ভালোবাসা
ভালোবাসা
স্কুল থেকে ফেরার পথে আজকে আবার চোখ পড়লো রিমার উল্টো দিকের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার উপর। কেন যে রোজ ছেলেটা এইভাবে দাঁড়িয়ে ওকে দেখে,সেটাও বুঝতে পারছে না রিমা।এই এলাকায় নতুন ফ্ল্যাট কিনেছে রিমারা।স্কুলের চাকরিটা জয়েন করবার পর থেকে ,ওর খুব অসুবিধা হচ্ছিল যাতায়াত করতে। তাই বাবার রিটায়ারমেন্টের পর , বাবা ওরই সুবিধার্থে এই ফ্ল্যাট টা নিয়েছিল ওর স্কুল থেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য। মাস দুয়েক হলো ওরা এখানে এসেছে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই জায়গাটায় সুবিধা সব কিছুরই আছে। প্রচুর গাছপালা থাকার জন্য আপাত অর্থে দূষণ মুক্ত পরিবেশ।রিমা খুব পছন্দ করে এইধরনের নির্জন জায়গা। পাড়ার লোকেরা ও সবাই ভদ্র,সভ্য। এককথায় সব ই ভালো। কিন্তু এরই মধ্যে এটা আবার নতুন কি ঝামেলা রে বাবা। ছেলেটা এভাবে রোজ দাঁড়িয়ে ওকে দেখতে থাকলে তো খুব মুশকিল।রিমা মনে মনে ভাবলো, কাল একবার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করবে ও ছেলেটাকে সরাসরি । কিন্তু না তারপর ভাবলো সেটা ঠিক উচিত হবে না।যদি অন্য কিছু বলে দেয়।যদি বলে , আপনাকে ই দেখছি কি করে বুঝলেন। তার থেকে দরকার নেই বাবা অযাচিত ভাবে জিজ্ঞেস করবার। উপেক্ষা করে গেলেই হবে ব্যাপারটা।
কিন্তু এরপরও প্রতিদিন ওই একই ঘটনা। এবার তো রীতিমতো অস্বস্তি বোধ হচ্ছে রিমার। পাড়ার লোকেরাই বা কি ভাববে এভাবে রোজ ছেলেটা কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে। আজ জিজ্ঞেস করবে সরাসরি রিমা। স্কুলে যাবার পথে ও দেখলো ছেলেটা দূরে দাঁড়িয়ে ওকে দেখে যাচ্ছে।রিমা সামনে এগিয়ে গেল। ছেলেটার গায়ের রং ও শ্যামলা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওর চোখদুটো কি ভীষণ মায়াবী। আর মুখে এক অদ্ভুত সরলতা। রিমা জিজ্ঞেস করলো,"আপনি রোজ ওভাবে দেখেন কেন আমাকে? সবাই কি ভাববে। আমি তো আপনাকে চিনি পর্যন্ত না।" ছেলেটা কোনো রকম ঘাবড়ে না গিয়ে উত্তর দিলো, "শুধু তো দেখি আপনাকে।তাতেও অসুবিধা আপনার। কিছু তো বলিনি কখনও আপনাকে।"
রিমা এরপর আর কি বলবে। কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেল ও। তারপর দিন স্কুলে যাবার সময় ও ছেলেটাকে আর দেখতে পেলো না। স্কুল থেকে ফেরার সময় ও না।তারপর দিন ও না।রিমার চোখ আজ ছেলেটাকে এপাশ ওপাশ খুঁজে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু কোথাও তো নেই সে। তবে কি ওর সেদিনের কথায় খারাপ ভেবেছে কিছু।ধূর ভাবুক যা ইচ্ছা। ওর তাতে কি যায় আসে? ও তো এটাই চাইছিল যে ছেলেটা যেন আর রাস্তায় এভাবে দাঁড়িয়ে ওকে না দেখে। সেজন্য ই তো ও ছেলেটাকে সরাসরি বলেছিলো গিয়ে। তাহলে আজ যখন সেটাই হয়েছে ওর খারাপ লাগছে কেন। হ্যাঁ , খারাপ ই তো লাগছে ওর মনে মনে। কিন্তু সেটা ও মনের ভিতরেই রেখে দিতে চাইছে কেন। ছেলেটাকে না দেখতে পেয়ে যে ওর দুদিন খারাপ লেগেছে, সেটা ও স্বীকার করতে চাইছে না কেন নিজের কাছেও।
আসলে অনেকসময় আমরা মনের কথা নিজেদের কাছে স্বীকার করতেও ভয় পাই হয়ত।এটাও অনেকটা সেরকমই। একটু মনমরা হয়ে রিমা আজ স্কুলে গেল। স্কুলে ক্লাস নিতে গিয়েও কেমন যেন আনমনা হয়ে ছিল ও। বারবার ছেলেটার চোখ দুটোর কথাই মনে পড়ছিল ওর। ওর দৃষ্টিতে এক অতলান্ত গভীরতা ছিল। রিমা স্কুল থেকে ফেরার পথে আবার দেখলো ছেলেটার দাঁড়িয়ে থাকার পথের দিকে।ওই তো দাঁড়িয়ে আছে তো আজ।এক অজানা আনন্দের অনুভূতি হঠাৎই ওর মনে অনুভূত হলো। সামনে এগিয়ে গেল ও। তারপর জিজ্ঞেস করলো ছেলেটাকে,"তিনদিন ধরে দেখতে পাচ্ছিলাম না কেন শুনি?"
আজ ছেলেটা একটু থতমত খেয়ে বলল,"ইয়ে মানে , আপনি তো সেদিন বারণ করলেন দেখতে আপনাকে।"
রিমা মুখটা একটু অন্যদিকে ঘুরিয়ে বললো,"দেখতে বারণ করা হয়েছে, দাঁড়াতে তো বারণ করা হয়নি।"
আর কোনো কথা না বলে রিমা নিজের বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করল।
পরদিন স্কুলে যাবার পথে রিমা দেখলো সে দাঁড়িয়ে আছে।আর একভাবে ওকে না দেখলেও দেখছে। রিমা আজ আর কিছু বললো না ছেলেটাকে। কিন্তু ওর মনটা আজ বেশ ভালো লাগছে। হলো টা কি ওর? তবে কি ও ছেলেটাকে সত্যি প্রশ্রয় দিচ্ছে। না না এসব কি ভাবছে ও।চেনে না, জানে না এমন একজন সম্পর্কে কি সব ভাবছে ও। রিমা নিজের মনকে বোঝাতে চেষ্টা করে। বাড়ি থেকে কদিন ধরেই বিয়ের জন্য বাবা মা বলছে। আসলে রিমা শুরু থেকেই বলে রেখেছিলো বাবা,মা কে যে, যতদিন না ও নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়, ততদিন বাবা,মা যেন বিয়ের জন্য ওকে কোনো রকম প্রেশার না দেয়। কিন্তু এখন তো ও প্রতিষ্ঠিত।আর তাই বাবা, মা বিয়ের জন্য বলবে, সেটাই স্বাভাবিক। আর পাত্র ও তো ঠিক করাই আছে।রিমা আর সায়ক একে অপরকে গত পাঁচ বছর ধরে চেনে।রিমার বাড়ি থেকে যেরকম সবাই জানে। তেমনি সায়কদের বাড়িতে ও সবাই জানে।ওর মাঝে মাঝেই একে অপরের সঙ্গে সময় ও কাটায় কিছুক্ষণ। দুজনে র বিয়েটা যে নিশ্চিত হবে,এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই।
কিন্তু তা সত্ত্বেও রিমার মনে এই ছেলেটার প্রতি এরকম অনুভুতি আসবার কি কারণ তা রিমা নিজেও জানে না। একটা কেমন যেন অজানা ভালোলাগা অনুভব হয় ছেলেটাকে দেখলে।সেদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে রিমা দেখলো, সায়ক আর ওর মা, বাবা এসেছে ওদের বাড়িতে। ও ফিরতেই সায়ক বললো,"চলো তোমার ঘরে গিয়ে বসি।" সত্যি বলতে কি রিমার আজ মন থেকে একটুও ইচ্ছা ছিল না সায়কের সঙ্গে আলাদা করে সময় কাটাবার। কেন নেই তার উত্তর বোধহয় রিমার নিজের ও জানা নেই। তা সত্ত্বেও সায়ক ওর সঙ্গে ওর ঘরে গেল।রিমার মা ও রিমাকে দেখে বললো,"হ্যাঁ সেটাই ভালো হবে। তুই এতক্ষণ ছিলিস না। বেচারা এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে অনিচ্ছা সত্বেও বসে ছিল। এখন যা দুটিতে গল্প কর গিয়ে।আমি তোদের খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি ঘরে।" ঘরে এসে সায়ক রিমার হাতটা ধরে ওকে নিজের কাছে টেনে এনে বললো,"কতদিন তোমাকে এভাবে পাইনি। আজকাল তো নিজে থেকে দেখা করবার কথাও বলোনা।" রিমা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো, "সময় পাইনা একদম।"সায়ক আবার ওর কাছে এগিয়ে এসে বললো,"এখন তো পাচ্ছো সময়।তা হলে আমার প্রাপ্য টা আমাকে দিচ্ছ না কেন।"বলেই ও রিমার ঠোঁটে র কাছে ওর মুখটা নামিয়ে আনলো।রিমা আবারও ওর থেকে দূরে সরে গিয়ে বলল, চলো ছাদে গিয়ে বসা যাক।সায়ক আর কিছু বললো না, কিন্তু ও এটা বুঝতে পারছিল যে রিমা ওকে যে কোনো কারণেই হোক কাছে আসতে দিচ্ছে না।
সায়করা ডিনার করে চলে যাবার পর রিমা নিজের ঘরে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলো, কেন সে আজ সায়ক কে নিজের কাছে আসতে দিচ্ছিলো না।সে তো ভালোবাসে সায়ককে। কয়েক মাস পরে ওদের বিয়েও হবে। তাহলে কি এমন হলো এই কদিনে ওর মধ্যে । এইসব কথার মাঝেও রিমার চোখের সামনে কিন্তু আর একজনের মুখ বারবার ভেসে উঠছিল। কিন্তু চেনা নেই,জানা নেই, এরকম কারুর সম্পর্কে ও এত ভাবছেই বা কেন। পরদিন স্কুলে যাবার পথে রিমা নিজে এগিয়ে গিয়ে ছেলেটাকে বললো,"রোজ শুধু না দেখে, কোনো দিন তো কথাও বলা যায় নাকি সেটাতেও অসুবিধা।" ছেলেটা একটু হতভম্ব হয়ে গেল আজ। তাকে কথা বলতে বলছে? ছেলেটা একটু ইতস্তত করে বললো,"আমার নাম মৈনাক।থাকি এই পাড়াতেই"।রিমা আবারও বললো,"তা কাজকর্ম কিছু করা হয় ?নাকি সারাদিন এইখানেই দাঁড়িয়ে থাকা হয়?" মৈনাক এবার একটু সাহস পেয়ে বললো,"না না ,ওটা তো শুধু আপনার যাবার সময় দাঁড়িয়ে থাকি।" আর কাজ করি তো ব্যাঙ্গালোরে। এখন ছুটি নিয়ে এসেছি কদিন বাড়িতে।এই তো আর দুদিন পর ই ফিরে যাবো।" কিছুক্ষণের জন্য রিমার মুখটা কি বিবর্ণ হয়ে গেল কথাটা শুনে।ও শুধু বললো,"চলে যাবেন দুদিন পর"। এরপর রিমা আর কোনো কথা না বলে চলে গেল। ফেরবার সময় ও দেখলো মৈনাক দাঁড়িয়ে আছে।ওকে দেখে এগিয়ে এসে বললো, "আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। আমার নাম্বারটা রাখুন। হোয়াটসঅ্যাপ এ মেসেজ করে দেবেন যদি কথা বলতে ইচ্ছা করে তো।" রিমা আজ কেমন নেশাগ্ৰস্তের মতো ওর নাম্বার টা নিয়ে নিলো। প্রত্যুত্তরে একটাও কথা না বলে।
রাত্রিবেলা নিজের ঘরে শুয়ে ও মৈনাক কে মেসেজ করলো। সঙ্গে সঙ্গে ই ওপাশ থেকে রিপ্লাই এলো। যেন ওর মেসেজের ই অপেক্ষা করছিল। অনেক রাত পর্যন্ত দু'জনে কথা বললো। পরদিন স্কুলে যাওয়ার পথে রিমা মৈনাকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে গেল। তারপর দিন তো মৈনাকের চলে যাবার কথা। রিমার মনটা খুব খারাপ লাগছিল। কেন সেটা ও নিজেও জানে না।এই তো দু দিনের পরিচয় ওদের। তার আগে তো সেভাবে কথা ও হয়নি। আর সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, মৈনাকের সঙ্গে কথা বলার পর থেকে রিমা সায়কের ব্যাপারে এতটা উদাসীন হয়ে গেছে যে ,ও নিজের কাছেও সেটা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। মৈনাক তো শুধু ই ওর পরিচিত।আর সায়ক তো ওর হবু স্বামী। কে জানে রিমার মনে কার জন্য কি অনুভূতি।ছোট থেকে পরিচিত যে, সে কি তাহলে ওর শুধু ই বন্ধু।সায়কের জন্য ওর তো কখনও এই অনুভূতি হয়না, যা এই কদিনে ও মৈনাকের জন্য অনুভব করছে। কিন্তু সায়ক তো ওকে ভালোবাসে। বাড়ির লোকজন ও জানে ওদের বিয়ে হবে । কাল ই তো ও শুনেছে মা, বাবাকে কথা বলতে ওর আর সায়কের বিয়ের বিয়ে নিয়ে।
কিন্তু মৈনাক তো এখনও ওকে এটাও বলেনি যে, ও রিমাকে ভালোবাসে। একটা অদ্ভুত দো টানায় পড়েছে রিমা। একজন ওর পূর্ব পরিচিত, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী।আর একজন এই অল্প সময়ের জন্য এসেও ওর মনে নিজের জন্য একটা জায়গা পাকা করে নিয়েছে। কি করবে এবার রিমা? এদিকে আজ মৈনাক ফিরে যাচ্ছে ব্যাঙ্গালোর। স্কুলে যাবার পথে ও দেখলো মৈনাক দাঁড়িয়ে আছে ওর জন্য। রিমার চোখ ছলছল করছে। মৈনাক বললো,"মনখারাপ করো না, আবার আসব তো আমি দুমাস পর।"রিমা মনে মনে ভাবছে, তখন কি আর পাবে আমাকে দেখতে কে জানে।ঘর থেকে যেরকম তোড়জোড় শুরু হয়েছে।" মৈনাক জিজ্ঞেস করলো,"কি ভাবছো এতো?" কোনো উত্তর দিলো না রিমা। রাত্রি বেলা ওকে মৈনাক মেসেজ করলো।লিখলো, "তোমার থেকে দূরে চলে এসে বুঝতে পারছি তুমি আমার মনের কতো কাছে ছিলে। ভালোবাসি তোমাকে।"
এই কথাটাই তো শুনতে চাইছিল রিমা এতদিন ধরে। মনের মধ্যে একটা অজানা আনন্দের অনুভূতি। নিজের হৃদস্পন্দন নিজেই অনুভব করতে পারছে ও। কই এর আগে তো কখনও এই অনুভূতি হয়নি ওর জীবনে।সায়ক কখনও সেভাবে বলেনি ওকে যে ভালোবাসে। আসলে একসঙ্গে বন্ধুর মতো থাকতে থাকতে ওরা হয়তো এটাই ভেবে নিয়েছে যে একে অপরকে ভালোবাসে। সত্যিই কি এটা ভালোবাসা ছিলো? ও যদি সত্যিই সায়ককে ভালোবাসতো তাহলে ওর মনে মৈনাকের জন্য কখনও কোনো জায়গা তৈরি ই হতো না । আসলে ভালোবাসা এমন একটা সুন্দর অনুভূতি। যা যে কোনো সময় এসে বলতে পারে, চল্ আমার সঙ্গে। আর কাউকে ভালোবাসার জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটা মুহুর্ত ই যথেষ্ট। সত্যি ই তো রিমা তো এক মুহুর্তেই ভালোবেসে ফেলেছে মৈনাক কে। অথচ সায়কের সঙ্গে এতবছর থাকার পরও ওকে এই উত্তর খুঁজতে হচ্ছে যে ও সায়ক কে কি সত্যিই ভালোবাসে।
রিমা একদিন সায়ককে ডাকলো বাইরে।সায়ক খুব খুশি হয়েছিল রিমার সঙ্গে দেখা করতে পারবে বলে। ওরা দুজনে একটা কফিশপে বসে ছিল। রিমা ঠিক বুঝতে পারছিল না যে শুরু টা কিভাবে করবে।তারপর বললো," সায়ক কাউকে কাছে পাবার জন্য প্রেম বড়ো নাকি বন্ধুত্ব?" সায়ক বলেছিলো," বন্ধুত্ব। তুমিও তো আগে আমার বন্ধু ছিলে, এখনও আছো।"রিমা সায়ককে বললো, "তাহলে আমি তোমাকে সেই বন্ধুত্ব দিয়ে সারা জীবন আগলে রাখতে চাই সায়ক। আমাকে ভুল বুঝো না তুমি কখনো।"সায়ক রিমার হাত দুটো ধরে বলেছিল,"তুমি যেটা চাইছ , সেটাই হবে। তোমার জীবনে আমি বন্ধু হয়েই থাকব। কিন্তু সেই ভাগ্যবান মানুষটি কে ,যাকে পাবার জন্য আমার বন্ধু এতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে।" রিমা সব খুলে বলেছিল সায়ককে। সায়ক কথা দিয়েছিল রিমাকে দু বাড়িতেই সে সবকিছু জানাবে।একজন প্রকৃত বন্ধু র মতো সায়ক রিমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।
আসলে বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা এক নয়। কোথাও বন্ধুত্ব থাকে, কোথাও ভালোবাসা।বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা হলো একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। দুটি সম্পর্ক একই সুতোয় গাঁথা। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক বৈপরীত্য। ভালোবাসা হলো মন্দির আর বন্ধুত্ব হলো বাসস্থানের মতো।