এপার - ওপার
এপার - ওপার
আকাশবাণী দূরদর্শনের পরিচিত কণ্ঠ তথা সুন্দর মুখাবয়বের অধিকারি হেডস্যারের স্নেহধন্য চয়ন স্যারের টেবিলের চারপাশে ঘুরঘুর করত ছাত্রের দল। সেদিন কথায়-কথায় সিঞ্চন বলেই ফেলল, " কুন্তল স্যার বলেছেন ভালো ছড়া-কবিতা লিখতে পারলে উনি পত্রিকার অফিসে পাঠিয়ে দেবেন।"
চয়নের ফর্সা মুখ লাল হয়ে উঠল । বললেন, "এখানে কেন ? যাও না তাঁর টেবিলে গিয়ে উদয় হও না চাঁদ !"
মাস দুই পরে ছোটোদের নামী পত্রিকায় সিঞ্চনের কবিতা ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার পর চয়ন স্যারের অনুগামীর সংখ্যা কমতে শুরু করল। সেদিন রবীন্দ্র -নজরুল জয়ন্তী। ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনোৎসব। মঞ্চে চয়ন স্যার ঘোষণা করলেন, " এবার রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্পের বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী কুন্তল বিশ্বাস।"
ছাত্রদের মধ্যে গুঞ্জন উঠলেও কুন্তল স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বক্তব্য রাখলেন।
গ্রীষ্মের ছুটির পর যথারীতি স্কুল খুলল। চয়ন দেখলেন ছাত্ররা সকলে তাদের প্রিয় কুন্তল স্যারের টেবিলের চারপাশ মুখর করে তুলেছে।
--------
