অপর্ণা তার নাম
অপর্ণা তার নাম


নিজের জেঠুকে পুলিশের জিম্মায় দেখবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। অপর্ণা তখনও অঝর ধারায় কেঁদে চলেছিলো আমার কাঁধে মাথা রেখে। অপর্ণার মাকে পুলিশ খুঁজছে, জায়গায় জায়গায় ছবি দেওয়া হয়েছে।
ঠিক ৬ মাস আগের কথা। আমার অফিসে দুবছর পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে ট্রিট দিচ্ছি সকলকে। আমার জেঠু বিরাট কোম্পানির মালিক, মহেন্দ্রনাথ ঘোষ। স্টিল ম্যানুফ্যাকচারের কারখানা। বাবা ইচ্ছে করেই ওই কারখানায় না থেকে নিজের সংসার চালাবার মতো কাপড়ের ব্যবসা খুলেছিলেন। আমাদের বাড়ির এক বহু পুরোনো সদস্য হলো মীরা মাসি। সকলের সমস্ত প্রয়োজন মীরা মাসির দ্বারাই মিটে আসছে। মীরা মাসি আমায় ছোট্ট থেকে দেখছে। ঘরের চব্বিশ ঘন্টার কেয়ারটেকার মীরা মাসি। মীরা মাসির মেয়ে আমাদের সাথেই থাকতো। একজন মীরা মাসিকে ঠকিয়ে তাকে ছেড়ে অন্য একজনের সাথে পালিয়েছিলো।
ছোটোবেলা থেকেই মীরা মাসির মেয়ে অপর্ণা আর আমার মধ্যে খুব ভাব। ছেলেবেলার খোলামকুচি যখন কৈশোরের খুনসুটিতে বদলে যায় তাতে আলতো প্রেম জড়িয়ে পড়ে। তাকে নিয়ে গোপনে স্বপ্ন দানা বাঁধছিলো।
ও পড়তো ইতিহাস অনার্স আর আমি বি.টেক ইলেকট্রিকাল। শ্যামবাজারে কলেজ থেকে বাসে করে নেমে ওর কলেজ ছুটির ওয়েট করা, ঝালমুড়ি বা ছোলাসেদ্ধ, বাদামভাজা খেতে খেতে শোভাবাজার, আহিরীটোলা হয়ে বাড়ি। বাবা, মাও অপর্ণাকে আপন করে নিয়েছে। মা জানে অপর্ণার সাথে আমার সখ্যতা প্রেমে পরিণতি পেতে শুরু করেছে।
একদিন অপর্ণা আমার বই গোছাতে এসেছিলো সকালে উঠে। আমিও সেই মুহূর্তেই স্নান করে তোয়ালে পরা অবস্থায় ঘরে ঢুকছি। অপর্ণা দেখি আমায় দেখতে পায়নি। ও কিছু একটা কাগজ হাতে নিয়ে পড়ছে। আমি সামনে এসে দেখি সর্বনাশ, এ আমার সেই কবিতা। কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় একদিন অপর্ণাকে লিখেছিলাম :
হেরিয়া বিশ্ব মিলে নাই আর,
কোমল নয়নে কামিনী সম্ভার।
অতঃপর যামিনী কেটেছে ক্রমে,
হারিয়া গিয়াছি গহনসম প্রেমে।
তারই বেণীর জটে হৃদয় বেঁধেছি,
সাজায়েছি মনেতে যূথিকার বন;
আলো করি যায় জুগনুর ন্যায়
মুখরিত মনের সবখানি কোণ।
তারই ছোঁয়ায় প্রস্তরবুকে
ঝরে পড়ে মুগ্ধা ঝর্ণা।
সে যে আমার প্রিয়তমা
নামটি তাহার অপর্ণা।
কাগজটা নিয়ে ও পালাতে যাবে আমার মুখোমুখি। ও বাঁদিক যাবে কি আমিও বাঁদিকে, ডানদিকে যায় তো আমিও ডানদিকে।
"যেতে দাও না বিভাস দা। ছাড়ো পথ ছাড়ো দেখি। "
"পাজি এই পাজি দে ওই কাগজটা দে। "
ও দেবে না আর আমিও নেব, এই করে খানিক দৌড়াদৌড়ির পর চৌকাঠে দুজনেই হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। অপর্ণার মুখের উপর এসে আমার মুখের ছায়া পড়তেই দেখলাম ওর মুখের রঙ বদলে গেলো।
আলতো করে আমায় সরিয়ে কাগজটা হাতে দিয়ে কিচ্ছু না বলে বেরিয়ে গেলো।
সেই থেকে আমাদের মধ্যে ভালোবাসার বাঁধন দৃঢ় হলো। মীরা মাসিও সবই বুঝতো। সব ঘটনা যে এমনিভাবে চাকরি পাওয়ার দুবছরের মধ্যে অন্যরূপ নেবে তা বুঝিনি।
আমি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি পেলাম আর ও স্কুলে চাকরি পেলো। আমাদের পরিবারে কথা হয়েই ছিলো দুবছর পর আমার আর অপর্ণার চারহাত এক করা হবে। সব ঠিকই চলছিলো।
আমার দুবছর কমপ্লিট হলো, জেঠুও এলো সিঙ্গাপুর থেকে। আত্মীয় কজনকে ডেকে একটু খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হলো। জেঠু যখনই আসতেন দুদিনের বেশী বাড়ি থাকতেন না। ঠাম্মা মারা যেতে শেষ ১৫ দিন থেকেছিলেন।
মীরা মাসি বেশ কিছুদিন ধরেই শুনছিলাম একটা কোথাও চলে যাওয়ার কথা বলছে। টাকা জমিয়ে, জমি কিনে... কবে একতলা বাড়ি তুলে ফেলেছে এসব আমাদের জানায়নি। হঠাৎ একদিন আমার বাবাকে বলে, "ওদের বিয়ের তো এখনও খানিক দেরী আছে, তো আমরা নতুন বাড়ীতে চলে যাবো। বিয়েটা ওখান থেকেই হবে। "
বাবা বললেন, "আমি আর কি বলবো, জমি কেনার কথাও শুনিনি, বাড়ি বানিয়ে এখন বলছো । যা ভালো বোঝো করো । "
অপর্ণা যাওয়ার দিন আমার দিকে একবারও তাকায়নি , শুধু চাপা কান্নায় চোখের জল ফেলছিলো। জেঠু দেখি মীরা মাসিকে কি বলে চলে এলো। ওরা বাগুইআটির নতুন বাড়িতে চলে গেলো।
বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিলো তিনমাস পর। এর মধ্যে এক সপ্তাহ পর হুঠ করে মীরা মাসি ফোন করলো বাবাকে। দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য যাই বলি আমি সেই মুহূর্তে পাশে বসেছিলাম ।
"দাদা বিভাসের সাথে অপর্ণার বিয়ে দিতে পারবো না। আমাদের সমাজের লোকেরা আমায় আর ওকে নিয়ে নানারকম বাজে কথা বলছে, হুমকি দিচ্ছে একঘরে করার। "
"কি? ফাজলামি করো না মীরা। এটা দুটো জীবনের প্রশ্ন। কোথায় ছিলো তোমার সমাজ যখন মেয়ে কোলে পথের পাশে পড়েছিলে? ঠুকরে খেত তো চিল শকুনে! "
"সে আমি আপনার কাছে বহু কৃতার্থ। কিন্তু অপর্ণার বিয়ে অন্যত্র ঠিক করে ফেলেছি। "
"হ্যালো মীরা শোনো হ্যালো..."
আমার বাবা শিবনাথ ঘোষ ভালোর ভালো, মন্দের মন্দ। সংস্কারমুক্ত আধুনিক এক মানুষ। আমার শুধু সন্দেহ হচ্ছিলো জেঠু এবারে এতদিন আছেন কী করতে?
বাবা প্রথমে মাকে নিয়ে বাগুইআটির ঠিকানায় গেলেন মীরা মাসিকে বোঝাতে। আমার কেন জানি না মনে হচ্ছিলো এটা একটা বড়ো গট আপ, সব প্রিপ্ল্যানড। মীরা মাসিকে সন্দেহমতোই বাগুইআটির ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। পুলিশে অনুসন্ধানের জন্য খবর দিলেন বাবা। ছবি ছিলো দুজনেরই। শেষ ফোন এসেছিলো যে নম্বর থেকে তা ট্র্যাক করতে লাগলো পুলিশ।
রাতে ফিরে সকলেই আপসেট হয়ে খেতে বসলাম কিন্তু জেঠু ছাড়া কেউ খাবার মুখে পর্যন্ত নিতে পারলাম না। জেঠু দিব্যি রুটি চিবোতে চিবোতে বললেন, " দেখ শিবু , ওই আপদ দুটো গেছে মঙ্গল হয়েছে। তোকে তো কিছু বলার ইচ্ছে হলেও বলতে পারি না কারণ বিভু তোর ছেলে। একটা বাপের পরিচয়হীন মেয়েকে এবাড়ীর বউ করার ইচ্ছে আমার ছিলো না।"
বাবা দেখলুম হু হ্যাঁ ইত্যাদি ছাড়া কোনো উত্তর দিলেন না।
আমিও আমার মতো করে আমার প্রিয়মানুষটির খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপর্ণার আর মীরা মাসির ছবি দিয়ে দিলাম। "এরা নিখোঁজ ও যোগাযোগ করুন এই নম্বরে" এই বলে বিজ্ঞপ্তি দিলাম।
অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় রইলো না। বলা বাহুল্য আচমকাই সেইদিনের ফোনের পর থেকে না অপর্ণা না মীরা মাসির ফোন লাগছিলো। চিন্তায়, কষ্টে ঘুম আসলো না একের পর এক রাত। অবশেষে ফোন এলো একদিন, খিদিরপুরে একটি গুপ্তকোঠায় অপর্ণাকে পাওয়া গেছে।
রুদ্ধশ্বাসে আমরা বেরিয়ে গেলাম। এইসময় দেখি জেঠু ঘুম থেকে সবে উঠে বেরিয়ে এলেন। আমাদের হুঠোপাটি করে বেরোতে দেখে বললেন, "ওই অকালকুষ্মণ্ডটার খোঁজে যাস না শিবু, বিপদে পড়বি। "
কোনো কথা না শুনেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম। রবীন্দ্রসদনের পর হঠাৎই একটা সুমো আমাদের ধাওয়া করে, কিছুদূর পরই গাড়িটা আমাদের গাড়িকে চাপতে আরম্ভ করলো। একজন বন্দুক বার করে দেখি হঠাৎ গাড়ির দিকে তাক করেছে। একবার চালালো। গুলিটা উল্টোকাচ দিয়ে বেরিয়ে গেলো। এবার আমায় বুদ্ধি খাটাতেই হলো। গাড়ির পেছনে একটা লম্বা শাবল ধরনের জিনিস রাখা ছিলো। কাচ নামিয়ে শপাটে গাড়ির গায়ে বেধড়ক পেটাতে পেটাতে গাড়ির চাকায় জোর তাক করলাম, পিছনের একটা চাকা ড্যামেজ করতে পেরেছি। মাথায় এসে গেলো সামনে একটা কাচের গ্লাস থাকার কথা বাবাকে বললাম ওটা রাস্তার উপর জোরে আছাড় মেরে ফেলো। ততক্ষণে গাড়ি কাত হয়ে গেছে। তবু আনতাবড়ি ওরা গুলি চালাচ্ছে। বাবা কথামতো নিজেকে বাঁচিয়ে গাড়ির সামনে রাস্তায় কাচ ভেঙ্গে ফেলে দিলো।
এতক্ষণে গাড়িটাকে পেরিয়ে অনেকদূর এসে গেছি। পুলিশের দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে আমি অবাক। এ কোথায় এলাম? দেখি অপর্ণার মতো আরও দশজন মেয়ে ছোট্ট ঘর থেকে বেরোচ্ছে।
পুলিশের সাথে তখন একজন গ্রেফতার লোক ছিলো। লালবাজারের ওসি নিজে কেসটা নিয়েছিলেন। বাবার সাথে অনেকদিনের আলাপ। উনিও এসেছিলেন স্থানে। জানালেন গ্রেফতার হওয়া লোকটি হলো বিসমিল্লা এই দশজনকে বাংলাদেশে পাচার করার ধান্দায় ছিলো। খিদিরপুর থানার ওসিও এক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করেছেন। বিসমিল্লা জানিয়েছে রাজারহাটে মীরা নামে একজনের থেকে ৫০০০০ টাকায় অপর্ণাকে খরিদ করে।
আমার চোখ ফেটে জল এসে গেছিলো। বুকে আগুন জ্বলছিলো মীরা নামের পিশাচের কথা ভেবে। তবে এখানে গল্পের কিছু এখনও বাকি ছিলো।
পুলিশ অপর্ণাকে ও বাকিদেরকে খিদিরপুর থানায় বসে প্রশ্ন করার জন্য নিয়ে গেলো। সব শুনে বিসমিল্লার অপরাধ সম্পর্কে কোনো সন্দেহই রইলো না। লালবাজারের ওসি নিজে সকলকে নিজস্থানে পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা করলেন, যাদের আত্মীয় নেই তাদের হোমে।
আমরা অপর্ণাকে নিয়ে ওনার গাড়িতে ফিরতে ফিরতে পুরো ঘটনা শুনি। অপর্ণারা আদতে রাজারহাটে একটা হোটেলে থাকতে শুরু করেছিলো। অপর্ণাকে মীরা বলে যে তার বিয়ে অন্যত্র ঠিক করেছে। বিভাসের সাথে বিয়ে হলে নাকি তার মাকে গলায় দড়ি দিতে হবে। মাকে যখন সে জানতে চায় যে হোটেলে থাকার টাকা কে দিচ্ছে জানতে পারে, মহেন্দ্রনাথ ঘোষ। কেন দিচ্ছে তার কারণ যেটা ও বললো তাতে আমার মুহূর্তে মনে হলো বিদ্যুতের শক পেলাম। গাড়ির মধ্যেই পা থাকা সত্ত্বেও মনে হলো যেন পা আমার শূন্যে দুলছে।
ও বললো, "মহেন্দ্রবাবুই আমার আসল বাবা। ২৫ বছর আগে উনি আমার মায়ের জীবন নষ্ট করেছিলেন। এখন হুমকি দিয়েছেন আমার জীবন নষ্ট করবেন যদি বিভাসের সাথে আমার বিয়ে হয়। বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজি হই। নিজেকে লজ্জায় ঘেন্নায় অনেক ছোটো মনে হচ্ছিলো। তখনও জানি না বিয়েটা ছিলো নাটক। আমায় এনে এইখানে বন্দী করে রাখা হয়। "
পুলিশ আমার বাড়ি এসে জেঠুকে অ্যারেস্ট করলো। এদিকে মীরাকে পাওয়া যায়নি রাজারহাটের হোটেলে। রুম সার্চ করে একটি চিঠি পায় রাজারহাট থানার পুলিশ।
এদিকে বাবুঘাটে একটা লাশ মেলে। আমরা খবর পেয়ে গিয়ে দেখি মীরা মাসি। ওদিকে চিঠিটা হাতে এসে পড়লে বুঝি ওটা সুইসাইড নোট।
" আমার আসল নাম সামাইরা বেগম, কালীঘাটের যৌনকর্মী ছিলাম। মহেন্দ্রবাবু প্রায়ই আসতেন আমার কাছে যৌবন বয়সে। হঠাৎ যেদিন বুঝতে পারি আমি সন্তানসম্ভবা এবং তা জানাই ওনাকে উনি আমায় টাকা দিয়ে শান্ত করেন। এদিকে সন্তান নিয়ে পতিতাপাড়ায় আমার স্থান হয় না। একটা হোমে আমার সন্তান হয়। সেখান থেকে বেরোনোর পথে পথে ঘুরে শিবনাথ বাবুর চোখে পড়ি কিছুবছর পর। মিথ্যে বলবো না আমি আমার অতীত পুরো ভুলেই গিয়েছিলাম। বিভাস বারেবারেই বলতো ওর জেঠু এসে, চলে গেছে। দুদিনের জন্য এসেছিলেন যখন তখন প্রথম ওনাকে দেখি আর দেখেই চিনতে পারি। উনি তখন নিজেকে জড়াতে চাননি বলেই বোধহয় কিছু বলেননি। একবার ১৫ দিনের জন্য আসেন আর ততদিনে বিভাস আর অপর্ণার মধ্যে প্রেমসম্পর্ক তৈরী হয়েছে। আমিও মেনে নিয়েছি দেখে উনি রাগে ফেটে পড়লেন। বারেবারেই ফোন করে হুমকি দিতেন। এবারে এসে প্রথম বললেন যে টাকা নাও, বাড়ি ছাড়ো। নইলে তিনি অপর্ণার ক্ষতি করবেন। আমি প্রথমে আমল না দিলেও উনি অপর্ণার কিছু ভিডিও দেখান যেটা ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি দেন। তিনি সম্ভবত গোপনে ক্যামেরা রেখে ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল করতে চেয়েছিলেন। নিজের মেয়েকে সত্যই আমি বাঁচাতে চেয়েছিলাম। তাই ভুল ঠিকানা দিয়ে আমি রাজারহাটের হোটেলে চলে আসি। সেইখানে একদিন বিসমিল্লাকে এনে অপর্ণার সাথে জোর করে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি করান। তখন যদি জানতাম... যখন খবরে শুনলাম সবটা তখন আত্মহত্যা ছাড়া উপায় ছিলো না। আপনাদের গাড়ির পিছনে একটা ট্যাক্সিতে অপর্ণাকে শেষ দেখা দেখে ... "
পুলিশ তখন যদি ৬৫ বছরের আমার জেঠুকে থার্ড ডিগ্রী দিতো বেশী ভালো লাগতো। বিচারে ফাঁসির জন্য আমরা কোর্টকে আবেদন করলাম। হিউম্যান রাইটসকে বিষয়টা বোঝালাম। তারা কিন্তু ফাঁসিতে নারাজ। যাইহোক আজীবন ননবেলেবল কারাদন্ড হলো মহেন্দ্রনাথের।
সেই রাতে অপর্ণার পাশেই বসেছিলাম। মাঝেমধ্যেই ঘুমের মধ্যে কোঁকিয়ে কেঁদে উঠছিলো। আমি ওকে জড়িয়ে বুকের গরম দিলাম। "কাঁদিস না মিষ্টি মেয়ে, আমি তো আছি।"