাচরিত রুপটা দেখি।
তোর মাঝেও হিমুর অনেক বৈশিষ্ট আমি খুজে পায় না চাইতেও।
তুই চাইলেই ভবঘুরে হয়ে যেতে পারিস। পরিব্রাজক তোর উপাধিও হইতে পারে।
এমন অনেকদিন আমি তোরে দেখছি তোর পকেটে এক পয়সা নাই কিন্ত দিব্যি তোর দিন কেটে যাচ্ছে। আশ্চর্যের ব্যাপার এতে তোর কোন আক্ষেপও নেই। আমরা কিন্ত চাইলেই তা পারবো না।
তুই হাটতেও পারিস মানিকচাঁদ
তুই হিমুর মত এতটা মিথ্যাও কি বলিস??
যদি বলেও থাকিস তাও কোন ব্যাপার না তবে মাঝে মাঝে বলিস না। একটানা মিথ্যা বলাটা মহাপুরুষদের অভ্যাস।
কিন্ত তোর তো হিমুর মত আগে ভাগে কোন কিছু বলার ক্ষমতা নাই।
তবে আশা করি এটা রপ্ত করাও তোর ডালভাত।
তুই তো একটা খাঁটি প্রকৃতির সৃষ্টি
অন্য কথায় নিরেট সোনা।
হিমুর যত কিছু ছিল তোর তার থেকেও বেশি হয়তো।
তুই যদি হিমু নিয়ে একখানা বই বের করিস আমি নিসন্দেহের সেই বই এর একখানা চরিত্র হব কিন্ত আমি জানি আমাকে তুই পরিচয় করিয়ে দিবি আমার তোর এক বড়লোক বন্ধু হিসেবে
যে প্রায় প্রায় তোর কাছে নিষিদ্ধ আবদার করতো আর তুইও তা পূরণ করতি।
তুই আমারে খারাপ বানানোর অন্যতম এক কারিগর সে যাই হোক
তোর মাঝেই আমি হিমুরে খুজেফিরি।
হিমুর সেই কোন বিষয়েই গুরুত্ব না দেওয়া।
যাকে বলে নির্লিপ্ততা।
এটাও তোর মাঝে আছে
তুই বাসে ফোন হারিয়ে ফেলিস হার হামেশা। তুই আজ ঢাকা তো কাল কুমিল্লা তো পরশু সিলেট
এটা কিন্ত সবাই পাই না।
তুই কি কখনো ভেবে দেখছিস তোর মাঝে হিমুর কতটা প্রতিচ্ছবি।
হিমু চরিত্রটা এখনো জীবন্তরে
আমি মনে করি আমাদের বন্ধুজগতে সবারই এমন কোন না কোন বন্ধু আছে যে হিমুকে তার মাঝে বহন করে
আমি আবিষ্কার করেছি আমার বন্ধুমহলে হিমু একমাত্র তুই যার জগত জীবন নিয়ে অন্য যে কারো থেকে চিন্তা কম।
আসলে হিমুরাই এমন
তাদের চিন্তা সুদুরপ্রসারি হয় না।
আমি তাই বলতে পারি আমি হিমু পড়েছি কিন্ত হিমু দেখিনি এতে আমার কোন আফসোস নাই কারন আমি তোকে দেখেছি ।
হিমুর জগতে নিমন্ত্রণ
হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক চরিত্র।হিমু মূলত একজন বেকার যুবক ; যার আচরণে বেখেয়ালী, জীবনযাপনে ছন্নছাড়া ও বৈষয়িক ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন ভাব প্রকাশ পায়। চাকরির সুযোগ থাকলেও সে চাকরি কখনো করে না বলেই সে বেকার। তার অস্বাভাবিক চরিত্রের মধ্যে সে হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে রাস্তাঘাটে দিন-রাত ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝে মাঝে ভবিষ্যদ্বাণী করে মানুষকে চমকে দেয়।নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
হিমুর সৃষ্টিকর্তা
হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ - ১৯ জুলাই ২০১২)ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।
হিমু সম্পর্কিত উপন্যাস
ময়ূরাক্ষী মে ১৯৯০[৪]
দরজার ওপাশে মে ১৯৯২[৫]
হিমু ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩[৬]
পারাপার ১৯৯৪[৭]
এবং হিমু... ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫[৮]
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম এপ্রিল ১৪, ১৯৯৬[৯]
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর ১৯৯৭[১০]
হিমুর রূপালী রাত্রি ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮[১১]
একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁ ঝিঁ পোকা মে ১৯৯৯[১২]
তোমাদের এই নগরে ২০০০[১৩]
চলে যায় বসন্তের দিন ২০০২[১৪]
সে আসে ধীরে ফেব্রুয়ারি ২০০৩[১৫]
আঙুল কাটা জগলু ফেব্রুয়ারি ২০০৫[১৬]
হলুদ হিমু কালো র্যাব ফেব্রুয়ারি ২০০৬[১৭]
আজ হিমুর বিয়ে ফেব্রুয়ারি ২০০৭[১৮]
হিমু রিমান্ডে ফেব্রুয়ারি ২০০৮[১৯]
হিমুর মধ্যদুপুর ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০০৯[২০]
হিমুর নীল জোছনা ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১০[২১]
হিমুর আছে জল ফেব্রুয়ারি ২০১১[২২]
হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী ফেব্রুয়ারি ২০১১[২৩]
হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D. বল্টুভাই আগস্ট ২০১১[২৪]
হিমু মামা ফেব্রুয়ারি ২০০৪[২৫]
হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার ও অন্যান্য ফেব্রুয়ারি ২০০৮[২৬]
হিমুর বাবার কথামালা ফেব্রুয়ারি ২০০৯[২৭]
ময়ূরাক্ষীর তীরে প্রথম হিমু [২৮]
তথ্য সূত্র : :https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%81_(%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0)