গল্পের প্রাথমিক অংশ;
গল্পের প্রাথমিক অংশ;


গল্পের প্রাথমিক অংশ;
এবারে এই কুকারটাকে বিসর্জন দাও মা, ২৭-২৮ বছর হল… ' নীতা একটু বিরক্তির সঙ্গেই বলল।
বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে এসেছে সে, প্রায় তিরিশ বছর হয়ে গেল… বিয়েতে পাওয়া প্রেশার কুকারটা বার করা হয়েছিল, বছর তিনেক বাদে। সেই থেকে বিনা বিশ্রামে সার্ভিস দিয়ে চলেছে সে।
'কেন, কুকারটা তোমার কোন্ পাকা ধানে মই দিল শুনি, ভালই তো চলছে অসুবিধা কোথায়?' অত্যধিক অধিকার প্রবণতায় ভোগা শাশুড়ি মা খেঁকিয়ে উঠলেন।
বয়েস হয়েছে, নানারকম রোগে ভোগেন কিন্তু তাঁর বাতিকের ঠেলা সামলাতে নীতার প্রাণ যাওয়ার যোগাড়।বাড়ি ফিরেই অভ্যর্থনার প্রথম বাক্য শুনতে হয়, 'সারা বাড়ি কিচ কিচ করছে বালিতে, পা দেওয়া যাচ্ছে না... প্রথম প্রথম, সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়ু নিয়ে ঝাঁট দিয়ে দিত নীতা, আজকাল আর পাত্তাই দেয় না। রান্নাঘরের অধিকার তিনি কিছুতেই ছাড়বেন না, যদিও রান্নার যোগাড়ের খুঁটিনাটি সবই হাতের কাছে গুছিয়ে দিতে হয় নীতাকেই। খুন্তি কিন্তু ওঁকে নাড়তেই হবে।