অবলা যা বললো
অবলা যা বললো
অফিস-ফেরত রাস্তায় পাড়ার নেড়িগুলোকে রোজ বিস্কুট খাওয়ায় সীমা, অভ্যেস। সন্ধ্যাবেলা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একলা হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে একবার তার ব্যাগ ছিনতাই হয়েছিল। এই নেড়িগুলোর দৌলতেই তৎক্ষণাৎ সেটা ফেরত পেয়ে গিয়েছিল সীমা। বেচারা ছিনতাইবাজ...
লকডাউনে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম চলছিল সীমার। আজ অনেকদিন পর বিশেষ প্রয়োজনে অফিসে যেতে হয়েছিল তাকে। যথারীতি অফিস-ফেরত বিস্কুট কিনতে গিয়ে আজই ওর মাথায় এলো - লকডাউনে লোকজন তো কেউই বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছে না, নেড়িগুলো তাহলে খাবার পাচ্ছে কোথায়?
আজ সন্ধ্যায় আবার, একা অফিস-ফেরত তার রাস্তায় এসে উদয় হলো সেই ছিনতাইবাজটার - পরনে আধময়লা ঢোলা-প্যান্ট, মুখ-ভর্তি দাড়ি, উস্কোখুস্কো চুল, খালি-গায়ের হাড় ক'খানাও গোনা যায় তার! সীমা থেমে যেতেই দৌড়ে সেখানে এসে হাজির হলো একটা নেড়ি।
সীমা বিস্কুটের প্যাকেটটা তার দিকে বাড়িয়ে দিলেও, নেড়িটা চুপচাপ দাঁড়িয়েই রইলো। এমন সময়, পুরানো স্মৃতি মনে পড়তেই হয়তো, তার রাস্তা ছেড়ে সরে দাঁড়ালো ছেলেটা। বিস্কুটের প্যাকেটটা অগত্যা তাকেই ধরিয়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করলো সীমা। লেজ নাড়তে নাড়তে বাকি রাস্তাটুকু তাকে এগিয়ে দিয়ে গেল নেড়িটা।