STORYMIRROR

শিপ্রা চক্রবর্তী

Romance

4.6  

শিপ্রা চক্রবর্তী

Romance

এই মনে শুধুই তুমি

এই মনে শুধুই তুমি

8 mins
362


পড়ন্ত বিকেলের মিঠে রোদ্দুর গায়ে মেখে মনোযোগ সহকারে রাই এমব্রয়ডারির নকশা করছে একটা সাদা রুমালে। রাই মনে মনে ঠিক করেছে কালকে এই কলেজের জীবনের শেষ অধ‍্যায়ে এসে, নিজের হাতের কাজ করা উপহার নিয়ে মনের মানুষকে মনের সব কথা বলবে। নকশা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে শুধু নামের প্রথম অক্ষরটা লেখা বাকি। হঠাৎ করে একটা চেনা গলার আওয়াজ পেয়ে রাই সাথে সাথে কাজটা বন্ধ করে চোখে থাকা মোটা ফ্রেমের গোল চশমাটা একটু ঠিক করে নেয়। এবং তার সাথে রাই এর মনটা খুশি হয়ে ওঠে এই ভেবে যে রণো এসেছে।

---------পিছন থেকে আওয়াজ আসে, কিরে..... তুই এখনও রেডি হোসনি!!!! আবার সেই সেলাই নিয়ে বসেছিস!!! তোকে বারণ করলেও শুনিসনা!!! চোখটা আরও খারাপ করতে চাস নাকি।

-----------রাই হাসি মুখে বলে উঠল, কি করব বল সেলাই করা যে আমার নেশা। আর এইতো আমি রেডি এইখান থেকে এইটুকু তোর বাড়ি যাবো তারজন‍্য আবার সাজার কি....আছে।

----------রণো রাইকে উঠিয়ে বলল, সবসময় এই রকম দিদিমা, ঠাকুমাদের মত থাকিস মাঝে মাঝে নিজেকে একটু আধুনিক সাজে সাজাতেও পারিস।

----------রাই হাসিমুখে বলে উঠল, ধূর..... আমার অত সাজগোজ ভালো লাগেনা, যেমন আছি তেমনিই ভালো। অত রঙ চং... চড়িয়ে কি হবে!!!

--------রণো রাইএর হাত থেকে রুমালটা নিয়ে সামনে মেলে ধরে বলে উঠল, ওয়াও কি..... সুন্দর এমব্রয়ডারি করেছিস। তা... এটাকি কালকে অভিকে দেওয়া হবে।

----------রাই আনন্দ নিয়ে বলে উঠল, সত‍্যি ভালো হয়েছে অভির পছন্দ হবে তো!!! অবশ‍্য এখনও নামটা লেখা বাকি আছে।

-------রণো হাসি মুখে বলে উঠল, রঙ, চং.... করলে অভির তোকে ভালো লাগবে একটু বেশি। আর কাজটা খুব সুন্দর হয়েছে, আর অভির পছন্দ না হলে আমাকে দিয়েদিস, আমি যত্ন করে আমার কাছে রেখে দেব।

----------রাই দৃঢ় কন্ঠে বলে উঠল, আর আমি যেরকম, আমি চাই আমাকে সেই ভাবেই অভি পছন্দ করুক, কারোর পছন্দের জন‍্য আমি নিজেকে বদলাতে পারবনা।

------------রণো হাতজোড় করে কপালে ঠেকিয়ে বলে উঠল, ঠিক আছে তোর এই কথা শুনে শুনে আমার কান পচে গেছে, স‍্যরি মা.... ক্ষমা করেদে, আর কোনদিনও তোকে সাজতে বলবোনা, এখন চল তাড়াতাড়ি।

----------রাই হাসতে হাসতে রণর হাত ধরে বলল চল..... চল।

**********************************

---------রণোদের বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে রণর মা... মনামী দেবী বলে উঠলেন, এইতো রাই তুই এসে গেছিস, খুব ভালো হয়েছে, তাড়াতাড়ি আমার হাতে হাতে কাজ গুলো একটু এগিয়ে দেত মা!!! আমার এই ছেলেকে তো কোন কাজেই লাগেনা, সারাদিন শুধু বাঁদরের মত লাফিয়ে বেড়াচ্ছে এদিক থেকে ওদিক। একটু পরেই অফিস থেকে তোর কাকু চলে আসবে তখন আর সারপ্রাইজ দেওয়া হবে না।

------------রাই হাসি মুখে বলে উঠল, অত চিন্তা করোনা কাকিমা এইতো আমি চলে এসেছি, সব হয়ে যাবে।

------------রণো বলে উঠল যেই রাইকে পেলে ওমনি আমার নিন্দে করতে শুরু করে দিলে, আর সকাল থেকে সমস্ত কিছু কেনাকাটা করে তোমার হাতের কাছে জোগাড় করে দিলাম যে আমি তার বেলা????

---------মনামী দেবী বলে উঠলেন, এখন তোর সাথে ঝগড়া করে সময় নষ্ট করার মত সময় আমার হাতে নেই, তাড়াতাড়ি কাজে লেগে পর তোর সব প্রশ্নের উত্তর পরে দেবে।

যুদ্ধ কালিন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়ে গেল। রণো কাজ করছে কম বিগড়ে দিচ্ছে বেশি। তাই রাই চোক পাকিয়ে রণোকে চুপচাপ বসে থাকতে বলেছে। তাই রণো চুপচাপ বসে এক দৃষ্টিতে রাইকে দেখে চলেছে। রণো অনেকদিন থেকে মনে মনে রাইকে পছন্দ করে।রাইকে মনের কথা বলেদেবেও ঠিক করেছিল, কিন্ত যেদিন বলবে ঠিক করেছিল সেইদিন রাই রণোকে বলে ও অভিকে পছন্দ করে। সেইদিনের পর থেকে রণো নিজের ভালোবাসা কে মনের গোপন কুঠুরিতে বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। এবং মনে মনে ঠিক করছে ও সারাজীবন রাইএর বেস্টফ্রেন্ড হয়ে থেকে যাবে।

----------হঠাৎ বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠল। সাথে সাথে রণো উঠে সবদিক ভালো করে দেখে মাকে আর রাইকে দুইদিক থেকে আলতো ভাবে জড়িয়ে ধরে বলে উঠল, বোথ...ইউ....আর... রক। আই... লাভ.... ইউ.... বোথ।

-----------রাই কোমড়ে হাতদিয়ে দাঁড়িয়ে একটু ভাব নিয়ে বলে উঠল, তুই না..... বললেও আমরা জানি, আমরা রক। তাই এইবার দয়াকরে ঘরের লাইট বন্ধ করে দরজাটা খুলুন গিয়ে।

রণো রাইএর কথা মত সমস্ত লাইট বন্ধকরে দিয়ে দরজাটা খুলে দিল। এবং দেখল ওর বাবা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। রণো কিছু বলার আগেই পরিতোষ বাবু বলে উঠলেন..........

---------কি ব‍্যাপার পাড়ার সবার বাড়িতে আলো জ্বলছে, আমাদের বন্ধ কেন....????

----------রণো হাসিমুখে বলে উঠল, ইলেকট্রিক বিল বাচাচ্ছি বাবা, তুমি বলনা আমি আর মা... এমনি এমনি ঘরের আলো জ্বেলে রেখে বিল বাড়াই তাই বন্ধ করে রেখেছি।

------------পরিতোষ বাবু বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলেন হ‍্যাঁ.... তাতো করিস...., তা.... হঠাৎ আজ এত সুবুদ্ধি হলো। তাই বলে পুরো বাড়ি অন্ধকার করে রেখেছিস।

পরিতোষ বাবু বাড়ির ভিতরে ঢুকে লাইট জ্বালাতেই চারিদিক ঝলমল করে উঠল, এবং তারসাথে নজর কাড়ল টেবিলের ওপর সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা কেক, এবং তার পাশে গোলাপের পাপড়ি দেওয়া প্লেটে সাজানো পায়েসের বাটি। রাই, রণো, এবং মনামী দেবী একসাথে বলে উঠল, হ‍্যাপি..... বার্থডে......।পরিতোষ বাবুর চোখের কোনে তখন আনন্দের নোনা জল ভিড় করে এসেছে।

----------পরিতোষ বাবু বলে উঠলেন, তোরা...... এইসব করেছিস????

-------------পাশ থেকে রাই বলে উঠল, আমরা শুধু নয়... কাকু, কাকিমাও আছে। পরিতোষ বাবু ভালোবাসার গভীর দৃষ্টিতে মনামী দেবীর দিকে তাকালেন।

-----------রণো পিছন থেকে বলে উঠল, মাকে দেখার অনেক সময় পাবে, তার জন‍্য সারারাত পরে আছে, এখন আগে কেক কেটে আমাদের খাবার সুযোগ করে দাও, কখন থেকে সুন্দর গন্ধে ঘর মম করছে, অথচ খেতে পারছিনা তরপর আবার রাইএর হাতে বানানো স্পেশাল পায়েস, উফ্.... ভেবেই পেটের মধ‍্যে থাকা ইঁদুরটা ডন বৈঠক দিতে শুরু করে দিচ্ছে।

------------পরিতোষ বাবু রণোর কান ধরে বলে উঠলেন, বাপের সাথে ইয়ার্কি.... করা হচ্ছে!!!!

-----------রণো পরিতোষ বাবুকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠল, তুমি তো আমার বন্ধু....।

-----------পরিতোষ বাবু হাসি হাসি মুখে বলে উঠলেন, থাক অনেক হয়েছে আর তেল দিতে হবেনা।

পরিতোষ বাবু ফ্রেস হয়ে এসে কেক কাটলেন। ততখনে রাইএর বাবা, মাও এসেগেছে সবাই মিলে হই হুল্লোড় করে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে সন্ধ‍্যে কাটিয়ে দিল।

********************************

পরেরদিন সকালটা অন‍্যরকম ভাবে শুরু হল। রাইএর মনের মধ‍্যে একটা অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে। রাই সকালে উঠে থেকে বার কয়েক রুমালটা হাতে নিয়ে দেখেছে। এবং নিজেই লজ্জা পেয়ে মুখ ঢেকেছে। খুব সুন্দর হার্টসাইন এঁকে ওর ভেতরে নামটা লিখেছে। আর রুমালে নামের নকশা তোলার সময় অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল রাইএর মনের মধ‍্যে। মনে মনে রাই ভাবছে নিশ্চয়ই ওর ভালোবাসাকে স্বীকার করে নেবে ওর মনের মানুষ। রাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মনে এইসব ভেবেই চলেছে।

-----------হঠাৎ করে পিছন থেকে রণো বলে উঠল, এইভাবে নিজেকে দেখে কাজ নেই, কোন পরিবর্তন হবেনা নিজের, যা আছিস তাই থাকবি। এখন চল....

------------রাই ভাবনার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে এসে হাসি হাসি মুখে বলে উঠল, চল..... চল। আচ্ছা রণ অভি আমাকে ভালোবাসেতো???,

----------রণো দৃঢ় কন্ঠে বলে উঠল, হ‍্যাঁ.....নিশ্চয়ই বাসে। এখন এই সব কথা ছাড়, চল.... নাহলে দেরী হয়ে যাবে।

রণো রাই এর হাত ধরে কলেজে ঢুকলো সমস্ত বন্ধু বান্ধবী সবার সাথে কথা বলে, শেষ বারের মত কলেজের পুরো চত্বর টাকে ঘুরে নিল, কত সুন্দর সুন্দর স্মৃতি ছড়িয়ে আছে এই কলেজের প্রত‍্যেকটা আনাচে কানাচে, কত ভালো মহুুর্ত কাটিয়েছে এই তিন বছর ধরে বন্ধুদের সাথে। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষন এল রাই নিজের মনের কথা অভিকে বলবে। কিন্তু ঠিক তার আগে রণো বলে উঠল.........

----------রাই তুই একটু এইখানে দাঁড়া, আমি আর অভি একটু আসছি।

অভি আর রাইকে কিছু বলতে না দিয়ে রণো অভির হাত ধরে একটু এগিয়ে গেল। আর রাই কলেজের মাঠে বাঁধানো ছাতিমগাছের বেদিতে বসে ওদের যাওয়ার দিকে চেয়ে রইল, আর রাইএর কানে ভাসতে লাগল রন আর অভির ভিডিও কলিংএর কথোপকথন যেটা রাই লুকিয়ে শুনেছিল, কাল রাত্রে বাড়ি ফেরার আগে যখন রনর সাথে দেখা করতে গেছিল তখন.....

********************************

--------অভি ফোন ধরে বলে উঠেছিল, কিরে এত রাতে আমাকে ফোন করলি, কোন দরকার আছে বুঝি।

-----------রণো বলে উঠেছিল, দেখ অভি কাল রাই তোকে ওর মনের ফিলিংসের কথা বলবে, প্লিজ তুই ওকে অপমান করিসনা যেন!!! বিশ্বাস কর রাই তোকে খুব ভালোবাসে।

-----------অভি হাসতে হাসতে বলে উঠেছিল, তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তুই কি বলছিস ভেবে দেখেছিস, রাই এর মত দিদিমনি মার্কা মেয়ের প্রোপোজাল আমি স্বীকার করব।

----------রণো বলে উঠেছিল, দেখ ভাই সে.... তোর যদি রিলেশনে থাকতে থাকতে মনে হয় রাই তোর জন‍্য ঠিক নয়, তখন রিলেসন থেকে বেড়িয়ে আসিস!!!! কিন্তু কাল ওর মুখের সামনে না.... বলে ওকে অপমানিত করিসনা, ও....তোকে সত‍্যি খুব ভালোবাসে, আর রাই খুব ভালো মেয়ে,ওর মত মেয়ে তুই কোথাও পাবিনা!!!

--------অভি হাসতে হাসতে বলে উঠেছিল, তা.... এতই যখন ভালো মেয়ে, তখন তুই ঐ..... দিদিমনিকে বিয়ে করেনিস, আমাকে ওর সাথে জড়াতে বলিসনা!!!! আমি পারবনা!!!

----------রণো বলে উঠেছিল, হ‍্যাঁ..... আমি রাইকে খুব ভালোবাসি বিয়েও করতে চাই, কিন্তু কি.... করব বল, রাইযে তোকে ভালোবাসে, তাই নিজের ভালোবাসার ভালোবাসাকে পাইয়ে দেওয়ার জন‍্য তোকে এই কথাগুলো বলছি, প্লিজ.... ভাই তুই রাইকে হার্ট করিস না... প্লিজ। আর যদি করিস তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা।

---------অভি বিরক্তি নিয়ে বলে উঠেছিল দূর ঘ‍্যানঘ‍্যান করিস না..... তো, আমার গার্লফ্রেন্ড আছে। আর আমি আর যাই হোক ঐ... দিদিমনি মার্কা রাইকে আমার গার্লফ্রেন্ড বানাতে চাইনা কোনদিনও !!!!

----------অভিকে এই ভাবে কথা বলতে দেখে রণো বলে উঠল, ঠিক আছে তাহলে তুই আর কালকে রাইএর সামনে যাসনা ওকে, রাইকে আমি কিছু একটা বলে দেব।

----------অভি হেসে বলে উঠেছিল কেন যাবনা....!!! দেখতে হবেনা দিদিমনি কিভাবে আমাকে প্রপোজ করে।

********************************

---------রণো অভির দিকে আঙ্গুল উঁচিয়ে বলে উঠল, দেখ উল্টাপাল্টা কিছু করিস না.... তাহলে আমি ভুলে যাব তুই আমার বন্ধু ছিলিস। কাল থেকে তোকে অনেকবার বুঝিয়েছি।

অভি রণোর আঙ্গুল নামিয়ে দিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতে হাসতে এগিয়ে গেল রাইএর সামনে। পিছন পিছন রণো এল। কিন্তু রাগে হাতমুঠো করে দাঁড়িয়ে আছে বুঝতে পারছেনা অভি ঠিক কি.... করতে চলেছে। অভি আর রণোকে আসতে দেখে রাই উঠে দাঁড়িয়ে নিজের ব‍্যাগ থেকে রুমালটা বার করে, রণো মনে মনে ভাবছে এইবার বুঝি রাইএর সমস্ত ভালোবাসা অনুভূতি অপমানিত হবে, কিন্তু ও... কি... করবে রাইকে কি... আটকাবে!!!! না.... অভিকে আটকাবে!!!! অভিতো ওর কোন কথাই শুনছেনা, আর রাইকে বারণ করলে কারনটা তো... বলতে হবে, রণোর এইসব ভাবনার মাঝেই লক্ষ‍্য করে রাই অভিকে পাশ কাটিয়ে ওর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। রণো কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাই এমব্রয়ডারি করা রুমালটা মেলে ধরে রণোর চোখের সামনে, আর রুমালটা দেখে রণ অবাক হয়ে যায়, কারন রুমালে হার্টসাইনের মধ‍্যে ওর নামটা সুন্দর করে লেখা। রণ সমস্ত কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।

---------রাই রণোর হাত ধরে বলে ওঠে আমি যখন ভুল পথে যাচ্ছিলাম, তখন তোর উচিত ছিল আমাকে সঠিক পথটা দেখিয়ে দেওয়ার। আর ভালোবাসা জোড় করে বা.... ভিক্ষে চেয়ে হয়না, তুই আমার জন‍্য এই অভির কাছে ভালোবাসা ভিক্ষে চাইছিলিস কেন???? তোর মনের গোপন কুঠুরিতে যে... ভালোবাসা জমে আছে তাকে উজার করে দিতে পারবিনা আমাকে।

-------রণো রাইকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলে ওঠে, পারবো... আমি পারবো। আমার ভালোবাসা দিয়ে তোকে রাঙিয়ে দিতে, আই.... লাভ.... ইউ.... সো... মাচ।

----------রাই বলে উঠল, আই... লাভ... ইউ...টু...। আর এই রুমালটা যেন যত্ন করে রাখা হয়।

অভি হাঁ হয়ে ওদের কান্ড দেখছে রাই রণোর হাত ধরে অভির সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠে.......

--------থ‍্যাঙ্ক... ইউ.... অভি, তুমি না... থাকলে আমি নিজেকে এবং নিজের ভালোবাসা কে কোনদিনও চিনতে পারতাম না...., কালকে তোমার বলা প্রত‍্যেকটা কথা আমাকে সবকিছু নতুন করে চিনতে শিখিয়েছে। থ‍্যাঙ্ক... ইউ... সো...মাচ। আর হ‍্যাঁ.... আমি দিদিমনি মার্কা, আধুনিক নয়, আর আমি এই রকমই থাকব, আর আমার রণো আমার বাহ‍্যিক সৌন্দর্যকে নয়, আমার মনের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে। ভালো থেকো অভি গুড... বাই...।

রাই রণোর হাত ধরে এগিয়ে চলল সামনের দিকে,আর কিছু গাছের শুকনো পাতা দমকা হাওয়ায় ঝড়ে পড়ল অভির সামনে..


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance