Atrayee Sarkar

Romance Others

3  

Atrayee Sarkar

Romance Others

আমার অলৌকিক জীবন

আমার অলৌকিক জীবন

9 mins
295


কিছুদিন ধরে আমার ভালো ঘুম হচ্ছিল না । হঠাত্ একদিন স্বপ্নে দেখি কেউ বলতে চাইছে আমার জীবনে অলৌকিক কিছু ঘটবে । ঘুম থেকে উঠে ভাবি এতো কাজের চাপ যে উল্টো পাল্টা স্বপ্ন দেখছি, বিরক্তিকর ।

মাকে বললাম - "ও মা তাড়াতাড়ি করো, আজ একটু আগে যেতে হবে ।" সবকিছু নিয়ে অফিসে পৌছে স্যারের কাছে গিয়ে বললাম- " বলুন স্যার কি দরকারি কথা, আমি সময়ের আগেই চলে এসেছি।"

স্যার- " এই কাজটা তোমায় এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে ।"

--" সেকি, এ কাজটা করতে অন্তত দুই মাস লাগবে আমার ।"

স্যার--" দেখো অতো আমি জানিনা, এক মাসের মধ্যে আমার এটা প্রচন্ড দরকার ।"

 কি বলবো আমি, মাথার ওপর যেন বজ্রপাত ঘটল ।

এক সপ্তাহ ধরে, অফিসে, বাড়িতে কাজ করতে করতে আমার শরীরটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল । মা তখন বলে উঠলো - " কিরে এবার তো নিজের সর্বনাশ ডাকবি ।"

-" আর বোলোনা মা, যে কাজটা করতে অন্তত দুই মাস লাগবে ওটা আমায় এক মাসের মধ্যে করতেই হবে। ইয়ার্কি আর কি ।"

--" তা তুই তো আর নতুন নস। অন্য কোন কাজের চেষ্টা কর।"

এপ্লাই তো করছিলাম, কিন্তু পাচ্ছিলামনা ।

একদিন রবিবার মনে হলো আমার প্রিয় বন্ধু সৈমিতার কাছে গিয়ে মনের সব কথা খুলে বলি । তো যেতেই ও বলতে থাকল - " আজ তো মনে হচ্ছে আমার খুব প্রিয় দিন ।"

--" কি সব বলছিস । বিয়ে, সংসার করে তোর মাথাটাই গেছে ।"

-" আগে ঘরে ঢোক, তারপর বুঝবি মাথা গেছে না সত্যিই প্রিয়দিন ।"

ঘরে ঢুকে দেখি একজন অন্যলোক বসে আছে ।

সৈমিতা তখন বলল উনি ওর বর হৃদ্ধিমাণের বন্ধু অনির্বাণ সাহা।

-"চল আয় আলাপ করিয়েদি ।

-" অনির্বাণ ও হচ্ছে আমার খুব প্রিয় বন্ধু অনুরাধা সেন। আমাদের বন্ধু নয়, বোন মনে হয়।"

তারপর দেখি সৈমিতা কোথায় বেরোচ্ছে ।

বললাম-" সই দাড়ানা, আমি এলেই খাবার কিনতে চলে যাবি ।"

-" এই তুমি থামতো ।" এই বলে সৈমিতা বেরিয়ে গেল ।

মনের কথা বলব কি, আমি চুপ করে বসে আছি। হৃদ্ধিমাণের বন্ধু অনির্বাণ হঠাত্ আমায় জিজ্ঞেস করলেন "আপনি কি করেন?"

-" চাকরি ছাড়া এ জগতে আর কি আছে ? আমি তাই ই করি।"

--" চাকরি করলে তো মানুষ খুসি থাকে । আপনাকে দেখে তো মনে হচ্ছে চাকরি হারিয়েছেন।"

--" হারিয়ে গেলেই ভালো হতো । অন্তত শান্তিতে থাকতাম।"

তারপরদেখি সৈমিতা এসেছে । বললাম--" সই একটু শোন না, কথা আছে ।"

-- " কি কথা বল না।"

সবার সামনে কথাটা বলতে ইচ্ছে করছিল না । শেষে বলেই দিলাম ।

সব শুনে সৈমিতা বলে উঠলো - " এরকম অফিসে চাকরি করছিস কেন? এসব শুনে তো আমারই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে ।"

অনির্বাণও বলে উঠলেন-" হ্যাঁ, সত্যিই তো, এরকম অফিসে চাকরি করার কোন মানে হয় না । ওর কাজটাই আগে, মানুষটা মরলে মরুক ।"

ওদিকে হৃদ্ধিমাণ বলতে থাকল -" আরে চাকরি করতে গেলে এসব একটু সহ্য করতেই হয়।"

সৈমিতা বলল-" এই তুমি থামতো । সবসময় খারাপ টাকে প্রশ্রয়ে দেবে ।"

সবার কথায় মনে একটু জোর পেলাম । তারপর চেষ্টা করতে করতে আমি একটা চাকরি পেলাম । আয়ও বারলো। আমি, মা, বাবা.......সবাই খুসি ।

এক সপ্তাহ কাজ করতে করতে দেখি..... হৃদ্ধিমাণের বন্ধু অনির্বাণও এই অফিসেই কাজ করেন । একদিন হঠাত্ই দেখা হতে বললেন-" নতুন চাকরি তাহলে পেয়েছেন। Congrats."

জিজ্ঞেস করলাম-" আপনি এখানে অনেক বছর কাজ করেন?"

-"হ্যাঁ । তবে এর আগে অন্য অফিসে করতাম, তারপর এখানে এলাম। কিন্তু ওরকম অত্যাচারের জন্য নয়।" তারপর উনি কাজ আছে বলে চলে গেলেন।

 একদিন হঠাত্ই অনির্বাণকে আমাদের পাসের ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে বেরোতে দেখে তো আমি অবাক । উনি আমাকে দেখে বললেন-" আপনি এখানে থাকেন?"

বললাম- " হ্যা, আমরা এখানে 4 বছর ধরে আছি। কিন্তু...... আপনি.................... এখানে... কবে এলেন?

- " আমি এখানে ফ্ল্যাট কিনেছি । তবে... আপনার এরম অবাক লাগছে কেন বুঝলাম না।"

--" না না........অবাক.... লাগবে কেন । আমি ভাবছিলাম আপনি বোধহয়... আপনার কোন আপনজনের সাথে দেখা করতে এসেছেন ।"

--" আপনজন এখন খুব কমই পাওয়া যায় ।"

 তখন বর্ষাকাল পরেছিল । বৃষ্টি হলে কি হবে, অফিসে আসতেই হবে। একদিন এতো জোর বৃষ্টি নামল যে বেরোলেই ভিজে যাবো । উবের বুক করে বাড়ি ফিরব ভাবলাম । বুক করতে গিয়ে দেখি 500 টাকা চাইছে, যেখানে বাসে করে ফিরতে আমার 20 টাকা লাগবে ।

ওমা, দেখি অনির্বাণই উবের বুক করে আমায় ডাকছেন

-" দেখুন এইভাবে দাড়িয়ে থাকা যায় না, রাত হয়ে যাবে, চলে আসুন ।"

 একটু জোর গলায় বলছিলেন, কিন্তু কথাটা সত্যিই, দাড়িয়ে থাকা আর যায় না, তাই উঠে পড়লাম। নামার আগে বললাম-" কিছু টাকা আমি দিয়ে দেব নইলে আমার খারাপ লাগবে ।" কথাটার কোন উত্তর দেওয়ারই প্রয়োজন মনে করলেন না । নামার পর পুরো টাকা দিয়ে দিলেন । দাড়িয়ে থাকা তো আর যায় না । মাকে গিয়ে সব বললাম ।

---" দেখ মুখের ওপর তো টাকা ফেরত দেওয়া যায় না, তোদের অফিসে তো ভালো canteen আছে , একদিন ভালো কিছু খাইয়ে দিস।"

--" কি সব বলছ মা, আমি ওনাকে ডেকে বলব শুনুন আমি আপনাকে কিছু খাওয়াতে চাই ।"

--" তোকে না এখনো শিখিয়ে দিতে হয় । ওর সাথে বন্ধুত্ব করেনে। নাকি তাও পারবি না?

 মনে হলো সত্যি কথা, যে মানুষটা এতো ভালো তার সাথে বন্ধুত্ব করলে আমারই ভালো, আর দরকার পরলে আমিও ওনাকে সাহায্য করব। তারপর ধীরে ধীরে কথা বলতে বলতে আমরা সত্যিই বন্ধু হয়ে গেলাম ।

অনির্বাণ একদিন বলে উঠলো--" আমরা বন্ধু তো হয়েছি তবে মনে হচ্ছে আগের যুগে রয়েছি।"

---" মানে?"

---" মানে আর কি... আগেকার দিনে মেয়েরা পুরুষদের আপনি বলে ডাকত।"

শুনে হেসেই ফেলেছিলাম । বললাম --" আচ্ছা তুমি বলেই ডাকব।"

তুমি বলতে মুখটা একটু আটকাচ্ছিল, তারপর অভ্যাস হয়ে গেল ।

 18 ডিসেম্বর, আমার জন্মদিন । আমি.... সৈমিতা, হৃদ্ধিমাণ, অনির্বাণ সবাইকে ডেকেছি । কেক কেটে মজা করছিলাম । অনির্বাণ হঠাত্ বলে উঠলো--"আজ আমরা একটু বরোতে পারিনা অনুরাধা?"

---" আজ কি করে বেরোব? মা, বাবার তো একা লাগবে।"

সৈমিতা বলে উঠলো--" আরে চলনা, aunty, uncle কে আমি নিয়ে যাচ্ছি। আজই তো আনন্দ করার দিন।"

দেখি অনির্বাণ Mainland China restaurant এ নিয়ে এনেছে ।

বললাম--"এতো দামি restaurant এ আনার কি দরকার ছিল।"

-- " চলো না ।"

সৈমিতা দেখি মা, বাবা কে নিয়ে একটু দুরে বসেছে ।

অনির্বাণ veg chowmin অর্ডার দিতে যাচ্ছিল।

বললাম-- " কি করছ? তুমি তো veg খাওইনা ।"

আমি chiken chowmin আর chilichiken অর্ডার দিলাম। অনির্বাণ cold drinks খেতে খুবই ভালোবাসে। দেখি ও cold drinks অর্ডার দিচ্ছে।

--- " একি... তুমি এই ঠান্ডার সময়ও cold drinks খাবে?

---" একটু খাই না, প্রচণ্ড প্রিয় আমার।

---" না। শীতকালে cold drinks খেলে তোমার কি অবস্থা হবে ভেবে দেখেছ? coffee খাব ।

-- " আজকের জন্য খাই।"

--" তুমি না আমায় রাগীয়ে দিচ্ছ জান। তুমি আমার কথার উর্ধে যেতে পারোনা ।"

--" একটা কথা জিজ্ঞেস করব তোমায় "

--" কি?"

--" আমি তোমার কথার উর্ধে কেন যেতে পারবো না? একটু বলবে ।"

 আমি তখন কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না ।

--" আমি তোমার বন্ধু হই।"

---" এটা বলতে এতো সময় লাগল।"

---" তুমি থামতো চলো খেয়ে নি ।"

খাওয়ার পর অনির্বাণ বলল- " অনুরাধা তুমি আমায় বিশ্বাস করতো?"

--" এসব কি বলছো? আমি তোমায় বিশ্বাস করব না?"

--- " তাহলে....... চোখটা বন্ধ করে..... তুমি তোমার হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে? তাহলে আমি বুঝব সত্যিই তুমি বিশ্বাস করো। টিপ টিপ করলে বুঝব কম করো "

আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। কি বলবো, সত্যিই চোখ বন্ধ করে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম । মনে হচ্ছিল অনির্বাণ আমার আঙুলে কিছু পরাচ্ছে । চোখ খুলে দেখি ও আমার আঙুলে হিরের আংটি পরিয়ে দিয়েছে ।

আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না তখন । লজ্জা লাগছিল কেমন ।

বলল--" তুমি কথাটা না বললেও, আমি কিন্তু শুনতে পেয়েছি ।"

লজ্জা লাগলেও আমার মুখে হাসি ফুটে উঠছিল । তারপর আমি উঠতে যাচ্ছিলাম ।

--" কোথায় যাচ্ছ?... তুমি আমার সাথী।........শুধু তোমার হাতটা............ আমার হাতের ওপর রাখতে পারবে ?"

আমার এতো লজ্জা লাগছিল বলার বাইরে কিন্তু আমার মুখে হাসি ফুটে উঠছিল । সত্যি সত্যিই ওর হাতের....... ওপর হাত রেখে.............. আমি চলে যাচ্ছিলাম ।

বলল-- " দাঁড়াও.......আমি বাড়ি পৌছে দিচ্ছি। আমি জানি তুমি কি ভাবছো ।"

আমার সত্যিই খুব আনন্দ লাগছিল । আমি ওকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম, কিন্তু বলিনি ।

 কিছুদিন অনির্বাণকে অফিসে না আসতে দেখে, আমার মনে হয়েছিল, ওর বোধহয় শরীর ভালো নেই । অনির্বাণ ফোনও ধরছিলনা। আমি তখন ওর বাড়িতে যাই , গিয়ে দেখি ওর পুরো পরিবার বাড়িতে নেই । আমার তো প্রচণ্ড অবাক লাগছিল । অনির্বাণ ফোনও ধরছিল না । আমার আর তখন কিছুই ভালো লাগছিল না । পরের দিন দেখি অনির্বাণ অফিসে join করেছে, কিন্তু ওকে প্রচণ্ড আপসেট লাগছিল। বললাম - " তুমি এতদিন কোথায় ছিলে? ফোনও তোলোনি। আমার কিরম লাগে বলতো। আমি শান্তিতেই থাকতে পারছিলাম না।"

দেখি অনির্বাণ কোন উত্তরই দিচ্ছে না । যতবার কাছে যাচ্ছি ততবার ও দূরে চলে যাচ্ছিল । দেখেও না দেখার ভান করছে।

--" কি হয়েছে তোমার? এরম করছো কেন? অফিসে কিছু হয়েছে?"

বলল --" না ।"

--" তাহলে আমায় খারাপ লেগেছে?"

--" তোমায় আর কে খারাপ বলবে ।"

--" তাহলে এরম আপসেট হয়ে আছো কেন?"

অনেকক্ষণ ধরে জিজ্ঞেস করার পর বলল-" আমি তোমায় ঠকিয়েছি।"

 কথাটা শুনে যেন আমি আকাশ থেকে পারছিলাম। কি বলছে ও? ও আমায় ঠকিয়েছে। আমি স্বপ্ন দেখছি না বাস্তবে আছি বুঝতে পারছিলাম না। শুনে আমার চোখ পুরো ছলছল করছিল। অনেক কষ্টে বললাম--" বলেই দিয়েছ যখন, বলে দাও আমার মনটা নিয়ে কিভাবে খেলেছ। কিভাবে আমার হৃদয় টাকে আঘাত দিয়েছ শুনি ।"

--" আমি তোমায় বলিনি.......... যে...... আমি আমার মা বাবার দত্তক সন্তান।"

শুনে আমার চোখ দিয়ে হরহর করে জল পরছিল--"এই তুমি ঠকিয়েছ?......... তোমার ওই কথাটা শুনে আমার হৃদয়টা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিল।"

আমার যেন কান্নার তখন শেষ ছিল না ।

বললাম-- " আমায় একটা কথা বলোতো,..... ভালোবাসা কি রূপে, গুনে, পরিচয়ের মধ্যে থাকে না... হৃদয়ের মধ্যে থাকে ? তোমার কি মনে হয়?"

অনির্বাণেরও চোখ দিয়ে জল পরছিল । বলল--"অনুরাধা তুমি আমার হৃদয়, কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না এটা শুনে তোমার কিরম লাগবে ।"

--" তোমার কি মনে হয়?....... তুমি আমার হৃদয় ছাড়া অন্যকিছু । একথা তুমি ভাবলে কি করে?"

--" অনুরাধা তুমি কেঁদোনা। তুমি কাঁদলে আমার যন্ত্রণার শেষ থাকেনা। তুমি তো মানলে, কিন্তু তোমার মা, বাবা মানবে?"

--" তোমার কি মনে হয়, আমি আমার মা বাবাকে চিনিনা? আমার মা, বাবা এরম ভাবতেও পারে না । চলো, আজই বলব । "

ঘরে গিয়ে দেখি দরজা খোলা । অনির্বাণের মা আমার বাবাকে বলছে--- অজয়বাবু, আমাদের একটা কথা বলার ছিল। আমাদের সন্তান খুবই ভালো মানুষ । ও কাউকে আঘাত দিতেও পারেনা। কিন্তু..... আমরা ওকে Mother Teresa'র আশ্রম থেকে নিয়ে এনেছিলাম।     তারপর দেখি আমার বাবা.......মাকে বলছে-- " চলো মধুরিমা তাহলে এবার আমরাও মুখ খুলি। সেদিন আমরা হাওড়া station এ আমাদের train এর জন্য দাড়িয়ে ছিলাম। একজন মহিলা আমার স্ত্রী এর পাশেই বসেছিল, হঠাত্ই বলল - "আমার মেয়েটাকে একটু ধরুন দিদি, আমি এক্ষুণি আসছি।" কিন্তু সেই যে বলে চলে গেছিল আর ফিরেও এল না ।খুঁজেও পেলাম না। ও তখন ছোট্ট বাচ্ছা আর আমদের সন্তানও ছিল না । এরম মিষ্টি বাচ্ছা দেখে মনে হয়েছিল ভগবান আমাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমরা ওকে তাই নিয়ে চলে এলাম বাড়িতে। সেই থেকেই ও আমাদের মেয়ে।"

  কথাটা শুনে যেন হাত, পা কাঁপছিল। সবকিছু মিথ্যে লাগছিল। আমার চোখ দিয়ে কুলকুল করে জল পরছিল। আমি যেন senseless হয়ে যাচ্ছিলাম। অনির্বাণ তখন জোর গলায় বলে ওঠে--" তুমি এখন ভাবছো ওনারা তোমার কেউ নয় । তুমি পর । যে জন্ম দিয়েছে তারাই সব আর যারা বরো করল তারা কেউ নয় ?"

অনির্বাণের কথাটা সত্যিই লাগছিল । সত্যি আমারই মা, বাবা । কাঁদতে কাঁদতে অনির্বাণকে আমি জরিয়েই ধরে ফেলেছিলাম। এরপর আমরা আলাদা থাকতে পারছিলাম না । আমাদের বিয়ে হয়ে গেল । এই আমার অলৌকিক জীবন ।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance