Omar Faruk

Romance Drama Horror Crime

4.0  

Omar Faruk

Romance Drama Horror Crime

আমার জীবন

আমার জীবন

2 mins
303


 আমার জীবন

ওমর ফারুক

 আমার জীবন রহস্যের ছানি ; 

রুপ কথার গল্পে ভরা ! 

এক বাবা দু'মাতা ;  নিজ মা মৃত !

  সেই মায়ের দুই ছেলে -তিন মেয়ে ,  

 আমিই সেজো ।

 জন্মের পর বাকপ্রতিবন্ধী ; 

গাত্রে বিশ্রি ভরা ! 

দেখিলে গিন্না লাগিত মোরে ,

  র্সদি কাশিতে রোগা ।

  ওঝা, বৌদ্ধ ,ডাক্তার ,কবিরাজ ,

  দিন রাত করিয়াছে পার ,

 শুধু আমার জন্য ।

 বড় বোনের নাকের নদ হারাইয়া  ,

কাঁদিতে লাগিতেছে গাছ তলায় বসিয়া ! 

সেই কান্নার ভাগ লইয়া , 

আমি উঠিলাম কাঁদিয়া ।

 সংসারের কত অভার ,

 অন্যের কাজ তাহার স্বভাব ।

 কিছু পাইলে নিজে না খাইয়া ,

 আমাদের দিতো খাবাইয়া ।

 বাবার হাতের মার খাইয়া , 

আমাদের জড়াইয়া ধরে

,-উঠিত কাদিয়া ।

 ছিন্ন কাপড় পরিয়া থাকিতো ,

 মুখ বুঝে সব সর্হ্য করিতো ।

 নানার বাড়ীত যাইয়া ,

 খালাতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করিযা ,

 পথ গেলাম হারাইয়া ।

 সবাই খুঁজিতেছে , 

বড় বোন খুঁজে পাইছে ।

 বাড়ির পাশে মামার বাড়ি , 

নিয়ে গেল মা ।

 মামতো ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে , 

আমি কি আর সেথায় থাকি ।

 আমি একমত হতাম না -বোনের সাথে ,

 বোন এক মত হতো না - আমার সাথে ।

 এই যেন ইসরায়েল  ফিলিস্তিন   এর দন্দ ।

 লুকোচুরি হৈ চৈ দুষ্টামি ভরা , 

ইহা এক রঙিন জীবন , 

রুপ কথার গল্পে ভরা ।

 2002 সাল মে কিংবা জুন ,

 কে যেন বলিলো তোর দেবর খুন । 

সেখানে গিয়া মাথায় ঘুরিয়া -রইলো পড়িয়া ।

 শুনতে পাইয়া গেলাম ছুঁটিয়া ,

 দেখিলাম তারে মাটিতে শুয়ে আছে ,

 মহিলাদের কান্নার শোর গোল বাডিয়াছে  । 

 পিতাকে খুঁজিতেছি  কিছুক্ষন পর খুঁজে পাইছি ,  

 সবাই মিলে নিয়ে গেল -ফেণী সদর হাসপাতালে ।

 দুপুর দুইটা অচিন পুরের খবর আসে ,

 মামারা মামলা করে অনেকের নামে ,

 পোস্ট মর্ডান ছাড়া -ডাক্তার লাশ নাহি দেয় ।

সেই কি বিশ্রি মাতার শরীর ,

ভয়ানক দানবের থাবা ।

আকাশ বাতাস কান্নায় ভারি ,

আত্মীয়দের আহাজারি ।

রাতে দিনে আসে পুলিশ , 

যখন তখন দেয় হানা । 

যে হারায় সেই বুঝে  বিরহের কি যন্ত্রণা ।

 বছর খানিক মামলা চলে , 

সাক্ষীর খুবই অভার । 

আসামিরা নির্দোষ প্রমানিত হলে ,

 যত দোষ মোদের বলে ।

 দুই বছর পর বাবা -আবার বিয়ে করে ,

 তত দিনে বড় বোন সংসারের হাল ধরে ,

 এই বার-ছুটি তার -

 নতুন মা দাবি ধার ।

  যে হারায় সেই বুঝে  বিরহের কি যন্ত্রণা ।

অল্পতে কান তোলে , 

বাবার কাছে নালিশ করে ।

নিজেকে ভাবে মহারাণী ভিক্টোরিয়া ,

খাইতে মানা ,চাইতে মানা ,

কিছু বলিলে 144 ধারা জারি ।

জীবনটাকে মনে হয় - 

জেল খানার কয়দী ।

যে হারায় সেই বুঝে -

 বিরহের কি যন্ত্রণা ।

পিতা কোন কিছু না বুঝে ,

সৎ মায়ের কথা ধরে ,

পুরুষ কেন এতো ভীতু ! 

কোথায় তার স্বাধীনতা ।

 আমি ভীতু নয় স্পষ্ট প্রতিবাদী , 

যে দিন পিতা বিনা দোষে শাসন করে ,

 সেই দিন হয়ে উঠি বিদ্রোহী ।

 চোখ মুছে মুখ বন্ধ করে ভাইদের শুনায়-

 গুণীজনদের বাণী , 

সুযোগ বুঝে জামা কাপড় নিয়ে -

হয়ে গেলাম ফেরারী ।

 আমার জীবন রহস্যের ছাঁনি ; 

রুপ কথার গল্পে ভরা ! 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance