বেঁচে থাকার গল্প
বেঁচে থাকার গল্প
একদিন আমি ও আমার তিনজন বন্ধু বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমরা এডভেঞ্চার টুরে বেড়িয়ে ছিলাম
আমরা বিমানে করে গিয়েছিলাম। বিমানে আমরা চারজন সহ ৫০ জন লোক ছিলাম। বিমান টেকওফের কিছু সময় পর বিমানটা হাইজ্যাক হয়ে যায়।
আমরা সবাই বাঁচার জন্য ছটফট করতে থাকি। আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকি। হাইজ্যাকাররা পাইলট কে গুলি করে মেরে ফেলে।
আমরা সবাই নিজের প্রাণ বাঁচাতে বিমানের সিটের নিচে থাকা প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যাই, আমি ও আমার চার বন্ধু এক নির্জন সমুদ্রের তীরে একটি জঙ্গলময় দ্বীপের মধ্যে গিয়ে পৌছাই। আমরা অনেকক্ষণ অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। জ্ঞান আসার পর আমরা খাবার জন্য কিছু খাদ্যের সন্ধান করতে থাকি। আমরা সমুদ্রের মাছ ও নোনা জল খেয়ে প্রাণে বাঁচি।
আমাদের দেশে ফিরে যাওয়ার পথ অনেক দূর্গম ছিল। এই দ্বীপে অনেক ভয়ানক ভয়ানক লোক ছিলো যাদের কাছ থেকে প্রাণ বাঁচানো অনেক দূর্গম।
তাদের কাছ থেকে বাচতে হলে তাদের সাথে লড়াই করতে হবে
পিস্তল, রাইফেল, স্নাইপার, বোমা ইত্যাদির সাহায্যে।
তাদের কাছ থেকে বাঁচতে পারলেই আমরা সুরক্ষিত ঘরে ফিরে যেতে পারব।
কোন উপায় না পেয়ে আমরা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
এই দ্বীপে সব জায়গায় যুদ্ধের জন্য অস্ত্র পাওয়া যায়, ছোট বড় ঘরে পাওয়া যায়, রাস্তার মাঝেও অস্ত্র পড়ে থাকে।
কিন্তু আমরা কোন অস্ত্র খুজে পাচ্ছিলাম না। আমরা অস্ত্রের খোজে হাঁটা শুরু করলাম।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে একটি কিলার মধ্যে গিয়ে পৌছালাম।
সেই কিলার মধ্যে চারটি রাইফেল, দুটি স্নাইপার, চারটি পিস্তল, কিছু বোমা ও কিছু চিকিৎসা সামগ্রী ছিলো।
সেগুলো নিয়ে আমরা যুদ্ধে নামলাম।
কিছুদুর হাটার পর চারজন শত্রু দল আমাদের আক্রমণ করতে এগিয়ে এলো, আমরা ওদেরকে প্রাণে মেরে দেই। তার কিছুক্ষণ পর আরও দুজন শত্রুর সাথে আবার লড়াই হয়, এই দ্বীপ এতই ভয়ানক ছিলো যে আমাদের পিছন ফিরে যাবার উপায় ছিলো না, কারণ যতই এগিয়ে যাচ্ছিলাম আমাদের পিছনে বিদ্যুতিক কবজ সৃষ্টি হচ্ছিলো। আরও কিছু এগিয়ে যাবার পর আরও চারজন শত্রু দলের সাথে যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে আমার দুজন বন্ধু খুব আহত হয় তবুও আমরা তাদের সাথে যুদ্ধে জয়ী হই। তারপর আমরা আমাদের আহত বন্ধুদের প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে এগোতে থাকি।
আমার বন্ধুরা হাঁটতে পারছিলো না তাদের শরীরে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি ছিলো না। কিছুক্ষণ হাটার পর চারটা বড় মাসরুম দেখতে পাই, আমার আহত বন্ধুরা সেগুলো খেয়ে একটু শক্তি পায় ও তারা আবার হাঁটতে করে।
তারপর আবার শুরু হলো আরেক বিপদ, বিদ্যুতিক কবজটা অনেক দ্রুত গতিতে আমাদের পিছু করতে লাগলো। আমরা দৌড়ে একটি নির্দিষ্ট সুরক্ষিত যায়গায় চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী ও সর্বশেষ শত্রুর সাথে দেখা, ওর সাথে যুদ্ধ করে আমরা জয়ী হই।
তারপর আমরা আনন্দে বাজি পোড়াতে থাকি। ও জোড়ে জোড়ে ভূইয়া ভূইয়া বলে চিৎকার করতে থাকি।
তখন হঠাৎ করে আমার বান্ধবী শতরূপা এসে আমাকে মেরে মেরে উঠাতে থাকে আর বলে সারাদিন গেম খেলে খেলে মাথা নষ্ট করে ফেলেছিল, জেগে থাকতে চিৎকার করিস ঘুমের মধ্যেও করিস।
তখন আমার ঘুম ভেঙে গেলো আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম কি স্বপ্ন দেখলাম মাইরি।
