Unveiling the Enchanting Journey of a 14-Year-Old & Discover Life's Secrets Through 'My Slice of Life'. Grab it NOW!!
Unveiling the Enchanting Journey of a 14-Year-Old & Discover Life's Secrets Through 'My Slice of Life'. Grab it NOW!!

Srijon Moitra

Abstract

4  

Srijon Moitra

Abstract

আ ট্রিবিউট টু সত্ত্যজিত

আ ট্রিবিউট টু সত্ত্যজিত

3 mins
186


গতকাল ছিল সত্যজিৎ রায় এর জন্মদিন উনি হলেন আমাদের বাঙ্গালীদের গর্ভ তাই আজকে উনাকে আমার তরফ থেকে একটি ছোট্ট উপহার মহারাজা তোমারে সেলাম।

তখন বাজে ঠিক সকাল দশটা হট করে দেখি আমার বাড়ির দরজার কলিং বেলটা বেজে উঠলো

দরজাটা খুলে দেখি ওমা এত ফেলুদা তিনি আমার বাড়িতে উপস্থিত আর উনি এসেই বলেন বেড়াতে যাবেন আমাদের সাথে "সোনার কেল্লা" দেখতে।


আমি বললাম শুনে চলুন ঘুরে আসি কিন্তু তার আগে আমাদের প্রতিবেশী ঘোষাল তাদের বাড়িতে যেতে হবে কারণ তাদের বাড়িতে একটি সোনার গণেশ অথবা বলতে পারেন এলিফ্যান্ট গড আছে এটাকে দেখে গেলে নাকি আমাদের যাত্রা শুভ হয়।

যদি এলিফ্যান্ট গড নামটা আপনাদের পরিচিত না মনে হয় তাহলে বলে দেই এটাই হচ্ছে "জয় বাবা ফেলুনাথ"এর ইনাম।

ওনাদের বাড়িতে গিয়ে শুনি গণেশের মূর্তি টা নাকি চুরি হয়ে গেছে কিন্তু কোথায় চলে গেছে সেটাই শুনে অবাক লাগলো ওটা নাকি গোসাইপুর এক জমিদারের বাড়িতে চোর চুরি করে নিয়ে চলে গেছে এবার আরকি ফেলুদাকে এবার "গোসাইপুর সরগরম" ঝামেলাটি মেটাতে হবে আর গনেশ টা আমাদের মক্কেল মিস্টার ঘোষালকে ফেরত দিতে হবে ।

তারপর ঝামেলাটি মিটিয়ে আমরা বাড়িতে এসে দেখি আমাদের সুটকেস তা যেন কেউ ঘটেছে ফেলুদা তাড়াতাড়ি করে স্যুটকেসটা খুলে দেখে যে ফেলুদা সুটকেসের মধ্যে জিনিসগুলো কেউ যেন পাল্টে দিয়েছে কিন্তু সুটকেসের রংটা একই রয়েছে নীল হ্যান্ডেল ওয়ালা সুটকেস।

আমাদের পাশের বাড়ির প্রতিবেশী মিস্টার ঘোষাল তিনি বললেন যে তিনি নাকি তার জানলা দিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে একজনকে বেরোতে দেখেছে আর তার হাতে একটি নীল রঙের সুটকেস ছিল।


ফেলুদা খোঁজখবর নিয়ে দেখল যে এই লোকটি জিনিসটি চুরি করে কাঠমান্ডুর তরফের জন্য রওনা হয়ে গেছে, তারপর আর কি ফেলুদা এবার খোঁজ লাগিয়ে "যত কান্ড কাঠমান্ডুতে" করে তার "বাক্সের রহস্যটা" মিটিয়ে বাক্সটি যোগাযোগ করে ফেরত নিয়ে এলেন নিজের কাছে ।

এরপর যেতে যেতে হট করে ফেলুদার ফোনে একজন কল করলো করে বলল মিস্টার প্রদোষ মিত্র আমার একটি গোলাপি মুক্ত সেটা হারিয়ে গেছে আপনি কি একটু সাহায্য করতে পারবেন। ফেলুদা বলল হ্যাঁ অবশ্যই আমি আপনার গোলাপী মুক্তা রহস্য টা সলভ করে দেবো, যিনি ফোন করেছিলেন উনি বললেন যে তার গোলাপী মুক্তটাকে নাকি একটি গোরস্থানের ভিতরে লুকানো হয়েছে তাই ফেলুদাকে প্রথমে "গোরস্থানে সাবধান" হয়ে তার গলাপি মুক্ত নিয়ে আসতে হবে ।

ফেলুদা খোঁজ নিয়ে দেখল যে গোরস্থানের পাশ থেকে একটি অস্বাভাবিক একটি মূর্তি যার মাথা আর দেহটা কেটে পাচার করা হচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখার পর বুঝল যে এইসব জিনিস গুলো অরঙ্গবাদ এ পাচার করা হচ্ছে এবার ফেলুদা গোলাপী মুক্তা রহস্য মিটিয়ে 'কৈলাসের কেলেঙ্কারি" সামলে আমাদের ভারতীয় সভ্যতার রক্ষা করতে চললেন।

এইসব ঝামেলা মিটিয়ে আমরা অবশেষে ট্রেন ধরতে গেলাম কিন্তু স্টেশনে গিয়ে আরেক জিনিস ঘটলো।


একজন লোক দেখি খুব চেঁচামেচি করছে জিজ্ঞেস করতে তিনি বললেন তাকে নাকি কে নকল যিশুখ্রিস্টের পেইন্টিং গছিয়ে দিয়েছে আর এই পেইন্টিংটি বানানো হয়েছে টিনটোরেটোর লোকটি দ্বারা। ব্যস আবার আর কি আবার ফেলুদা এবার আসল পেন্টিং টি খোঁজ করার জন্য লেগে পরলো যাতে "টিনটোরেটোর যীশু" তার উচিত স্থান পায়।

অবশেষে এইসব ঝামেলা মিটিয়ে আমরা ট্রেনে উঠে বসে সোনার কেল্লা তরফের রওনা হলাম কিন্তু মাঝপথে গিয়ে আমাদের নেমে যেতে হয়।

এই এইভাবে নামারকারণটা অবশ্য কোন ফোন নয় একটি লোক সে আমাদের ট্রেনের সহযাত্রী ছিলেন আর তিনি আসছিলেন একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে উনাকে জিজ্ঞেস করতে উনি বললেন যে ওনার কাছে একটি ওরঙ্গজেব আমলের "বাদশাহী আংটি" ছিল যেটি হারিয়ে গিয়েছে আর উনাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে কাউকে কি সন্দেহ করেন তিনি বললেন যে একজন আছে তিনি আবার খুব বড় পরিবারের জমিদার আর তিনি পেশায় রয়েল বেঙ্গল বাঘ মারেন।

ফেলুদা এই সব শুনে বলল এটা একদম উচিত না রয়েল বেঙ্গল বাঘ আমাদের জাতীয় পশু আমাদের দিকে একবার তাকিয়ে বললেন শুনুন মশাই সোনার কেল্লা মনে হচ্ছে না এই জন্মে যাওয়া হবে চলুন এবার গিয়ে "বাদশাহী আংটি" ঝামেলাটা শেষ করি আর এই "রয়েল বেঙ্গল রহস্য" মিটিয়ে চলুন বাড়ি ফিরে যাই আর ধকল পোষাচ্ছে না।

ধন্যবাদ



Rate this content
Log in

More bengali story from Srijon Moitra

Similar bengali story from Abstract