আমার জীবন
আমার জীবন
আমার জীবন
ওমর ফারুক
আমার জীবন রহস্যের ছানি ;
রুপ কথার গল্পে ভরা !
এক বাবা দু'মাতা ; নিজ মা মৃত !
সেই মায়ের দুই ছেলে -তিন মেয়ে ,
আমিই সেজো ।
জন্মের পর বাকপ্রতিবন্ধী ;
গাত্রে বিশ্রি ভরা !
দেখিলে গিন্না লাগিত মোরে ,
র্সদি কাশিতে রোগা ।
ওঝা, বৌদ্ধ ,ডাক্তার ,কবিরাজ ,
দিন রাত করিয়াছে পার ,
শুধু আমার জন্য ।
বড় বোনের নাকের নদ হারাইয়া ,
কাঁদিতে লাগিতেছে গাছ তলায় বসিয়া !
সেই কান্নার ভাগ লইয়া ,
আমি উঠিলাম কাঁদিয়া ।
সংসারের কত অভার ,
অন্যের কাজ তাহার স্বভাব ।
কিছু পাইলে নিজে না খাইয়া ,
আমাদের দিতো খাবাইয়া ।
বাবার হাতের মার খাইয়া ,
আমাদের জড়াইয়া ধরে
,-উঠিত কাদিয়া ।
ছিন্ন কাপড় পরিয়া থাকিতো ,
মুখ বুঝে সব সর্হ্য করিতো ।
নানার বাড়ীত যাইয়া ,
খালাতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করিযা ,
পথ গেলাম হারাইয়া ।
সবাই খুঁজিতেছে ,
বড় বোন খুঁজে পাইছে ।
বাড়ির পাশে মামার বাড়ি ,
নিয়ে গেল মা ।
মামতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে ,
আমি কি আর সেথায় থাকি ।
আমি একমত হতাম না -বোনের সাথে ,
বোন এক মত হতো না - আমার সাথে ।
এই যেন ইসরায়েল ফিলিস্তিন এর দন্দ ।
লুকোচুরি হৈ চৈ দুষ্টামি ভরা ,
ইহা এক রঙিন জীবন ,
রুপ কথার গল্পে ভরা ।
2002 সাল মে কিংবা জুন ,
কে যেন বলিলো তোর দেবর খুন ।
সেখানে গিয়া মাথায় ঘুরিয়া -রইলো পড়িয়া ।
শুনতে পাইয়া গেলাম ছুঁটিয়া ,
দেখিলাম তারে মাটিতে শুয়ে আছে ,
মহিলাদের কান্নার শোর গোল বাডিয়াছে ।
পিতাকে খুঁজিতেছি কিছুক্ষন পর খুঁজে পাইছি ,
সবাই মিলে নিয়ে গেল -ফেণী সদর হাসপাতালে ।
দুপুর দুইটা অচিন পুরের খবর আসে ,
মামারা মামলা করে অনেকের নামে ,
পোস্ট মর্ডান ছাড়া -ডাক্তার লাশ নাহি দেয় ।
সেই কি বিশ্রি মাতার শরীর ,
ভয়ানক দানবের থাবা ।
আকাশ বাতাস কান্নায় ভারি ,
আত্মীয়দের আহাজারি ।
রাতে দিনে আসে পুলিশ ,
যখন তখন দেয় হানা ।
যে হারায় সেই বুঝে বিরহের কি যন্ত্রণা ।
বছর খানিক মামলা চলে ,
সাক্ষীর খুবই অভার ।
আসামিরা নির্দোষ প্রমানিত হলে ,
যত দোষ মোদের বলে ।
দুই বছর পর বাবা -আবার বিয়ে করে ,
তত দিনে বড় বোন সংসারের হাল ধরে ,
এই বার-ছুটি তার -
নতুন মা দাবি ধার ।
যে হারায় সেই বুঝে বিরহের কি যন্ত্রণা ।
অল্পতে কান তোলে ,
বাবার কাছে নালিশ করে ।
নিজেকে ভাবে মহারাণী ভিক্টোরিয়া ,
খাইতে মানা ,চাইতে মানা ,
কিছু বলিলে 144 ধারা জারি ।
জীবনটাকে মনে হয় -
জেল খানার কয়দী ।
যে হারায় সেই বুঝে -
বিরহের কি যন্ত্রণা ।
পিতা কোন কিছু না বুঝে ,
সৎ মায়ের কথা ধরে ,
পুরুষ কেন এতো ভীতু !
কোথায় তার স্বাধীনতা ।
আমি ভীতু নয় স্পষ্ট প্রতিবাদী ,
যে দিন পিতা বিনা দোষে শাসন করে ,
সেই দিন হয়ে উঠি বিদ্রোহী ।
চোখ মুছে মুখ বন্ধ করে ভাইদের শুনায়-
গুণীজনদের বাণী ,
সুযোগ বুঝে জামা কাপড় নিয়ে -
হয়ে গেলাম ফেরারী ।
আমার জীবন রহস্যের ছাঁনি ;
রুপ কথার গল্পে ভরা !