অতুল এভাবে চলে গেলো
অতুল এভাবে চলে গেলো


শ্রুতি আর অতুলের প্রেম করে বিয়ে । হ্যাঁ হ্যাঁ প্রেম করেই । আর পাঁচটা সুখী দম্পতির ডেটাবেসে ওদের নাম ছিলো । কিন্তু কে যে ওই ডেটাবেসে একটা অ্যানোম্যালি ঢোকালো অতুলের একটা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে কে জানে !
গত কিছুমাস যাবৎ শ্রুতি সব বুঝেও চুপ ছিলো । কিন্তু আজ এক্কেবারে টাই ধরে লটকে সুমনা যখন এসে হাজির তখন আর চুপ থাকা যায় না । অতুল মাত্রাতিরিক্ত মাতাল ।
" দেখো দেখো শ্রুতিকে দেখো কীরকম দাঁড়িয়ে । খাবারটা পাঠিয়ে দিবি হতভাগী । উমম আমার সোনা । "
শ্রুতির খাবার তৈরীই ছিলো , গরম করে একমুহূর্তে তা পাঠিয়ে দিলো কাজের লোক রমাকে দিয়ে ।
ভয়ঙ্কর অস্লীল শব্দ আসছিলো বাইরে থেকে । রমা বাইরে থেকে , " খাবারটা নিন দাদাবাবু । "
" খোলাই আছে চলে এসো । "
তাকানো যায় না বিছানার দিকে । একে অন্যের উপর যৌবন উদ্দীপনায় মেতে দুজনে । রমা চলে যেতে অতুলকে খাইয়ে দিলো সুমনা । সুমনা খেলো না কারণ সে খেয়ে বেরিয়েছে অফিস থেকে । খাওয়ার আধঘন্টা পরেই হঠাৎ চোখগুলো বুজে এলো অতুলের । হাঁপাতে হাঁপাতে একসময় একপাশে মুখ হেলে গেলো । সুমনা টের পেতেই আঁতকে উঠলো ।
ডাক্তার এলো । মৃত্যুর কারণ হঠাৎ হাঁপানিতে দমবন্ধ হয়ে যাওয়া । অতুল যে অ্যাসমার রোগী তা সবাই জানতো ।
আজ ৫ দিন অতিবাহিত হলো অতুল চলে গেছে । রমা বাগানের সামনে যেতেই একটা কাঁচের টুকরো পায়ে লাগলো যার সামনেই একটা ভাঙ্গা শিশি পড়ে । জানলা দিয়ে শ্রুতি দেখছে তখন । " ডাক্তার হালদারের প্রেসক্রিপশনের ওষুধ , ওটা একধার দেখে পুঁতে দেতো । " ভয়ে ভয়ে রমা তাই-ই করলো ।
অতুলের চলে যাওয়াতে শ্রুতি ভেঙ্গে পড়েছে খুব , এভাবে চলে যাবে ভাবা যায় না ।